সৈয়দ
আযম মোহাম্মদ
মন তো তাই বলে---
বসে থাকা পথ চেয়ে
এ পথ তো চলে গেছে দূরে,
দিনমান ধরে প্রশ্ন শুধায়
মন
মন আসে কোথাও ঘুরে।
এ পথে কবেই ঘুরেছি
নদীর মোহনায় সাগরের তীরে
জনারণ্যের ভীড়ে।
জানালার ওপাশটায় শুধুই
শুভ্রতা
শীতের ছোট্ট বিকেল ইষৎ
উষ্ণ যেন
তাতেই বরফ গলে
দূরে কাছে সবাই ভালো
মনতো তাই বলে।
তার কথ
একদিন সব হারিয়ে যায়
যেমনটি ছিলো পিচ ধালা পথ,
বাতায়ন দিয়ে ঐ পথে
দূরে কাউকে খোঁজা
হঠাৎ করে সব যেন
ঠিকানাহীন হয়ে যায়।
আমিতো সেই মানুষকে খুঁজি
যার দুটি অঙ্গুলি
আমার হাতকে স্পর্শ
করেছিলো,
ঐটুকুই-কি দরদী কিংবা
ভদ্রতা
কোনটিই আর পাইনি কথনও।
আমি চলেছি একাকী পথে
যে পথে সকাল দুপুর
সন্ধাকাটে
এতো কোলাহল এখন
তারপরও পথ কেন নির্জন?
আমিতো এখনও খুঁজি
এভাবে কি কাউকে পাওয়া
যায়
কাকে বলবো, কার কাছে চাইবো সন্ধান
একি আমার অকারণ পথ চাওয়া
চাওয়া থেকে বেশী পাওয়া?
এ পথের কি শেষ নেই?
ক্লান্ত পথের অন্তেও কি
তার দেখা নেই?
আমি আর কতো অনুভব করবো
হৃদয়ে প্রীতি
সেই ভালবাসার স্মৃতি।
তিন দশক
নাম কেন ভুলে যাই
কেন ভুলে যাই তুমি ছিলে
সেদিন বসন্ত ছিলো
ছিলো আলোছায়া ঝিরিঝিরি
হাওয়া
আর অল্প চাওয়া।
সেতো ভুলে যাওয়ার নয়
ভালবাসা চুরি করে হারিয়ে
যাওয়ারও নয়
অথচ সব হারিয়ে গেল
সব গেল ঘুরে
স্রোতের মতো সময় ভাসিয়ে
নিয়ে গেল
তিন দশক দূরে।
আজ আবার সম্মুখে সব
একি সত্য না স্বপ্নালোক
একি খুঁজে পাওয়া
নাকি নতুন করে চাওয়া
একি লুকানো আশা
নাকি তিন দশকের সেই
সুপ্ত ভালবাসা?
জন্ম-মৃত্যু
দু:খ কি সুখ
নাকি সুখই দু:খ,
সব ছেড়ে নিয়তি
কেন হয় রুক্ষ?
কর্মই অকর্ম
নাকি অকর্মই কর্ম
জন্মকে কেন মনে হয়
মৃত্যু
আর মৃত্যুকে জন্ম?
অভিমানী মেঘ
মেঘগুলো কখনও কখনও
হারিয়ে যায়
আকাশের নীলিমা থেকে
তখন সব নীল আর নীল
সব কিছু রয়েছে
তবু খুঁজে পাইনা সেই
মিল।
কত বিশাল জীবনখাতা
হৃদয়াকাশও কতো বড়
অথচ মেঘগুলো কোথায় উড়ে
গেল
বৃষ্টি ঝরবে নাকি আর
মন খুলে মন কথা বলবে না
আর?
কতো কঠিন হয়ে যায় সব
ইট পাথরের মতো অবয়ব
কিংবা হৃদয়ের কার্নিশ
যেখানে ভালবাসার বসবাস
অহর্নিশ।
মনে হয়
মেঘেরাও একেলা শহরময়
বড় অভিমানী মেঘ
দু:খ পেলে কোথায় যে উড়ে
যায়।