অভিষেক ঘোষ
তিন টাকার ডট পেন
একা একা, কেউ
মনের কাছে যেতে পারে না...
কাউকে সঙ্গে নিতে হয়।
দুপুর ফিরে এলে,যেমন শূন্য থাকে এই রাস্তাটাও
হাতে হাতে সূর্যদয়
ডুবে যাওয়ার সময় হলে, আকাশে এমনি তাকিয়ে
কেটে যায়, হাওয়ার
দিক
ভাগ্য স্বীকার করেছে, পোড়া পোড়া গাছের পাতায়
নতুন শব্দ কিছু যেন থেকেও নেই,
ঠিক।
কল্পনা যেমনই করুণ,যেমনই ফুটপাথের পাশে পাশে
ভাঙা জটলা,গল্পের
পায়ে
এগিয়ে যেতে যেতে কেন দরজা খুলে মিলিয়ে যাও
তুমিও, কালো
আবছায়ায়
আমি একা কিছু পারি না।জানো? সমুদ্র একা যাও
পেরেছিল ফিরিয়ে দিতে ঢেউ
এই বিষণ্ণতা গভীরে ঢুকতে দেয় না,ভয় পায়...
যদি তোমার নাম হয়,
যদি
চিনে যায় কেউ?
দুঃখের ঘর থেকে আলো বেড়িয়ে এলে
সন্ধ্যের পর এখানে যে কান্না আসে,তার
নাম ভালবাসা।
দুঃখ
শোন,
বহু দিন আসলে সাদা রঙ টা নেই বলে
মেঘ আঁকতে পারছি না।
চিকিৎসা পর্ব
সমস্ত কান্না একবার থেমে যাওয়ার পর প্রস্তুতি চায় না সে
প্রদীপের আগুনে মিশে যাওয়া বাতাস, নেবে
না কেউ এসে
হয়ত আর কোন গভীর নেই, এ
ঘরে।তাও নদীর গলা ভাঙা
কথা আসবে বলেই হারিয়ে আসা মেঘ,দীর্ঘ
নিঃশ্বাস ফেলে জানা
গেছে তুমি পাহাড় হয়ে গেছ।বরফে ঢাকা শরীরে সূর্য লাগে নি
ঘুমন্ত শৈশব আরও ঘুমন্ত যৌবন,ডাক
শুনেও কিচ্ছুতে জাগে নি
জেগেছে যা সবই দেয়ালের বর্ণ,দূরবীনের
কাটা কাঁচ,দূরের বাড়ি
ঝোপের আড়ালে জোনাকির এক দু ফোঁটা আলোয়,মনের সহকারি
থেমে গিয়ে বাগানের বেড়ায় তারা গেঁথে রাখে।
সকাল হলে,সমস্ত টা অন্ধকার ভেবে বসি তাই,তারায় হাত দিতে বলা
যদি তাতে মনের জোর আসে তার...যদি তাতেই,
ধীরে ধীরে গভীরতা কমে যায়... নদীর,
তবেই তো
সেরে যাবে গলা।