আশীষ
ভট্টাচার্য
ধোঁয়ার পাখনা
****************
বহু শতাব্দী পর
অহংকারের কন্ঠস্বর ...
আজ " গর্ভবতী
"
আগামী দিনের প্রতীক্ষায়
" পতন "-
ঘড়িটা চলছে তো চলছেই,
টিক টিক টিক....
থামবে যেদিন, সেদিন-
নগ্ন শরীরের ওপর
সুগন্ধি, ঘি আর চন্দনের প্রলেপ-
আর তারপর..
অগ্নিশলাকার স্পর্শ-
"অহংকার' পুড়ে একমুঠো ছাই,
পালাবার পথ নেই...
"ধোঁয়ার
পাখনা" ছাড়া !!
**********************
কায়ার বন্ধন
*****************
অনুর্বর জীবন কাহিনীতে
--
ছোটবেলার মাটির গন্ধ
এখনও পাই-
ফুটিফাটা জীবনটায়, উৎপন্ন ফসল- শুধুই হাহাকার,
পা দুটো আর্ত কন্ঠে
প্রশ্ন রেখে-
আর কত সময় চলবো?--থামবো কবে?
উত্তর দেয় না সময়- জীবন
তো গাড়ি! চালাতেই হয়,
নুইয়ে পড়া দেহটা-
চিতার আগুনের স্পর্শ
পেতে উদ্গীব,
আত্মা ডানা ঝাপটায়-ওড়ার
অপেক্ষায়-
সাড়ে পাঁচফুট বাঁশ-দড়ির
পালঙ্কের নীচে
একটুকরো আগুন চাই,-তারপর,
তারপর সেই মাটির গন্ধে
মিশবো-
হওয়ার উৎফুলতায় ধোঁয়ারা
নেচে উঠবে,
কুন্ডলী পাকিয়ে উপরে
ছুটবে-
পার্থিব মায়ায় ফিরবো কি
আবার?
নতুন কায়া মেখে...অথবা
পড়বো কি বাঁধা-
ধান শালিকের মায়ের
পালকের আঁচলের বন্ধনে?
****************************
যবনিকা??
**************
যদি অবসর হয় ...
ফিরিয়ে নিয়ে যাস
স্বপ্নগুলো-
রাতের জমাট বাঁধা
অন্ধকারের পাখিটা,
নেমে এসেছে, জানালায়-
ঘুম আসছে! যদি ঘুমিয়ে
পড়ি?
পেরেকে ঝোলানো,
তোর প্রিয় সবুজ জামাটার
ছেঁড়া পকেটে রাখা রক্ত গোলাপটা,
নিয়ে নিস,
ওর পাপড়িতেই রাখা স্বপ্ন
গুলো-
বুকে হাত দিলে এখনও
শুনতে পাই..
তোর নুপুরের রিমঝিম
বৃষ্টির গান-
এখন জীবন আর মৃত্যুর
চোখে-?
প্রশ্ন চিহ্ন!
কে নেয়? অপেক্ষায় বসে সময়-
বুকে বাঁচার হাতছানি !
হাতে ধরা মৃত্যুর
পরোয়ানা!
দ্বিধাগ্রস্থ সময়!
যবনিকা?? কবে?
******************
ভ্রান্তিবিলাস
**************
জনশূন্য রাতের আঁধারে
আজও বলি-
ফিরে এসো সোনালী বেলা...
আজও আছে নিরপেক্ষ
আকর্ষণ..
এ কথা জানে শুধু মাত্র
তোমার সত্তা-
অনুভবে দেখো-
আমি প্রাণহীন মরীচিকা
নই...
তোমার স্বরচিত পৃথিবীতে
এখনও আছে আমার অস্তিত্ব!
আছে কি?
শুধু অবিশ্বাসের ধারাপাত
মুখস্থ করেছিলে-
তবু আজও ধৈর্য ধরে শুনি
মিথ্যার গুণিতকের ফলাফল...
অবহেলার অবসরে চেয়েছো কি
মুছতে,
দীর্ঘ বিরহের সীমা?
ভেজে কি উদাস নয়ন?
ভেজে কি কবিতার পাতা?
ভালোবাসার মন্বন্তরের
হাহাকারে
অসহায় একাকিনী...
তুমি ভ্রান্তিবিলাস!!
****************
এ দেখার গল্প
******************
বিছানা ভরা জোছনায়
স্বপ্ন ধরি-
তাই দিয়েই জীবন চলে যায়
কোনক্রমে-
কখনও কখনও কালবৈশাখী ঝড়
ওঠে,
পুরে রাখি বুকে,
অবান্তর কিছু ভুলের জন্য,
যতই ভিজি না কেন,
পান্থ নিবাসের
বারান্দাটা নিঃসঙ্গতায় মোড়া থাকে, একাকী,
এখানেই আমার অনাবিল
আনন্দ,
বারান্দাটাই আমাকে
হারিয়ে যাওয়া কিছু সময়ের গল্প দেখায়,
যে গল্প ভুলতে চাই, দেখতে চাই না,
তবু গল্প দেখায় সময়,
কত বসন্তের রোদ মাখা
দুপুর,
কিছু সন্ধ্যা তারা, পাশে এসে বসে গল্প দেখে,
হাসছো! আসলে ...
গল্পটার নাম নেই,
নেই কোনো অক্ষর সাজানো
কথা,
তাই এ গল্প শোনার নয়,
এ গল্প দেখার।
**************