হাসিদা
মুন
মরণে মরণে বাঁচা
দীর্ঘদিনের দীর্ঘ সড়ক
পেরিয়ে
সমস্ত জন্মের উৎপত্তিতে
কান্নার যখন জন্ম হয়
তেমন কোন জন্মকাল থেকে বেরিয়ে এসে
এই আমি
চার পায়ে হেঁটেছি
দুপুরে দুইপায়ে উঠে
দাড়িয়েছিলাম
টকটকে রোদে মাটির ফাটল পাড়িয়ে বহুদূর পৌঁছেছি
সেসব যাত্রার
শুরু ও শেষ আছে
সম্ভাব্যতার এক একটি
অংশতে
অনেক অসম্ভব কিছু
ঘটে যায়
কোন এক সন্ধ্যায় তিন
পায়ে ফিরে এসে
মৃত্যুর দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে
সওয়াল জবাবের উত্তর দিতে
গিয়ে
নিজেই জিজ্ঞাস করবো
তবে হে ফিনিক্স পাখী
জনম
তবে হে বিহগ প্রাণ
মনুষ্য নারীর
মৃত্যুর বিষয়ে কিছুই কি আলাদা করে
বলা নেই ?
তারা কতবার মরে মরে
কতবার বাঁচে ...... ?
মন বাঁধা সান্ত শরীরে
কোন ঘরের মধ্যে শেষ হয়না
ভালোবাসা
পুরো দৈর্ঘ্যের
বারান্দাও সাথে থাকে
ঘরের বাতাস ভ্যাঁপসা হয়ে
উঠলে
ঝুল বারান্দা তাঁকে ডাকে
ঠিক এমন করেই হেমন্তের
ধুপ ছাওয়া সন্ধ্যায় অবাক দেখা
হলদে পাখীটির সন্ধানে মন
যখন অকাতরে কাঁতর হয়
কোত্থেকে ও যেন ডেকে ওঠে
' কতোদিন দেখিনি এসো একটু দেখে নিই তোমায় '
যাবার পরোয়ানায় কাছে
নিয়ে যেতে চায় প্রবল উজানে
সে খরস্রোতা আকুলতায় মন
বেঁধে জিজ্ঞাস করি
এলে কি হবে ?
-এই আমাকে দেখবে
- একটু চা খাবে
-এক গ্লাস মিনারেল পানি
- কিছু চুমু
- যা কিনা আমাদের বেঁচে থাকাথাকির চালিকাশক্তি জোগাবে
মন দ্রুত তৈরী হয়ে নিতে চায়
সব রকমের সৌভাগ্য বহন
করে
ওঠে পড়ে কল্পনার ফ্লাইং
সসারে
মনেমনে আওড়ায়
-
to see me
- a little tea
- A
glass of mineral water
-
Some kisses
জীবন চলমান বহমান হয়েও বাঁধা পড়ে থাকে সান্ত শরীরে .........
মৃত্যুর সিরিয়াল
হোক কাঁদা মাটি তবুও
আমার অবাধ অস্তিত্বকে নিপাট চাই
সুতরাং ভেবে নাও আবে
হায়াতের গাঢ়হ পানীয় হাতে
দিবাস্বপ্ন বিশ্লেষণ হলে
সহজসিধে বেঁচে থাকারা
এসে দোরে মাথা কোটে প্রাণান্ত
শেষ সময়ে নদীর কিনারায়
খুঁজে দেখবে
নিজেদের শোধনবাদ পান্ডুর
চোখে
পেয়ালায় নৈবেদ্য আত্মা
আমন্ত্রণ করে দশাসই ফানুশ
হয় তাতে চড়ে পগার পার
হয়ে কৌশলে স্বর্গ লাভ
নয়ত শিরঃপীড়া গড়া
ফটকা ব্যবসা ফাঁদা দুনিয়া
ফাঁদবে নতুন রঙচঙা
নরক দোলাবে নাগরদোলা
কুদরতি শরীর পেয়েছি
বিনামূল্যে
তবে বিকোতে গেলেই ভবে
দিতে হয় উচ্চ মূল্য দান
না হলে হতে হয় অতিষ্ঠ
পেরেশান
ঘোষণা দিচ্ছি ঠোঁট থেকে
বড় বড় চুমুকে পান করো
জীবনের বিনিময়ে জীবন
নিংড়ে নাও
অস্তিত্ব শাশ্বত
পাসপোর্টে আত্মবিজ্ঞাপনে নিজ সীমান্ত করো পার
এই মাটিতেই বসবাস অর্থ
কালক্রমে নয়ছয় করে সরে পড়া
এক দিন বিশ্রাম ফেলে
গেলে তাঁবু গুটিয়ে দেয় সেই ই
অন্তর্জগতে যাও অন্য
অতিথিরাও এসে জগত জুড়ে বসবে
সমস্যা হচ্ছে আসা
যাওয়াটা নিজ ইচ্ছের হাতে নেই
প্রজ্ঞার নামান্তর
হিসাবে মুচলেকা দান করে
সমাধি সৌধ প্রতীক গড়ে
যেতে হয় নিজেকেই
আমাদের মতো লক্ষ লক্ষ
বুদ্বুদে বোতল ভরা ছিলো অজুত কোটিতে
যবনিকার পিছনে তুমি আমি
এবং যত্তসব তোমরা
অতীত যুগে যুগে না জানা
থেকে যায়
দীর্ঘ দীর্ঘ জগতের
স্থায়ী হয়ে থাকার সক্ষমতা নেই
আমন্ত্রণ জানাতে
নতুনত্বকে
আবার কারো বারোটা বাজাতে
সেজেগুজে বসবে পৃথিবী
মুহূর্তের ক্ষণিক স্বাদ
নিতে তার ভদ্রতায় বাঁধেনা
অবাধ সাধন বেমক্কা নেচে
নেচে ওঠা তাঁর কারসাজি
পরিচ্ছদের বাইরে
দাড়িয়ে লাল সুরার ফোটায় মৃত্যুসঞ্জীবনী ঢেলে
জ্যান্ত শ্বাসকে সবলে
নাচায়
আর নিশ্চয় -
অশরীরী তীর্থযাত্রী দল পৌঁছে গিয়েছে আগে
জীবিত আমাদের আসছে
সিরিয়াল
প্রস্থান অধ্যায় পাঠ
করতেই মনে বিষম লাগে ......
প্রান্তিক বিরহ
অবিচ্ছিন্ন আকাশের নীচে
সূর্যরশ্মি চেতনায়
বিচ্ছিন্ন আতশবাজি
সাথে কালো বিন্দু ফোঁটা
আধবয়সী শতাব্দীর পথঘাট
পুরনো অর্থনীতির
কয়েদখানা
ঘরবাড়ির ব্যাপক
নিরাপত্তা ঝঙ্কার
ভ্রান্তিতে ছিনতাই করা
হৃদয়
পুনরুদ্ধার করতে
প্রান্তিক বিরহ যুগ যুগান্ত বয়ে যায়
......
এক আত্মায় দুই শরীর
কিছু দুঃখকে ধুয়ে দিতে
গেলাম নদীর পাড়ে
সেখানে শত্রুরা সুখও
ডুবিয়ে মারে
প্রেম এক একক আত্মায়
গড়ানো দুটি শরীরের বাস
দুই ধাঁরে দুজন সরে গেলে বেঁচে থাকে হা- হুতাশ ......