সুকান্ত
মজুমদার
যে আমি নয়
যতদূর আমার অরক্ষিত বাস
তোমার খোলা দেহ বিন্যাসে,
অন্যতম সরিসৃপ অন্ধকার
হয়ে খেলি
আলোভাবা মৃদু বাসনার
আলিঙ্গনে।
যে আমি নয় তবু আমিতেই
অক্লেশে ভীষণ অসত্য
উদঘাটন করি
বয়েচলা অযাচিত নীতি লয়ে।
সহাস্যে
প্রেম নীতিচ্ছন্ন
উদ্যায়ী সাময়িক
রূপ তমাল তলদেশে দগ্ধ
প্রবাহ
দিনান্তের প্রভূত বিনম্র
অপেক্ষা
মালা মলিন ফুল গন্ধ খোজে,
উবে যাওয়া রাত ঘুঘুর
বাসা বিবর্তনবাদ
হিংসা হিংস্র আমাদের
থাবা প্রসারিত
আমাদের উঠানে লোহিত
আল্পন
তোমার সহাস্য মেনে নেওয়া
অসন্মান।
এদিনের
সরল অঙ্গে ভাঙনের নদীডাক
যৌবনে উন্নত পিশাচের
ছায়া -
মরেও মরিনা উন্মাদ বাসনা
রসনায়
দীর্ঘ সহস্রাব্দ সূর্য
ঢাকা মেঘে সেদিন
এদিন আজকেই কথাহীন
মেরুদণ্ডে
প্রলাপ যুক্তি খোজে
আনুষ্ঠানিক
ভালো থাকা প্রণয় সংগীত
জলবায়ু
আমরা ছবি আঁখি কিছুই
দেখিনা
শীত আসে মনে মেনে নেবার
চাদর ঢাকা স্লোগান
জোছনায়।
অভব্য উদাসীন
খুবলে নেওয়া মনুষ্যত্বের
হাট ভাঙা শান্তি শহর
পাথুরে শরীর
পরশ্রীকাতর দৌড়ানি সার,
অভব্য আলো জ্বলজ্বল
সোহাগ
রাতচরা একছত্র আমি সার
জলাঞ্জলি
বিরক্তির ছায়া পরস্পরের
দেহজুড়ে,
পরবাসে অবকাশ হীন আত্মগোপন।
নব্য নৃতত্বে
ওরা সত্যের জীবনে টলটল
রোদজ্বলা শরীর ঘামমোমে
দগ্ধ
ছবি আঁকা আঁধারি পাড়া
অথর্ব হেলান
গান গাওয়া সুর কান্না
মোছা ন্যাপকিন
এদিকে হালটানা গলিপথ
নব্য নৃতত্ত্বে
আধুনিক ছাড়পত্র যে যার
মত
মত্ত নিস্কলঙ্ক রতি গায়ে
মাখা সুভাষ
আলতো বৈভব চির উদাসীন।