বিগত পাঁচ বছরে ~ (৫ x ১২ = ৬০) & ১টি শারদীয়া; মোট ৬১টি সংখ্যা। তারপর যখন সে চিরবিরতি নেবার কথা বলে ~ ঘটনাটা কোভিডপর্বে আপনজন বিয়োগের থেকে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। ১টি পত্রিকা, বিশেষ কিছু চিন্তাভাবনায় স্বজারিত হয়েই ভ্রূণ শুরু করে তার বিশেষ যাত্রাটি। তারপর, একসময়, গর্বের সাথে সেই বিশেষ যাত্রাপথের বিভিন্ন বিষম//অসমগুলির মোকাবিলা করতে করতে সে হয়ে ওঠে 'লিটিল ম্যাগাজিন'; যদিও বাংলাভাষায় এই শিরোনামার্থটি 'ছোটো পত্রিকা'। কেউ বলেন ~ বিশেষ সময়ের বিশেষ মুহূর্তটিতে ভাষা ও শিল্পের স্বচিন্তিত দাবিটির আদর্শ রূপদান প্রকাশের আদর্শ ও একমাত্র মাধ্যমটি হলো 'লিটিল ম্যাগাজিন'; যদিও বর্তমানের ভার্চুয়াল আপেক্ষিকতায় ব্যক্তিগতভাবে বলতে চাইবো 'লিটিল ম্যাগাজিন প্রবণতা'। নাহ; এখানে সেই বিগত সময়ের দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর দশক ধরে চলে আসা তথাকথিত দ্বন্দ্বজনিত চর্বিতচর্বণ আনতে চাইছি না। বরং আমাদের “কবিতাউৎসব", আমার কাছে কিভাবে 'লিটিল ম্যাগাজিন প্রবণতা'টি অর্জন করেছে, তার অনুসন্ধানটিই মুখ্য।
গত শতকের ৯০এর দশক যদি সম্ভবত বাংলা কবিতা
আন্দোলনের শেষ দশক হয়; ২০০০
পরবর্তী ১ম দশক পর্যন্ত বাংলা কবিতা ছিলো ~ গত দশকগুলির একটা আপাত
পুনর্বিচারের ধারনায় শুরু। যেখানে একাধারে প্রিন্টেড পত্রিকাগুলির অনেকের ভিতরেই
ছিলো মেইনস্ট্রিম ঘরানার সাথে সম্পৃক্ত হবার ইচ্ছে এবং আরেক দিকে লিটিল ম্যাগাজিন
তকমাটিকে চারিয়ে দিয়ে 'তেলা মাথায় তেল দেওয়া'। অর্থাৎ 'লিটিল ম্যাগাজিন প্রবণতা'টি প্রকৃতপক্ষে ত্যাগ
করে, প্রকৃত লিটিল
ম্যাগাজিনগুলির মুখগুলিকে আড়াল করে 'হংস মধ্যে বকঃ যথা'; একে আবার মিছিলের ল্যাজে ভীড়
করা মুখ হিসেবেও অনেকে ভেবে নিতে পারেন। কিন্তু বিশ্ব-ইতিহাসের বিজ্ঞান ও সূত্র
অনুযায়ী ~
বদ্ধ
অবস্থান বাঁকবদলের কারণ; অতএব এখানেও ব্যতিক্রম ঘটেনি, আর এটা ঘটিয়েছিলো ১ম দশকের
শেষপর্বে সংঘটিত হওয়া কয়েকটি ভার্চুয়াল বা আন্তর্জাল পত্রিকা। ভার্চুয়াল পৃথিবী
আঘাত হানলো 'গলির ভিতর অবস্থিত
ছাপাখানাগুলির'
basic মানসিকতায়।
এছাড়া কলকাতা //জেলা ভিত্তিক আঞ্চলিক মানসিকতা হয়ে উঠতে চাইলো গ্লোবাল্। দূরত্ব কমলো, একদিকে যেমন প্রতিবেশী পাঠক তৈরি
হলো; সামনে এগিয়ে আসলো একদা
চোখরাঙানি উপেক্ষা করা লিখিয়ের দল। তৈরি হলো ভিন্ন ধারা বহনকারী প্রজন্ম। যদিও
একথা বলতে পারবো না, চর্চার
সমানুপাতিক পুষ্টকরণের ফলে বর্তমানের ভার্চুয়াল জগতে 'লিটিল ম্যাগাজিন প্রবণতা' বেড়েছে (কারণ, অবাধ প্রবেশ
নিয়ন্ত্রণহীন);
তবে একথা
সঠিক সাহিত্য প্রকাশের যেকোনো ইচ্ছে গা-জোয়ারি'র পরোয়া করেনা।
হাতেগোণা কয়েকটি পত্রিকার মতোনই, শুধুমাত্র কবিতা বিশেষ আন্তর্জাল পত্রিকা আমাদের “কবিতাউৎসব" ~ যার অন্তর্গত কবিতা সংখ্যা :: প্রতি সংখ্যাপিছু দুবাংলার ৫০ জন করে নূন্যতম ৩টি (যদিও আগে ৫টি ছিলো) ও শারদীয়া সংখ্যায় ১০০ কবির নূন্যতম ৩টি কবিতা ~ অর্থাৎ, গাণিতিকভাবে নূন্যতম কবিতা সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে : {(৬০x৫০x৩)+(১x১০০x৩)} = ৯৩০০ বা আনুমানিক ১০০০০ প্রায়; যার একটিকেও কেউ বলতে পারবেন না ~ স্কুল/কলেজ ম্যাগাজিনগুলির শিশুসুলভ ইচ্ছেপূরণের কাজ। এবার আসি প্রযুক্তিগত আয়োজনে ~ যাঁর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ : প্রকাশিত কবিতাগুলির আর্কাইভ তৈরি করা। অর্থাৎ, কবিতা'র নাম বা কবি'র নাম সার্চ অপশনে দিলেই সমাধান। এমনকি, কবি'র নাম সার্চ করলে ~ তাঁর এযাবতকাল সমস্ত রচনাগুলি ধারাবাহিকভাবে স্ক্রিন শেয়ার করবে। শুধু তাই নয়, কবি'র নামের এই অপশনটিকে যে কেউ গুগুল সার্চ ইঞ্জিনে দিলেও; কবিতা উৎসব লিঙ্ক আপনি পাবেনই। যার ফলে বলতেই পারি ~ টেকনিক্যালি কবিতাগুলি গ্লোবাল এবং কবি ১জন আন্তর্জাতিক মাধ্যমের। ব্যক্তিগত প্রসঙ্গক্রমে ~ এখানে প্রকাশিত আমার কবিতা ধারাবাহিকতার প্রতিটি পরীক্ষা//নিরীক্ষা : সম্পাদকের হাতে থেকেছে unedited এবং আবহমানের পক্ষে তোলা সন্দেহ//প্রশ্ন ছাড়াই। আর সেগুলির মোটসংখ্যা নিছক ভীড় বাড়াবার উদ্দেশ্য নিয়ে কখনোই থেমে থাকা নয়; আর সম্পাদকমন্ডলী প্রকাশও করেছেন তা নির্দিধায়। পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ~ সম্পাদকমন্ডলী'র বা প্রধানত সম্পাদকের প্রকাশনের দায়টি নিভৃতচারে পালন করে যাওয়া। আজকাল অনেককেই দেখেছি ~ সম্পাদকীয় দায়টি বহন করার পরিবর্তে, নিজেকে লিখিয়ে হিসেবে পাঠকসমাজে প্রতিষ্ঠিত করার ফয়দা তোলার প্রবণতা। কিন্ত অব্যয় কাব্য আজও আমার কাছে দায়িত্ববান নীরবচারী অশরীরী ফ্যান্টম্; যে কেবলমাত্র নিজের কাজটুকু চুপচাপ করে যায়। পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হলো ~ আমাদের “কবিতাউৎসব" কেবলমাত্র কবি'র কবিতা প্রকাশনের ১টি আদর্শ মুক্তমঞ্চ; যেখানে কপিরাইট কবির নিজস্ব, এমনকি এই মুক্তমঞ্চটি কবিতা প্রকাশ করার প্রলুব্ধতাকে পাথেয় করে (cash counter করে) জঞ্জাল পাঠকের ভীড় বাড়াতে চায় নি কোনোদিন। অতএব, প্রতিটি সংখ্যা উপযুক্ত স্বচ্ছতার সাথে প্রকাশ করার পাশাপাশি কবিতা'র উৎসব পালন করে যাওয়ার নিরবিচ্ছিন্ন ভূমিকা পালন করা এই ভার্চুয়াল পত্রিকাটিকে বলতেই পারি 'কবিতাসর্বস্ব' লিটিল ম্যাগাজিন হয়ে ওঠার চূড়ান্ত প্রবণতা; যেখানে চারপাশের প্রতিটি মুভমেন্ট//সূত্র//সময় ~ কেবলমাত্র কবিতানির্মাণে বেঁচে আছে; বেঁচে থাকবে স্মৃতি।