বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২১

বিকাশ চন্দ

 

বড় মোবাইল (এন্ড্রয়েড ) ফোন ছিল না। জুন ২০১৭ হাতে এলো বড় মোবাইল। ফেসবুকে বিভিন্ন লেখাজোখা পোস্ট দেখতে দেখতে "কবিতাউৎসব" র প্রতিমাসের অনবদ্য কবিতার আরশি অঙ্গনে ইচ্ছে হয়েছিল আমার কবিতার মুখ দেখতে। সে কারণেই আগস্ট ২০১৭ তে লেখা পঠানো শুরু তারপর থেকে সময়সীমা বেঁধে ফেলার দিন পর্যন্ত একটা আত্মিক বন্ধনে সম্পৃক্ত হয়ে পড়লাম। পাঁচ বছর সময়সীমা ঘোষিত হওয়ার পর অজানা দলা পাকানো কিছু একটা গলায় তালগোল পাকাচ্ছিল --- একে কি কষ্ট বলে না অন্যতর অকাল রক্ত নাচনে বিষণ্ণ অবসাদ। হয়তো বা...।  মনে ছিল "কবিতাউৎসব " চিরঞ্জীব হোক, এভাবে অভাবনীয় মুখ বন্ধে আন্তর্জালের কলকল অশ্রু নদী আনন্দ ঢেউ আলোর উৎসবে নিয়মিত নদী সমুদ্র গাছ পাখি ফুলেদের অমলিন মেলবন্ধন হয়তো অমলিন থেকে যাবে,  অচেনা পথের ধুলো মাটি মাখবো, বৃষ্টি রোদের স্নায়ু খেলায় দেখবো বাঁধা নৌকা আর নদী স্রোতের উদাস নাচন। কমতো নয়, প্রতি মাসে আটচল্লিশ জন কবির একশত চুয়াল্লিশ কবিতার ডালি, কতনা ভাষার ভেতরে জেগে উঠতো শরীর রক্ত মাংসে গড়া শব্দময় জাগর কথার বহুতর বিবর্তন, অনেকটা ঋজু মানুষের হিম্মতের মতো কথা বলে উঠতো । "অব্যয় কাব্য"র সম্পাদক মণ্ডলীর মুন্সিয়ানায় বিবর্তনের কথায় থেমে থাকে না কিছুই, তাই বোধহয় " অব্যয় কাব্য"এর  সীমানা নির্ধারণ করে দিলেও সংশ্লিষ্ট কবি সাহিত্যিকের আত্মিক রাজত্বে প্রিয় আলোমুখ হয়ে প্রেম প্রণয়ের কথাকলি হবে।

 

অতিশয়োক্তি হলে কেউ অন্যভাবে ভাবতে পারেন--- কোন বাধা নেই। এ সময়" অব্যয় কাব্য জানতো সংযত সময়ে কেমন করে চলে ঘৃণ্য দাবার রাজা রানী তোষামুদের বিচ্ছিরি কেরামতি কিস্যা, অহেতুক হুকুম দারি, মানুষের জীবন নিয়ে বেসাতির কথাবার্তা। লক্ষ লক্ষ কৃষক যারা সারা দেশের মানুষের অন্নদাতা নবান্ন পুরুষ তারা আজ রাজপথে সর্বনাশা স্বৈরনীতির বিরুদ্ধে।" অব্যয় কাব্য " এই অন্ধ স্বৈর রাতের বিরুদ্ধে অনেকটা রোদ্দুরের মতো আলো দিলে কার না ভালো লাগে....। বাঁধন সম্পর্কের জটিলতা ব্যাথা আনন্দ মেলা মেশার বিষয়গুলি চিরকাল সোজা ও ঋজু থাক। "অব্যয় কাব্য" জাগরুক থাক অন্তর্বয়নে হার্দিক নক্সিকাথায়।