রাহুল গাংগুলি
ঘাসফড়িঙ
-----------------------------------
(১)
কিছু শব্দ নিয়ন্ত্রনহীন হলে তুমি বুকে বুক
ঠেকিয়ে এখনো রাগ করো।
আমি নৌকা ভাসাই - ঝালমুড়ির ঠোঙা দিয়ে দুরন্ত
পাখি বানাই।
সকলেই উড়ান ভালবাসে - শুধু তুমি আকাশী ওড়না।
মাঝেমাঝে বেশ কিছু আলাপচারীতা ভাল লাগে।
কাকভোরে মিথ্যেগুলো আরো সজীব।
কিছু ছেঁড়া ব্যাকারণ অকারনে সুচতুর কৌশলে
আঁষটে ব্যাখ্যা দেয় ভিতরের।
কি বলা যায় - ভিখিরি শূন্যতা না নির্দোষ আঘাত।
আর জলীয় ছায়াছবি দেখ না তুমি।ও বড়ো
যন্ত্রনাদায়ক।এস একসাথে এক্কাদোক্কা খেলি।
তুমি জিতবে,আমি হারব।একটু সাতবাসি
আনন্দে দুজনায় জিরবো - খোলা মাঠ ও ঘাসভূল বালি।
আলাদীনের রুপোলি প্রদীপ - পরজীবী মায়া
(২)
মনের মধ্যে লুকিয়ে রাখা নীলচে পালক।
তোমার শুকনো খেয়ালী ভেলার পদ্মঠোঁটে
অয় অজগর আসছে তেরে - বিষয়আশয়
জাহাজ এখন হট্টমেলায় ডুব নিমেষে।
রাত্রিবেলার মন্দ নিয়ে আতসবাজি
পুড়িয়ে ফেলো পুড়িয়ে দিও আমার বিষাদ
এদিক ওদিক মরচে দিয়ে শহর ঘেরাও
মিছিল ফেরত প্রেমযুগলের গোপন স্বভাব।
হয়তো এবার ডুবসায়রে নেত্রকোনা
বাঁচিয়ে রেখ বাঁচিয়ে দিও আনাচকানাচ
সব বিছানায় ভিজতে গিয়ে শ্মশান চুরি
কোন সময়ে একলা হতে - গোপন সমাজ।
নদীর পাড়ে উল্কাখেলা উল্টো চোখে
তোমার বাড়ি রাস্তা হারাই ভূল ঠিকানায়
নষ্ট যদি হতেই হবে - হলাম আমি
এই কবিতায় তোমায় গড়ি কানায় কানায়
(৩)
তোমাকে স্পর্শ করতে চেয়ে পৃথিবীর সব প্রশ্ন
নিজেকে বিলিয়ে দেবার মতো।
আমি হাতুড়ি আমেজে কয়লার ভিতর খুজি আষাঢ়।হতে পারে
রুপকথা বা প্রেমের গপ্পো - কবিতারা বিচ্যুত ঘুড়ি।ছিড়লে রাখা যায় না প্রাথমিক সংসার
- অধিকাংশই নিখোজ প্রজাপতি।
রোজ রাতে তুমি যখন অভিশাপ ভোগ করো,আমি তোমার সকালের পুরনো ব্লাউজটার হুকগুলো লাগাই।মনে হয় উল বোনা শহর।মন্দিরে
ঘন্টা - মসজিদে আযান - ক্রুশবিদ্ধ অলীক আত্মসমালোচনা - তুমি আছ বলেই - লালসা ও কামনায়।যেমন
ফরিংএর দল ফুল ছেড়ে বেছে নেয় পাশবালিশের তুলো - বিক্ষেপ উপসংহার।
আমি কেবল ঘর ছেড়ে নদীর কথা ভাবি।
ইচ্ছে সময় পুজি - কখন তোমার সাগরে গিয়ে মিশি।
অভিকর্ষ প্রয়োগ - বর্ডারের কম্পন - বুদ্ধ বাণী।
সব একটা বুলেট ঘিরেই আবর্তিত বন্দনা।
কাচের ভাঙ্গা চুড়ি ও কিছু নিষিদ্ধ মাঙ্গলিক আকার
- ইতি তোমার চিঠির শেষে আমি
(৪)
যোগ-বিয়োগ-গুন-ভাগের কল্পনায়
ক্রমশঃ তোমার উপমা হচ্ছে মন্থর।
আমি গেঁথে যাচ্ছি ছুটন্ত রথের চাকা - সুকর্ণ।
এ চক্রব্যূহ অভিযানে কে কে খুঁড়বে বলো অভিমান?
সোনার গিনি খুন হয় প্রকাশ্যে - মাটির কুষ্ঠ হাতে
তোমাকে এভাবেও কি ভাবা যায় কখনো
(৫)
এখনো যেন ঘনিষ্ঠতায় জটিল কিছু ফাঁকি।
বললে না তুমি হৃদিতাপ কোথায় রাখি।
হাওয়ায় ওড়ালে খোলা চুল।
নষ্ট নষ্ট কিছু আতিথেয় ভুল।
এখনো যে অসংলগ্নতা যতো রয়ে গেল বাকি।
তবে এসো জোয়ার তুলি।মাস্তুল ছড়াই।
ভরা কোলে অমাবস্যাতিথি একটু বাড়াবাড়ি।
এখনো দিলে না ঠোঁট - পরাজয় মধুরতম প্রতিশোধ।
আসলে তারাবাতি পুড়ে মরে রাতারাতি।
এখনো দিলে না স্থিতি - রুপালি ব্যর্থ বালি।
শুধু কাড়াকাড়ি কাড়াকাড়ি
শব্দরূপ : রাহুল