কবিতাউৎসব পত্রিকা অনলাইন পত্রিকা হিসেবে বেশ মর্যাদাপূর্ণ স্থানে উঠে এসেছে। বিশাল কলেবরে আর নিঁখুতভাবে সম্পাদনার কারণে এটি মনোযোগ আকর্ষণ করে নেয়। এপার ওপার বাংলা মিলিয়ে এক মহাকায় আয়োজন। সম্পাদক নিজে অনেক সময় থিম বা সাবজেক্ট ঠিক করে দেন। সেই বিষয়কেন্দ্রিক কবিতা লিখতে হয়। এক বিষয়ের উপর লেখা বিভিন্ন কবির কবিতা পড়তে ভালো লাগে। সবার লেখা পড়তে পড়তে একটা তুলনামূলক বিশ্লেষণ মনে কাজ করে যায়। শারদীয়া কবিতাউৎসব, আদিরসাত্মক কাব্যসংকলন, করোনাবিষয়ক কবিতা, পরকীয়া সংখ্যা, শ্রাবণ ও বর্ষা কাল ভিত্তিক ইত্যাদি পত্রিকা সংখ্যা বেশ উল্লেখযোগ্য আর সৌন্দর্যমন্ডিত। সিংহভাগ কবিদের কবিতা বেশ পরিশীলিত। এই যে পত্রিকায় বাংলা সাল তারিখ ব্যবহার করা এটাও ধৈর্য ও অভিনবত্বের দাবি করে। সমাজ ছাড়া সামাজিক বিষয় ছাড়া এই সম্পাদক কবিতার কথা ভাবতেই পারেন না। এর সঙ্গে থাকে আলাদা করে গুচ্ছকবিতার ডালি। ব্যতিক্রমী কবিদের মগজ মেধা ও আনন্দর কাছাকাছি আসতে পারি এই কবিতা উৎসব পত্রিকার মাধ্যমে। জয়া ঘটক, রাহুল গাঙ্গুলী, চিরঞ্জীব হালদার, গৌতম রায়, তৈমুর খান ও তার সঙ্গে এই অধমের কবিতাও আছে। সম্পাদকের কাজ লেখা জোগাড় করা শুধু নয় লেখা লেখকদের কাছে পৌঁছে দেওয়াও এক কাজ। অনেকেই আছেন নেট ব্যবহারে তেমন বুদ্ধিমান নন, তাদেরকে আলাদা করে লিংক পাঠিয়ে দেন। এতদ্ব্যতীত ফেসবুকের ওয়ালে তার রচনা তুলে ধরা বা লেখার জন্য আমন্ত্রণ জানানোর মতো যত্নশীলতা লক্ষণীয়। এ ছাড়া সম্পাদকমন্ডলীতে আরো অনেকের সঙ্গে রয়েছেন শূন্য দশকের সুপরিচিত দুই কবি রত্মদীপা দে ঘোষ ও শীলা বিশ্বাস। বস্তুত সম্পাদকদের তীক্ষ্ণ বিবেচনা ও ধৈর্যগুণ, আন্তরিকতা ইত্যাদি না থাকলে কি আন্তর্জাল কি কাগুজে পত্রিকা কিছুই প্রকাশ করা সম্ভব না। বস্তুত মৌ মধুমন্তীর সঙ্গে পরিচয় না থাকলে কবিতাউৎসবে লিখতে আসা হয় তো দেরি হয়ে যেত। একবারে বিনা খরচার পত্রিকা। তাবেদারি কোথাও নেই না সম্পাদকের না লেখককুলের।