বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৭

স্নিগ্ধসত্তা সুলেখা




স্নিগ্ধসত্তা সুলেখা

শূন্য/ছেদ

শরীর ঢাকা চাঁদ-আলো আর
শিলালিপি সিম্ফনি মিলে
যতিচিহ্নের হোঁচট, সেডিমেন্টারি কোলাপ্স।
দাঁড়িপাল্লায় বহুমাত্রিক আকাঙ্ক্ষা।
ক্ষেতমজুরের ভিড় জমে যায় পরিত্যক্ত নাভিতে
উড়ো...উড়ান... উড়ন্ত...
১টি প্রেমপত্র :নাব্যতা = উষ্ণায়ণ: গভীরতা
যদিও মানসিক সংযোজনে গুপ্ত প্রনয়
কিছুটা ছেদ রেখে যায়।
দুজনেই শূন্য গুনি দুজনের মত।





E- বিবৃতি

স্থবিরতা।
কতটা মরে গেলে কান্না থেমে যায়,
শব হয়ে দেখি।
ফটো ক্যানভাসে আলতা পায়চারী,
মৃতকান্নার ভিড়।
বিকেল বিবর্তনে পাখি উড়ে যায়,
ঋতুতে রাত জাগি।
শব্দ-প্রলাপে উঠে আসে ফ্রেট-স।
ভারতীয় নকশা আঁকি শ্মশান বিছানায়।
পুড়তে পুড়তে দেখি তোমার emoji...





নাব্যতা

নিদ্রা এসে গেলে
বুক পড়ে নিও,
হাতকাটা মেঘ পরে আছি।
পোষা পোশাকের মতো
শ্যামলা টানটান গা গচ্ছিত রাখলাম।
কামারশালায় ঠংঠং...
দীক্ষা নিচ্ছে কেউ লৌহযজ্ঞের।
মুখোমুখি যৌনতা + যজ্ঞতন্তু= সালোকসংশ্লেষ

তারপর
ফুল। ফল। বীজ।
বেশ্যার জন্ম।
তুমি রূপাজীবাও বলতে পারো।





অ্যাকুইজিশন

জীবন্ত চাঁদ ফুটলে
কিছুটা আহ্লাদ দেওয়ালের ছবি হল।
গাছের পরিবর্তিত রঙ দেখতে
সময় পেরিয়ে জানালায় দাঁড়াল লজ্জা,
আমিও কিছুটা লজ্জাবনত।
হাঁস-পুকুরে থেমে থাকা জ্যোৎস্নাদেহ
ফুটল না হলুদ হয়ে,
রাত মেখে ছায়া কালো।
এই ধরো, কাব্যিক সন্ধ্যায় কোনো এক গল্পের
সাম্রাজ্যচ্যুতির পর নাট্যাভিনয়ে যেমন
রিউমার ঢেলে দিই,
কৌতুকরসে ঘন হয়ে উঠি,
ঠিক তেমনি ইনসমনিয়ার কামাগ্নি কীট
নেগেটিভ মিলিমিটার বেয়ে
যৌননৈতিক পাঁচালিতে ব্যস্ত।
আদরমাফিক পদগুলো কারিগরি ঘূর্ণি,
ছুটছে সমতলের দিকে।
নিস্তব্ধ পাথরের মতো বুকে হাত রাখলে,
খসে পড়লো অ্যাকুইজিশন।

চাঁদ ফুটলে বায়বীয় হই
ভাবি, লন্ঠনে কতটা সময় বাঁধবো !





প্রণয় / পথ

পাথরের ভেতর প্রণয় জমে গেলে
নিরুত্তর বসবাসে ক্লান্তিবোধ আসে
আয়ুর ওজন বেড়ে যায়।
বিচিত্র স্পর্শে গুছিয়ে রাখি তোমায়।
অসমতল রাত বেয়ে শীত আসে।
শীত ও সৌজন্যবোধ সমকামী হলে
বিশ্বপ্রেমে জেগে ওঠে চোরাবালি ফাঁদ।
বিচ্ছেদও হারিয়ে যায় তোমার পথে।
সাদা বাতাসে ইতিহাস লিখি
ইতিহাসে বরফ জমে
তারা দিয়ে ঢেকে রাখি অকথিত রাত।
গভীর দাগ, ক্ষত ও তুমি মিলে
নদী হয়ে যাও।