বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৭

অরুণিমা মন্ডল দাস



অরুণিমা মন্ডল দাস

 ----  উৎসর্গ জীবনানন্দ পরবর্তী কবি

                    কলকাতা বইমেলা
      
                                ছোট্ট ছোট্ট দাঁতগুলো পেপারের অভিযোজনে আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে
                                      মধ্যবিত্ত ধুতি বুকের পাতলা টপ
                                                    নীরারা আজ শাড়ি পরে না
                  পেনের কালো কালিগুলো পাবলিকেশনের শরীরে মৈথুন আঁকছে
                         কেননা
                              বাংলা টেবিলগুলো এতো ছোট সাহিত্যের পূর্ণ মিলন সম্ভব নয়
                
                                            এক দুই তিন র পর এগারো একশ এসে আবৃত্তির ঠোঙায় সাহিত্যের লুকোচুরি
                    ছেঁড়া রবীন্দ্রসংগীত
                                                  
                           পপ গানে বাজছে
          পাপোষ বইমেলা তে থাকা প্রয়োজন
                            বুটের সাইজেও একটা তীব্র জীবনানন্দ গন্ধ থাকবেই
                      ভিড়
                        একা
                         মোটা মোটা  সাদা সাদা  শরীর আর বইয়ের খরগোশ চলাফেরা
        আড্ডা, জলের প্যাকেট, চোখে জিজ্ঞাসা মনে শিক্ষিত অনাচারের অশান্তি
      বইমেলা
        অটোচালকরা দেখে না, বোঝে  মাইকের ঝনঝনি
        নূপূরের দুটো প্রেম ফাঁকা ময়দানে খেলছে
                   জীবনানন্দ সুকান্ত রা লিটিল ম্যাগাজিন চত্বরে টেবিলের কোনে বসে
    কেউ দেখছে কি?
     কেউ ভাবছে কি?
             না কাদম্বরীরা আজ রবীন্দ্রনাথ জন্ম দেয় না, নিজেরাই রবীন্দ্রনাথ সাজতে ব্যস্ত
        ভালোবাসা কোন অডিটোরিয়ামের কঁাপা ঠুনকো ভগ্ন হৃদয়ের আবৃত্তি
                    সিগারেট ও সেখানে ধোঁয়া ছাড়তে ভয় পায়
                         ভয় পায় বিয়ারের টাটকা আধুনিক নেশা , কলম্বাস দর্শন
              পেতে গিয়ে কালিদাস দুদিন সাইন সিটির দেয়াল দেখতে দেখতে লম্বা চুলয়ালা সিংজির থাপ্পড় খেয়ে বাংলাতে ফিরে আসা
      বেঁরাজি ভাষার বই মেলা
              কুলপির দুদিক থেকে শক্ত নিউক্লিয়াশ গুলো শুঁড় বের করছে
                       বাংলার কবিদের জিন একসংগে জন্মাবে কি?
              




                        
            কলকাতা বইমেলা

       বইমেলা
              উচ্চস্বরে বিক্রেতাদের ডাকে
                  কোকিল আর বাসের ছাদে বসে থাকা কাক
                            টাইমকল খুঁজছে
                          কবিরা বই!
                   নামের দুদিক চিৎকার মধ্যিখানে দীর্ঘশ্বাস
                     প্লাশ মাইনাস বোনাস বসে থাকা
                               নাম থাকলে বই য়ের অবাধ চলন
                                      কেউকেটা লাউডগা সাপ দুলছে
                            তরুন লেখক
                                     হয় বাস্তব দেখে চুপ
                      না হয় কাদা মেখে জোরে জোরে হাসো
                     আবৃত্তি করো
                    গলা পিঠ জুতো সিনিয়রদের সবকিছু ধরে সেলফি
                             মোবাইল ফোন ছুটছে
                              আ্যন্টিভাইরাস আর ভালোবাসছে না
                         সবাই ভাইরাসের বদনামি দেখে, সফটওয়ারের টানগুলো দেখে না---¡







   কলকাতা বইমেলা   আসছে

    ন কবিদের লিটল ম্যাগাজিন চত্বর
       বাদবাকি মিডিয়া সিনেমা বাংলাব্যান্ড আর খাওয়া
          খাওয়া র মেলা
                 বইগুলো জীবন্ত মিউজিয়াম
        হাসছে
    কঁাদছে গাইছে      গালি দিতে গিয়ে দেখে নিজেদের গায়েই গোবর এসে পড়ছে¡
   






        পাগলের স্বপ্ন  

     একজন সার্জেন্ট
         হাতে ছুরি কঁাচি নিয়ে অপারেশন থিয়েটারে দঁাড়িয়ে
           কপালের ভাঁজে তঁার পীড়িত দারিদ্র্যের লাল পিঁপড়ে সারি সারি
                  হাফপ্যান্ট পরা ক্লাশ টেনের জলে ঝঁাপ দেওয়া খুশি দগদগে আগুন বাস্তব শুষছে
     বৌ য়ের চুমু, মেয়ের হাসি, স্বার্থপর পরিবারের খাইয়ে মন---
       আসলে একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের স্বর্গ নিজের বাবা, মা বৌ বাচ্চা,
            বাদবাকি তো নির্দল ভোটার

     অপারেশন সাকসেসফুল
            টেবিলগুলো ফুলে ভরেই চলেছে
             অর্থের দূর থেকে লম্বা আলিঙ্গন
              বুটে রজনীগন্ধার আদর
        নারী ছলনায় ওড়নারা নিজেরাই ধর্ষিতা হচ্ছে
             পরকীয়া শহুরে আ্যলশেশিয়ানের স্নান করা
                       মাথা ঘুরছে
           ঝকমকে জীবন,উড়ন্ত রাজস্থানের বালি, কতকগুলো সঙ্গমের আদর
                ভাই বৌদি ভাইঝিদের মিথ্যা ভালোবাসা ----
                     গাঢ় মুগডালের রমরমে গন্ধ ---
                                      পকেটে টাকা নাই
               তো
                         পোড়া বেগুন---?






       পাগলের স্বপ্ন

    পাগল
        এখনো সেমিনারে যায়, ভাষন দেয়,হাসপাতালে নাইট ডিউটি করে----
---     বেডের এক একটি রুগী প্রতিটি পরীক্ষার পেজ
               পাগলটি পেজ নাম্বার গিলে খায়
         গণিতে একশোর একশো , বিজ্ঞানে একশো র নাইনটি টু  পাগলের মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকের প্রাপ্ত মার্কস
                                তবুও
             ল্যাবে মুরগি কাটতে ভয় পায়
          চার পঁাচ পা এগিয়ে চিৎকার করে ওঠে
                   সেটা পাগল বনে যাওয়ার আগে -----