দেবব্রত
তাঁতী
ভাসা স্বপ্নে
স্বপ্ন ভাঙ্গে স্বপ্ন
গড়ে ; স্বপ্নে বেচে কেনে
মহময়ী ওই চাঁদকে আর দেখো
না
ওর রূপ সর্বনাশ ডেকে আনে
কতরাত জেগেছি বিছানায়
বসে বসে
শুধু প্রিয় নারী মুখ
ভেসে ভেসে উঠত মনে
ঠোঁটের তীব্র মানেই আঁচড়
কাটে
প্রজাপতি হয়ে ওড়ার নেশা
তো রয়েছে
আর কিছু অসম্পূর্ণ থেকে
গেছে পিছুকালে
নেমে এসো শালিক পাখি
স্বপ্নে ভেসে ভেসে উড়ে
চলেছি আকাশ পথে
জা ভাবছি যদি না হতো
সেটা
অন্য কিছু ও হতে পারতো
তো
অচেনা গন্ধে
ভেবে দেখো প্রিয় , তোমারও দশা আমার মতো
রাতের প্রেমিক মন অচেনা
গন্ধ শুঁকতে হন্যেহারা
নইলে দুচোখে ঘুম আসেনা
যে
নীল আকাশের বুকে
ক্ষণিকের সুখ খুঁজি
অভিমান তোমার থাকতে পারে
, আমার না !
দীর্ঘস্তায়িত্ব
স্বল্পতাকেও হার মানায়
পাখিদের ভাষা বুঝতে বেশ
সময় লাগে
ভালোবাসি বলা বারণ ; বলতে নেই
অচেনা গন্ধ ও চেনার
কাছাকাছি আসে ।
কথার খেলা
রক্তপাত , ক্ষুধা নিয়েই লড়াই জীবনের সাথে
মানুষ মানুষকে ভালবাসতে
ভয় পায়
যদি কোনদিন হারিয়ে যায়
অনুভূতি মিয়ে দমবন্ধ
খেলা খেলা শহরের অলিতে গলিতে
শব্দের হাহাকারে বাতাস
মুখরিত
প্রতি ক্ষয় সময়ে সময়ে
হটাত
শুধু কবিতার জন্য
কথাকলির কাছে আসা , ভালোবাসা
দূরে গেলেও কবিতাকে ছেড়ে
যেতে পারেনি কেউ
কথার খেলা খেলতেই হয়
মাঝে মাঝে
অন্য বসন্তে
হটাত যেন ঈশ্বরীয় শক্তি
পাই তোমার স্পর্শে
দেবত্বে এসেও সেই মায়ার
বশে
শাখায় শাখায় ফুল । মেঘ
করে আসছে । বৃষ্টি একঝুল
যদি বল – ইচ্ছে গুলো এখানেই শেষ হলে ...
মিথ্যে নয় ; সত্যিই ভ্রমর মন ভ্রমরীর খোঁজে সোনা রোদে
মিষ্টি স্বরে কোথাও যেন
বিষাদ লুকানো
যদি থাকতেই হয় তবে
ভালোবেসে থাকবো কথা দিলাম
কিন্তু জিজ্ঞাসু মনে
প্রশ্ন জাগে –
সে এক অন্য বসন্তে মিলবে
কি কোন সমাধান
চৌকাঠ
জানো কথাকলি বেঁচে থাকার
অদম্য ইচ্ছা জাগছে মনে
যদি পাশে থাকো বিস্ব জয়
করতে পারি
ছুঁয়ে দিলে নেশাতুর চোখে
প্রেম
একাকী বারান্দায় বহুসময়
পেছনে ফেলে দাঁড়িয়ে
বিকেলের স্নিগ্ধ রোদের
ছড়ানো আদর
কিছু কথা কিছু কবিতায়
কিছু ছবি পুরানো কথায় বিভোর রাতে
প্রেমের ফেরিওয়ালা
অপরাজিতা ফুলের রূপ রস গন্ধে
যদি কথা দাও তবে একসাথে
নতুন রুপে চৌকাঠ পেরতে রাজি ।