রুমা
ঢ্যাং অধিকারী
বিয়েবাড়ি
কানের পাশ দিয়ে সানাইয়ের
তরঙ্গ ছুটছে
জলের ওপর ভাসতে ভাসতে
ছড়িয়ে পড়ছে মিষ্টিসিজম
রাত্রি
ভোজ
পারফিউম
এরপর যুক্তধ্বনিতে সমঝোতা শ্যাম্পেন খুলবে
আর পাতাবিছানায় জমা হবে
পিকিউলিয়ার অন্ধজন
অনাথ আলয়
বর্তমানের প্ল্যাটফর্ম
একাধিক থেকে এক
তাই আমরা এখন বিচ্ছিন্ন
দ্বীপে কারবার চালাই
নতুন কোন প্রেমের গল্প
পড়ার আগে
আপনি দেখে থাকবেন
নতুন জার্সিটায় হাইফেনের দাগ
কিন্তু এই তো আমার অনাথ
আলয়
আর তাকেই ধারণ করে
মুখ্যার্থে ডুবে যাচ্ছে
শনিগ্রহ
আয়ুকায়ার খোপে পরিলক্ষিত
হচ্ছে
এমনকিছু অগাধ বিষযাপন
যে ম্লান রোজকার
দিনগুলোর কথা বলছিলাম
সেখানে তূনীরের কোল অশ্রুমুখী
গোলাপগাছের শুখাভুখার
কথা কেউ ভাবছে না
কিন্তু আমি দেখছি
চারপাশে কত কয়েতবেল মালা
জানলা জিভ ছুলতে চাইলে
আসলে আমি একদিন ফিরতিপথে আগুন চেয়েছিলাম
জীবন কচুকাটা হচ্ছিল
আর পঙতির ক্রাইসিসে টুকে নিচ্ছি
খুড়কুটোর মত
শব্দাবলী
মনের দোরগোড়ায় ভায়োলিন
বাজাবার আগে
খুব সন্তর্পণে টবের সামনে এলে
দেখা যায়
আকাশের গায়ে ঝুলন্ত কিছু বিল্ডিং
এবং গোধুলির বুকে করাত
চালিয়ে
যন্ত্রণা বানিয়ে নিচ্ছে
স্বর্গ ছোঁয়ার উপভোক্তা দলিল
মৃত্যুর পাশের জানলা জিভ
ছুলতে চাইলে
অবধারিতভাবে দরজায় টোকা পড়ে
সেসব সম্পর্কিত রাস্তাগুলোও খুব মসৃণ
উড়তে মানা
ঘুম নামক পাখির আজ উড়তে মানা
তাই আকাশের ভক্তদল ওড়ার বিষয়বস্তু ভুলেছে
খুব সন্তর্পণে
এক
চিলতে আলোর অধিক কিছু চাইনি
তাও শীতাগমের প্রাক্কালে
হোঁচট খাওয়াগুলো
ঘাম হয়ে জেগে
সেসব দ্রবণে মাথা ডুবিয়ে
বলেছিলাম
ঘোলাজলের গায়ে দুঃখগুলো
অর্পন করার কথা
কিন্তু
ওপরওয়ালার নির্দিষ্টকরণ
প্রতি নিমেষে নিজেরঢোলের পরিচর্যায়
পায়রার পায়ে জল টলমল
কেননা শান্তি ক্রমশ
ধ্বসে যাচ্ছে
পর্যটনকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিয়ে
পাহাড়কে ভালবেসে
পাহাড়কে ভালবেসে সব
অভিজ্ঞান ছুঁয়ে দেখেছি
পলকের আলাদা মাত্রাযোগে
ধুলো জমে
আর পাথরের সাথে কুয়াশার বন্ধুত্বে আমি
আড়ি পাতি
ফুটো দিয়ে যে পর্যটক
লাফিয়ে ওঠে
তার ভূমিকায়
শাওয়ারের নিচে গড়িয়ে যায় অচৈতন্যবাদ
দরজা গায়ে বিন্দুগুলোও
প্রান্তিক
আমার যে বড্ডো
লেপের ঘর হওয়ার ইচ্ছের
কথা মনে হয়
কিন্তু লাল-নীল-সবুজ জীবনে
ব্যথাগুলো পাহাড় তৈরির কর্মে ব্রতী