অরুণকুমার দাস
১
তোর
নীলচোখের পাশদিয়ে আরো একটা নদী আঁকলাম
স্বপ্নে --
স্বপ্নে সারারাত সারস পাখির ডাক এবং দীর্ঘ পায়ের দাপাদাপি
মেটাফিজিকাল চশমায় ক্লান্ত বৃষ্টি
ঘরমুখো লতারা, প্রত্যেকের নিজস্ব সন্তান ধারণ কৌশল থাকে
প্রত্যেকের নিজস্ব সংসার
দুএকটা সম্পর্ক থাকে বইতে বইতে ঘাড় নুয়ে পা-ছোঁয়
২
সীমাহীন পথের কিছু পাথর ঘরে ঢুকেপড়ে
আদরে অনাদরে মেঘ সরিয়ে রাখা আলনায়
কিছু ভুল রং মিস্ত্রি`র
সমূহ পাতালে যাবার রাস্তাটা এই বাড়ির চিলেকোঠা নামক গ্রন্থের
অষ্টাদশ পৃষ্টায়
অসামান্য দিন
চল,ভূগোল
চাষ করতে করতে মানচিত্রে ঢুকে পড়ি
৩
সাপলুডোর ভার্জিনিটি থাকেনা
একা একা খেলার বিকেলে চলে যায় ভোর
মেঘনির্মিত মৌরীফুল বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকে
ঝরেনা ---
ঝরার কৌশল শিখে মৃগরা হরিনী নয়নে তাকায়
৪
সুতোর মতন ঝুলেথাকা ভোর
ভোরের দুইদিকে দুটি স্তন
আমরা আছি সবুজে
সবুজ মানে সকাল
আমরা তেমন সাঁতার জানিনা
মায়া আয়নায় অনেক আপেল থাকে
কিছু আপেল অবিবাহিতা, তারা ঝুড়িতে
শেকড় ঢুকিয়ে স্বাদুস্তর পর্যন্ত চলে যায়
৬
এমনই এক সন্ধ্যা এনেদাও
দীর্ঘ করে রাখা মাথাটি অনেকগুলো আড়াই পারকরে
তোমার গতজন্মে ডুবেযাবে
প্রাথমিক গোপনতায় ফুটবেনা আয়নার ভেঙে যাওয়া মুখ
অনেক চৈত্র একদিন জোনাকী
রেশমবাগানের বসন্তকালে
আর একটু গোলগাল দিনে তর্পনের রোদ্দুরে কর্পুর কথা
বাদামগাছটির সংসারে শীত এসে পড়ে
ট্রেনের অবৈতনিক কামরায় ঝুলেযাওয়া বিজ্ঞাপনে বেহেড হয়ে আছে
রাত
মনে, একফালি
ঈশ্বর -
শেষ চালটা ঘোড়া না দাবা
দাবা না ঘোড়া --
মৃগী রোগীর মতন বার বার আসে-----