শর্মিষ্ঠা
ঘোষ 1.
ভালো থাক
আমাকে ছাড়াই ভালো থাক তুই ঢেউ এর মাথায়
সমুদ্র কি নুন মেপে রাখে এত যে অগাধ
নিঃসীম থেকে শুভেচ্ছা বয়ে কেউ ছুঁয়ে থাকে
একলা হলে নাহয় ভাববি কখনো সখনো
আমি মরে যাই দু একটা ক্ষণ রাত্রি গভীরে
কথায় কথায় বয়ে যাওয়া যায় নিঃশ্বাস গুণে
এটাই বা কিছু কম হোলো নাকি হারানো পাখির
ডানায় বিষাদ ঠোঁটের আগায় অপূর্ব নেশা
পালটে গেছিস দু একটা ধাপ উজ্জ্বলতায়
খুশি , খুব খুশি যন্ত্রণা ভুলে যদি সে আসে
রিপুর পেছনে নষ্ট সময় শুধু মনে থাক
খুব বেঁচে গেছি কয়েকটা দিন খোয়াবনামায়
না ধরানো ঠোঁটে সিগারেট বাট অপেক্ষা জানে
শিখছি এখনো কিভাবে আলগা ভেসে যেতে হয়
রেখে দিই বুকে গোপন গোপন কান্না ঋতুকে
বরফ কুঁচির অগম্য এই ভানের খেলায়
হাটের মধ্যে নজর এড়ানো আদর পুষেছি
চার দেয়ালের দানা দানা বালি হিসেব রেখেছে
কিভাবে ছুঁয়েছি একান্ত ভেবে বুনো রোদ্দুর
মুঠো গলে তার ছটা পড়ে গেছে কখন যেন
আসবিনা আর হয়তো সেভাবে আকাঙ্ক্ষা ছুঁয়ে
ক্লিভেজে লুকোনো পালকটিকেই মনে রেখে দেব
ভালো থাক তুই আমাকে ছাড়াই স্বাবলম্বন
আমিতো শিখছি , শিখেই চলেছি একটা জীবনে
কেটে যাবে রাত কাজের খেয়ালে নুন মেখে মেখে
ঘুম কুড়োনোর শেষ কথা আমি আগেও জেনেছি
দেখিস নি
আসুন বসুন আপ্যায়নে কোনোদিনও দেখিনি তোকে
তুই চির উতলহাওয়া মেদুর আহ্বান
ঘরে এলেই উজালা
তখন কোথায় রাখি কোথায় বসাই
সন্ত্রস্ত গুমগুম ভালোলাগা মধ্যিখানে
থরথর প্রণয় প্রথম শিউলি
তোর হাতে ফূটোফাটা কম
রেখাসূত্রে হারায়নি জামদানি কাজের
মভ রঙ অভিমানও
হারায়নি দিকশূণ্য বেলাঢলানি পথ চাওয়া
তুই তো দেখতেই পাস নি ঝরে যাওয়া কোনো
মাখিস নি অনামা ইনফ্যাচুয়েশান শিশির
অলীক
কুয়াশা কুয়াশা আলতো পালক ছুঁয়ে
ঝাউ স্মৃতি যত টুপটাপ গত দিন
ঠোঁট লাগছিস মাদক মাতাল অগ্রু
হাঁসের ডানায় গড়িয়ে পড়ছে কম্পন
আঙ্গুল জড়িয়ে প্রথম অলীক চূর্ণ
মাকড়সা বোনে আঠার গরল চুম্বন
ছেড়ে গেছে যেই তেরো চোদ্দোর পানসি
তার ছই জানে মুকুরের মৃদু নিঃশ্বাস
ধোঁয়া
কোথাও ধোঁয়া দেখলেই আঙ্গুল অন্য দিকে ঘুরে যায়
যেন সব ভিজে বেড়াল গোঁফ চুমরাতে শেখেনি আদৌ
ধেয়ে আসা পেটো লুফে লুফে উলটো দিকে ছুঁড়ছি
নামাবলী জড়িয়ে রাখছি সেভেন এম এম তাক
হাতসাফাই ভালো পারি বলে কাদা লাগছে না গায়ে
লুকিং গ্লাস জলে চোবালেই ট্যারাব্যাকা দৃশ্যাবলী
সদা সত্য কথা বলিবার গোপাল বালকগণ ঘুমাইতেছে
আহা ! আরো কিছুকাল বিশ্রাম করুক বেচারীরা
সাক্ষী দিতে টানাটানি করে পাবলিক কারণে অকারণে
কালবুর্গী পানেশর দাভোল্কর অভিজিত নিলয়-নীল অনন্তবিজয় গল্প করছেন
করিডোরে হাঁটাহাটি করতে করতে কানে আসছে টুকটাক
অনুমানে বুঝতে পারছি এই আবছা কুয়াশার কারণ
ওরা প্রমিথিউস কে পিটিশান দিতে যাবেন একসাথে
নিভে গেছে অবহেলায় আগুন খোঁজ করে করে হদ্দ ফিনিক্স
চিঠি
কতদিন আসিস নি বলে
দরজার হাতলে হাল্কা ধুলো। মেমোরি থেকে সরে
গেছে চেনা রঙ প্রিমিয়াম ডিও। জীবনটাকে সাপ লুডোর
মত ইউজ করছি। তোর উপেক্ষায় সাপের হাঁ পিছু ছাড়ছে না। কতদিন আসিস নি ভেবে রোজ অন্যমনষ্ক টবে জল দিই। নাইট কুইন ফুটলে কোলে টেনে নি লেফাফা। তোকে বোধ হয় জানানো দরকার এই বৃত্তান্ত।
আজ গিয়েছিলাম তোর
লেগুনে। দু এক ফোঁটা বেড়ে গেল কি লোনা জল? আমি অবশ্য নিত্য অস্বীকার করি দুর্বলতা। নিত্য বাড়িয়ে যাই গর্তের গভীরতা। পাল্লা দিয়ে বেড়ে
যাচ্ছে নেই নেই মনখারাপ। সেসব কবর দিতে দিতে
গজিয়ে উঠছে নতুন লকলকে দূর্বা ঘাস। শেষমেশ ছেড়েই দিলাম
গেরোবাজ পায়রাটাকে। চবুতরায় রেখে গেল সম্বোধন ছিঁড়ে যাওয়া চিঠি।