বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২১

অভিজিৎ দাসকর্মকার

 

প্রশ্রয়। তা বিভিন্ন ধরনের, বিভিন্ন মোড়ের হতে পারে। আসলে নতুন যাঁরা লিখতে আসছেন ,নতুনভাবে যাঁরা নিজের বলার ভঙ্গিকে পাঠকের সামনে তুলে ধরতে চাইছে বা চাইছেন, তাঁদের একটা পরিত প্লাটফর্ম দরকার। আমি ২০০০ সাল থেকে লিখি সমাকৃতি এবং কবিতা পাক্ষিক প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে আমার আত্ম প্রকাশ। তারপর চড়াই উৎরাই ইনিয়ে বিনিয়ে সারা কপালজুড়ে লেপটে থাকায়, সুদীর্ঘ ১০টি বছর আমাকে ১টি বর্ণও ধ্বনিত করতে দেয় নি। ঠিক সেই সময় নিজের প্রথম কবিতা পাঠাই "কবিতাউৎসব"-এ আমার লেখা পছন্দ হলো আমি খুব খুশি হলাম, কারণ আমাকে এখন যাঁরা পড়েন, হয়তো পড়তে ভালোওবাসেন, তাঁরা জানেন আমার লেখা কতটা আলাদা ভাব বিনিময় করে, বা অনেকের মতে অন্যরকমের লেখা। এভাবেই একজন অন্যধরনের লেখা শব্দসৈনিক-কে প্লাটফর্ম দেয়া, যত্নকরে তার কলমকে প্রকাশ করে পাঠকের সামনে আনা এবং পাঠককে পড়তে আকৃষ্ট করা, এতো এক বিশাল প্রয়াস,এবং এই প্রয়াসে আমার লেখাকে সব্বার কাছে তুলে ধরা, যে দেখুন পাঠক এভাবেও লেখা যায়। যা আমি আমার লেখার মাধ্যমে সবসময় বলি গতানুগতিক ধারার বাইরে বেরিয়ে এসে লেখা, বলার ভাঙ্গিতে, শব্দ প্রয়োগে। যা আস্তে আস্তে  বিবর্তিত হয়ে এক নতুন সিগনেচার তৈরি করে চলবে। আবার সেই সিগনেচার ভেঙে নবনাইজড হবে অন্য এক ভিন্ন সিগনেচার। আমি একজন শব্দসৈনিক ভাবি নিজেকে। আমি সবসময় নিজের লেখাকে ভাঙতে বিশ্বাস করি, আর এই বিশ্বাসকে ধরে রাখার জন্য অনেকটাই  প্রশ্রয় দিয়েছে আমাদের কবিতাউৎসব পরিবার, আমার এযাবৎ প্রায় কমবেশি ৫৭-৫৮ টি কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। ভালোবাসা ছাড়া আর কী ই বা দিতে পারি। তবে সততার সাথে শব্দ নিয়ে থাকি, কবিতাকে জীবনের উৎসব বলে মনে করি।