‘কবিতাউৎসব’! এ এক অদ্ভুত পরিস্থিতি আমার কাছে। এ তো সামান্য এক কবিতা প্রকাশের ব্লগজিন নয়, এ যে সত্যিকারের এক কবিতার উৎসবের নাম। ২০১৬’র মার্চ মাস থেকে এই উৎসব প্রাঙ্গণে আমার নিত্য আনাগোনা। এই আনাগোনায় কখনও সুর ভাসিয়ে দিই নিজের দুচার পংক্তি কবিতার, অথবা নিজেই ভেসে যাই কতশত সুরের লহরীতে। এতো আদরের, এত যত্নের এক ক্যানভাস, এও এক গন্তব্যে এসে “বিদায়” বলে যাবে, এ যেন কল্পনাতীত। তবু, এমন সময়ে এসে শ্রদ্ধেয় সম্পাদক ও সমগ্র সম্পাদকমণ্ডলীকে জানাই অন্তরের শ্রদ্ধা, এই ক্যানভাসকে চিরশাশ্বত করে তোলার জন্য। নানা জায়গায় কবিতা উৎসব হয়, যাওয়া হয়ে ওঠেনি কখনও, কিন্তু এই যে কবিতার এক বিপুল আয়োজন, এখানে “ড্রপসিন” হবার কথা ভাবতেও পারিনি, আর তাই যখন তখন যে কোনও চিত্রপটে মিশে যেতাম নানা কাব্যশৈলীর অনুরাগে। এখানে নবীন-প্রবীণ ও দুই বাংলার এক অপূর্ব মিলনক্ষেত্র রচনার সাক্ষী থেকেছি, প্রত্যক্ষ করেছি কবিতার কবিতা হয়ে ওঠা, নিজের কবি কলমকে বারে বারে যাচাই করে নিতে পেরেছি। ক্রমশ নিজেকে ধাপে ধাপে এই উৎসবের প্রতি দায়িত্বশীল হতে শিখিয়েছি যাতে কবিতার প্রাঙ্গণে সামান্য হলেও এক কাব্য-আলপনা এঁকে রাখতে পারি, আর দুহাত বাড়িয়ে কবিতাউৎসব টেনে নিয়েছে আমাকে আরও বহু কলমের সাথে নিজের বুকে। সমাজের প্রতি দায় থাকে কবির, সর্বদা এই কথা উচ্চারিত হয়েছে এই উৎসব প্রাঙ্গণে। বড়ো নাটুকে লাগবে কি, যদি বলি, কবিতাউৎসবের শেষ সংখ্যা মেনে নিতে বড়ো কষ্ট হচ্ছে? বলতে ইচ্ছে করছে সোচ্চারে,
ওই যে ওই সোনার আকাশ, যেখানে কবিতা ফোটে
জুনিপারের পাতার নিশান, আদুল বাক্য ছোটে
ডানায় ভর, এক প্ল্যাটিনাম বিদ্যুৎ থাকে
মগ্ন
সেখানে সেই উৎসবে বাঁচে উন্নত কবি লগ্ন।