পৃথা রায় চৌধুরী
অনুশয়
এক পৃথিবী চরম দেখালে,
সম্মুখ পরম অবিশ্বাসের থালায়
উফ! কি গরম চোখের দেওয়াল কবর
হাড়ে হাড়ে ছুঁচ আলতো বনিবনায়
শেখানো গুলতির নিশানায়, ঝাপসা দৃশ্যে
এসো তোমাকে ব্যবহার করি
পোড়ার তাগিদে হিমবাহে সদ্গতি,
হে মহামানব, যূপকাষ্ঠ চিরস্থায়ী করে দেখো
পরাজিত ঘুঁটি হবার লালসায়, আহাম্মক
জ্ঞাতে অজ্ঞাতে বেড়ে চলা প্রাচীন নখ
আয়েসি সময় খিমচে রাখে,
অকাতর তলিয়ে যাবার খুঁটিনাটি।
মিটার
রিডিং
বদ্ধ হুলের ভারি চোখ টেনে
ঘুমবাহারের গলাগলি সম্পর্ক চেতনাহীন
স্পর্শজমি কাতরে উঠে খুঁজে নেয়
সেই অল্পবিস্তর জ্বালানির অবশিষ্ট
চ্যুইং গাম ক্লান্তি চিবোয় নিরুদ্দেশ।
শীতের ঘাম জমে থাকে বিন্দু নাকছাবিতে
সুপ্রভাতের বালাই ষাট ধোঁয়ায় ভৈরব
কিছু উন্নাসিক, পক্ষাঘাতের ভৈরবী আলুথালু
ফোলা চোখের কোলে কুটিকুটি হেডলাইন
দিনের কর্ণধার সেয়ানার একশেষ।
ওইখানে বসে ঝালর ঝালর মিথ্যে কথা
কত সুখী গুজব জলসায় মাতে
উল্কি আঁকতে কোনো ব্যথা হয় না
এতো আমি আমি করি একঘেয়ে
তুমি তুমি করে তিন আঙ্গুল ভুসো
লাল পাতায় অনুষ্ণশোণিত নামমুদ্রা;
লঘু কায়া, গুরু ছায়
বেঘোর গতি ছয়লাপ
শর্তে বয়ে যায়।
কামড়
অন্ততঃ দোষারোপ ক্লান্তকে দোসর করেনি
সমস্ত পারম্যুটেশান কম্বিনেশানকে বুড়ো আঙ্গুল
দেখিয়ে,
শুধু "তফাৎ যাও"!
খিদে পায় হঠাৎ করে, রোগ ক্ষমা করো
শক্ত লাগে, নরম ছিঁড়ে দেখি,
কেন্দ্রীভূত শ্বাপদ।
পাপড়ি নষ্ট হেঁচকি বিভাজিকায় অভ্যন্তর
মেনে না নেওয়া পুরুষ, নারী, ক্লীব?
প্রাণনাথের সংজ্ঞায়,
কই কাঁটা প্রাণ!
রাশ টান, রাশ ধর, রাশ ধ্যানজ্ঞান
একরাশ জীবনমুখী লজ্জায়।
এডিটিং
"ধ্বংস হোলো না"-র পরে সমস্ত সোনাঝুরি
পাতা খুলে খুলে ভাঁজ করে রাখে
যত চুপিসাড়;
তোমার আফটার শেভের অবাকে
শান্ত লিখে ফেলে,
শেষ যে এলো না,
চলুক তবে
ষোলো আনার হঠাৎ ম্যাজিক
আঁকিবুঁকির অভিমান।
দেওয়ালের তেলছবিটায়
তুলি গেঁথে দেবে আমার ঠিকানা
গ্রহণের আগেই ছারখার।
ছোঁয়াচে
রোগ পুষে রাখি
রুক্ষ খয়েরি জট চিরুনির অপেক্ষায়
আশ্চর্য অন্ধত্ব নির্বাক একবিন্দু
নিঃশ্বাস নিতে ধন্দে পড়ে খাবি খাই
ড্রাগনের অস্তিত্ব বরফ জমিয়েছে এন্তার
এক লহমায়
রুপকথার দত্যি দানো;
কোথায় তুমি, অসুস্থ?
চাদরের মলাট ছেড়ে সুস্থতা
হামাগুড়ি দিয়ে বিকৃতির রাজপথ ধরে
আদুল গায়ে পড়ে থাকে
দুর্গা, কালি, ঝুলি, লক্ষ্মী, অলক্ষ্মী;
এখন নেই, তখন ছিলো
লালসার এক সিন্ধু।
মুখোশও গলার নলি চিরে
ফিনকি দিয়ে বিচার চাইছে
কি হট্টগোল,
ওই পাশ ফিরে থাকি
আমি ঘুমন্ত।