বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২১

সোনালি পুপু

 

যত যত বাংলা অক্ষর আর শব্দের আলপনা আঁকার চেষ্টা করে থাকি, তার সব যে কবিতা হয়ে ওঠে এমন নয়। কিন্তু মনের আকুলিবিকুলি ত লিখে ফেলতে পারি, সেটাই বড় আরাম। সেই বাংলা হরফে লেখার আনন্দটাই পেতাম না,  কবিতাউৎসবের প্রধান আয়োজক সম্পাদক সাহিত্যিক বন্ধু শ্রীশুভ্র যদি ডিজিটাল মিডিয়াতে বাংলা লিখতে না শেখাতেন এত ধৈর্য ধরে। অত্যন্ত কৃতজ্ঞ চিত্তে মনে রাখি, আমার বন্ধু ভাগ্য ঈর্ষনীয়। কবিতাউৎসব খুব যত্ন করে লেখাদের সাজিয়ে গুছিয়ে মানুষের সামনে মেলে ধরছে এত বছর ধরে। কবির ছবি সহ এত সুন্দর ভাবে কবিতার পরিবেশন কঠিন কাজ। আর ওয়েবসাইটে থেকেও  যাচ্ছে আর্কাইভ। সেখানে গিয়ে এক ছোঁয়ায় দেখে আসা যায় কে কে কি লিখেছেন এত দিন ধরে। এত বড় একটা কবিতা গ্রন্থাগার নির্মাণ করেছেন যাঁরা, বিরাট সম্মান এবং প্রশংসার ডালি তাঁদের প্রাপ্য হয় পাঠক এবং লেখকদের কাছ থেকে। কবিতা উৎসবকে শ্রদ্ধা ও কুর্ণিশ। আর ভালবাসা ত সব সময়। একসাথে পথ চলার আনন্দে। বাংলা ভাষাকে ভালবাসার আরামে। আন্তরিক বন্ধুত্বের সহমর্মিতায়। এই বিপুল সংখ্যক কবিতার আসরে কত গুণী শিল্পীর লেখা পড়তে পেলাম, যাদের অনেকেরই বই কিনে পড়া হয়ে ওঠে না। হয়ত এদেশে সবার বই পাওয়াও কঠিন। কবিত উৎসব এমন  উজ্জ্বল মণিমাণিক্য হাতের কাছে লভ্য করেছে সহজে। মানসিক কর্ষণে ধনী হয়েছি প্রতিনিয়ত। সাহিত্যের উঠোনে সকলের প্রশংসা এই আয়োজনের জন্য জমা আছে বলে মনে হয়। সাহিত্যকে ভালবাসেন যাঁরা, তাঁদের সকলের  ভালবাসা সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে চলুক কবিতাউৎসব।