বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২১

গৌতম কুমার গুপ্ত


প্রতি মাসের ২১ তারিখের জন্য মুখিয়ে থাকি। কখন বেরোবে একরাশ কবিতাগুচ্ছের ডালি। মেল পেলেই খুলে বসি সম্পাদকীয় এবং কবিবন্ধুদের তালিকা। বলতে দ্বিধা নেই নিজের কবিতাটি আগে পড়ি। তারপর প্রিয় কবিদের কবিতাগুলি। পাঁচ বছর ধরে চলতে থাকা ৬১টি সংকলন। ভাবা যায়? শেষ হয়ে গেল। মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে গেল মুহূর্তে। কবিতাউৎসবের সংকলনে প্রথম দিকে ছিলাম না। কিন্তু শেষ দু বছর নিয়মিত থেকেছি। সম্পাদক যত্ন করে কবিতাগুলি প্রকাশ করেছেন। আজকাল ওয়েব ম্যাগাজিনের সংখ্যা ছড়াছড়ি। কিন্তু নিঃসন্দেহে বলা যায় কবিতাউৎসব একটি অগ্রণী ওয়েব ম্যাগাজিন। সম্পাদক অনেক সময় বিষয় বৈচিত্র্যের দিকে সজাগ থেকে সংকলন প্রকাশ করেছেন। এতে একঘেয়েমি এবং পৌণঃপুনিকতা অতিক্রম করা যায়। লেখক কবিরাও উৎসাহ বোধ করেন। প্রেম, পরকীয়া, যৌনতা প্রভৃতি বিষয়গুলি এসেছে যেমন তেমন রবীন্দ্রনাথ জীবনানন্দকে বিষয় করে সংকলন প্রকাশিত হয়েছে। এতে করে কবি লেখকদের লেখার পরিসর যেমন বেড়েছে তেমনই নিজেদের লেখনীশৈলীকে একটা নির্দিষ্ট মানের কাছাকাছি পৌঁছাবার প্রয়াসে মগ্ন থাকতে পেরেছেন।পাঠকেরাও বিবিধ পাঠের সুযোগ পেয়েছেন। এর জন্য সম্পাদকের সাধুবাদ অবশ্যই প্রাপ্য। আরো একটি ব্যাপার উল্লেখ করা প্রয়োজন সেটি হল সম্পাদক প্রতি মাসেই বেরোনোর আগে প্রকাশিতব্য কবিদের ছবি দিয়ে জানিয়ে দেন। এটি একটি ব্যতিক্রমী প্রয়াস বলেই মনে করি। কবিতাউৎসবের অবমূল্যায়ন তো হয়ই নি বরং এর উৎকর্ষতা দিনের পর দিন বেড়েছে। কবিরা নিজেদের লেখাকে পরীক্ষানিরীক্ষার মাধ্যামে নিজেদের উৎকর্ষতা বাড়াতে পেরেছেন নিঃসন্দেহে। সম্পাদক সেই ব্যাপারে প্রশ্রয়ও দিয়েছেন সুযোগ দিয়েছেন। যদিও সম্পাদক দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন কবি লেখকদেরই। পরিশেষে বলি কবিতাউৎসব চিরহরিৎ হয়ে বেঁচে থাকুক আমাদের মধ্যে।