রবিবার, ২১ মে, ২০১৭

অরুণকুমার দাশ



অরুণকুমার দাশ

তুই তোর জানালায় পর্দা টানিয়ে
চাঁদকে বারণ করেছিস

নগ্নতার ইতিহাস খুঁজে খুঁজে
রোদ নামিয়ে আনি
দুই ঠোঁটের অব্যক্ত পাথরে
পাথরকে ভাষা পর্যন্ত যেতে হয়
নদী পর্যন্ত যেতে হয়

অনামী জাহাজ বাঁধা থাকে বুকের উপর
দুই ধরনের ইচ্ছে গোপন করে তারা
পালকের উড়ে যাবার কৌশল খুব নিজস্ব
আমি সংগা পালটাতে চাইনা

মোমের গায়কী থেকে কিছু সুতো বাদ পড়ে
কিছু বিজ্ঞাপন এমনি এমনি দেখি
তারাখশার জন্য যেটুকু রাত্রি দরকার
ততটুকু ইচ্ছে দত্তক নিলাম

তুই পেইনকিলার খেয়েনিলে
আমি আমার ব্যথাকে প্রচারের আলোয়
না এনে ভ্রুণের মতন পালন করতে করতে
শ্রীরাধীকা সাজি





স্তন
------

দুটো শহর বুকের দুইদিকে
মধ্যবর্তি প্রদেশ অনুর্বর পতিত
জল ও বৃক্ষহীন শরীরের
আঁকাবাঁ তর্যমা

আরো কিছু প্লাকাড আছে, তুলে রাখা
গেরস্থালীর সন্ধ্যায়
বর্ণপরিচয় শেখা পর্বের শহরে
বিজ্ঞাপন হইচই

সব গ্রহণ করি- আবহসংগীতের মতন

উড়েআসা পাতাদের ঘরদোর দেখলাম
ণক্ষত্রের ভেজা ভেজা আলোয়
প্রত্ন - জ্যোৎস্নায় ফুটেথাকে তারা

আহ্লাদ ছুঁয়ে ছুঁয়ে হেঁটে যায় চোখ
গোধূলীর অভিমান
গাঢ় অপেক্ষা

আশ্চর্য প্রাচীন, নবীনারা জানেনা
কতকত কবিতা এখনো লেখা হয়নী
তাদের জন্য----





প্রতিশ্রুতিরা
------------------

প্রতিশ্রুতিরা ভেঙে যাবার জন্য

অনুভূতি বাজিয়ে বাজিয়ে ছেলেটি মেয়েটি
একি সরলরেখায়

বাইরে থেকে অনেকগুলো হাত ছুঁয়ে থাকে

তাদের বৃক্ষ হবার কথা নয়
বন্দরের ভিড়ের আড়ালে আততায়ী
আরো একটা গোলাপ বাগান
আরো একটা দেবদারুপল্লী

অযাচিত বর্ষা এসে পড়ে চারদেয়ালের ভিতর
চারদেয়ালের ভিতর একটা নদীও ঢুকেপড়ে

ছেলেটি এবং মেয়েটি বর্ষা এবং নদীর জন্য
নতুন প্রতিশ্রুতি লেখে





ঝড়
---------

কাল যারা ঝড়ের ছবি এঁকেছিল
আজ তারা পিয়ানো বাজিয়ে
রোদ্দুর ঢুকাচ্ছে ঘরে

ঘরের নির্বাচিত আলবামে অনেক মেঘ
সব মেঘে বর্ষা হয়না
কিছু কিছু প্রশ্রয় বারান্দা পর্যন্ত

দেয়ালটা মাথার মধ্যে
দেয়ালটা প্রশ্রয় ঝুলিয়ে রাখে

সম্পর্কের নাম ছাড়াই

আমি কোনো কোরিওগ্রাফ জানি বা না-জানি
তুমি ধ'রে নিচ্ছ শিম্ফনির আড়ালে উর্বশী
আসলে বাঘ

ঝড় না থামিয়ে উঠেযাচ্ছ!
বৃথাই ডেকেছিলে পাহাড়কে পাহাড়ের ছায়ায়






উচ্ছ্বাস
-----------

বাসনার উৎস  খুঁজতে খুঁজতে
ঝড়ের দেবতার পায়ে এশে পড়ি

গড়প্রনাম-

আমার জন্য একটু আগুন দিও দেবতা

আমিতো পাথর হবার জন্য অশ্বারোহী
দৃশ্যের ভেতরের নীলরং টেনে টেনে বারকরি
আর শরীরে মাখি
নৈঃশব্দের দেয়াল খানিকটা প্ররোচনা
খানিকটা টগবগ তারজন্য রেখে

উলঙ্গ হচ্ছি

দৃড়তার কাছে যাবার আগে
এই ধর্ম
এই ধর্ম ডেকে নিয়ে মৃত্যুর কাছাকাছি
অভিমুখ না পালটিয়ে
বসে থাকি


উচ্ছ্বাসে