ভালো করে পা ফেলেছি কী ফেলিনি, চোখে কবিতার ঘোর, কলমের ডগার নার্ভাসনেস কাটেনি তখনও, ভোরের আলোর মতো কখন পথ পেতে দিলো কবিতাউৎসব ওয়েব ম্যাগাজিন আর সেই পথে টলমল পা রেখে কখন সাবালক হয়ে গেলাম! কবিতা হোলো কী হলো না সেই দ্বন্দ্বের দোলাচলে থাকতে থাকতেই যে দু একটি ভার্চুয়াল পত্রিকায় যোগাযোগ তারমধ্যে অন্যতম, বলা ভালো প্রধানত কবিতাউৎসবই সেই সাহস, সেই স্পর্ধা দিয়েছে গুচ্ছ কবিতা নাকি অকবিতা যা বোঝার মতো বোধে উন্নীত করার লক্ষে কয়েক ধাপ এগিয়ে যেতে হাত ধরেছিল অবলীলায়, এক আত্মপ্রত্যয়ের আকাশ হয়ে উঠেছে যা এক অন্তর্মুখী লেখনীকে প্রকাশ্যে ডানা মেলতে সাহায্য করে এসেছে সেই দিন থেকেই। হ্যাঁ, শুরুর দিকের সেই পথচলা থেকে বন্ধুর মতো পাশে পাশে আজও। সেই ধারা অক্ষত রেখে কবিতাউৎসব আন্তর্জালে নিজেকে স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে। আজ অনিবার্য ভাবেই সমস্ত পুরনো ধ্যানধারণা নস্যাৎ করে কবিতাকে ভার্চুয়াল জগত গ্রহণ করেছে নির্দ্বিধায়। হয়তো লেখার মান নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন থাকতে পারে! কিন্তু মন্দ না থাকলে ভালোর বিচার হবে কী করে! যে অর্থে রাত না থাকলে দিনের উজ্জ্বলতা! এই ভালো মন্দের সুক্ষ্ম বিচারে না হেঁটে যে সময়ে একটি শিশু প্রথম রাস্তায় পা ফেলতে শুরু করে, তখন তাকে সামান্য সাহায্যের হাত টুকু বাড়িয়ে দিলে সে লম্বা রেসের ঘোড়াও হয়ে উঠতে পারে। শুধু অপরিণত বলে দূরে সরিয়ে না দিয়ে সাহস আর আশ্রয় হয়ে উঠলে সে’ও কোনোদিন সোনার ফসল ফলাতে পারে! কবিতাউৎসব আজ সেই নবীনের স্পর্ধা আর সাহস হয়ে ওঠে ধীরে ধীরে। কবিতাউৎসব যখন একটা বড় প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠছে, তখন তাকে থামিয়ে দেবার প্রশ্নে মন খারাপ হয়, দীর্ঘ পথের চেনা রাস্তাটি হঠাৎ মানচিত্র থেকে উবে গেলে যেমন! কবিতা উৎসব থাকুক ভার্চুয়াল পাঠক আর লেখকের মেলবন্ধনের আশ্রয় হয়ে। মহীরুহ হয়ে ছায়া দিক কবিতা অকবিতার দোলাচলে।