আমাদের “কবিতাউৎসব" এর পঞ্চম বর্ষপূর্তিতে আমার অফুরন্ত শুভেচ্ছা। গত পাঁচ বছর ধরে নিরন্তর বাংলার সাহিত্য অঙ্গনে যেভাবে দৃঢ়তার সাথে আমাদের “কবিতাউৎসব" পদচারণা করেছে তা প্রশংসার যোগ্য। “কবিতাউৎসব" যার মানস সন্তান কবিতাউৎসবের সেই সম্পাদককে চিনি আমার এই ফেসবুক জগতের প্রথম দিন থেকেই প্রায়। অনাবিল সাহিত্য-সংস্কৃতি প্রেমী নিরহংকার এই মানুষটি একজন দক্ষ সম্পাদকও বটে। চারপাশের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর তার সুচিন্তিত প্রবন্ধ নজর কেড়েছে। একই সাথে যে দক্ষতার সাথে তিনি কেবলমাত্র ভারত-বাংলাদেশ নয় প্রবাসী বাঙালি এবং বিদেশি অনুবাদকদেরও তার এই ওয়েব জগতে ঠাঁই দিয়েছেন তা আমাদের সাহিত্য অঙ্গনকে সমৃদ্ধ করেছে। “কবিতাউৎসব" এর সাথে আমার সম্পর্ক এর জন্ম লগ্ন থেকেই। এই প্ল্যাটফর্মেই পরিচয় ঘটেছে বহু সহ লেখক এর লিখন শৈলীর সাথে। বাংলা অন্তর্জাল পত্রিকার জগতে "আমাদের সাহিত্য উৎসব" যখন পা রাখে তখন এই ধারনাটা অনেকটা নতুন ছিল। ছাপা পত্রপত্রিকার বাইরে যে বিশাল সংখ্যক অনুরাগী পাঠক লেখক রয়ে যায় তাদের প্রকাশের এবং পাঠের সুবিধা করে দেবার জন্য অন্তর্জাল পত্রিকার অবদান অনস্বীকার্য। তখন সবেমাত্র ই-বুকের ধারণা এসেছে ভারতে। পরিবেশবিদরা তুমুল আন্দোলন করছেন কাগজের ব্যবহার সীমিত করে পরিবেশকে রক্ষা করার জন্য। এই পটভূমিতে দাঁড়িয়ে অন্তর্জাল পত্রিকাকে জনপ্রিয় করবার জন্য যারা কাজ করেছেন তাদের অবশ্যই ধন্যবাদ প্রাপ্য। পরিবর্তনশীল সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে ডিজিটাল মাধ্যম ক্রমশ জনপ্রিয় হবার পাশাপাশি সাহিত্যকেও ডিজিটাল করে তোলার চেষ্টা অবশ্যই সময়োপযোগী। আজকের অন্তর্জাল সাহিত্যের জনপ্রিয়তার দিকে তাকিয়ে একথা স্বীকার করতেই হবে সেদিন যারা প্রথম পা ফেলার সাহস দেখিয়েছিলেন তারা যথার্থই অন্তর্দৃষ্টির অধিকারী। শেষ হয়েও তাই এর শেষ হবে না। সে রয়ে যাবে সাহিত্যের ইতিহাসে।