বুধবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৬

শীলা বিশ্বাস




শীলা বিশ্বাস

মুখশুদ্ধি
শীতের চাদরে মেখে নিলাম ভালোবাসা
শিউলি গুটি গুটি পায় বিদায় জানায়
অপরাজিতা বলছে আমায় দেখ
ফুলেদের ডাকে আনমনা মন
হিমেল হাওয়া গাছের শরীরে
মেলা বইয়ে হারিয়ে যাওয়া দিনের অপেক্ষায় ধূলোরা
মুখ এঁঠো হয় চড়ুইভাতির আধসিদ্ধ খাসীর মাংসে
পশুবিহীন সার্কাসের তাবু শহরেরে বুকে
উৎসবের মুখসুদ্ধি শীতের বাতাসে ।



খেলনা পুতুল
খাঁচার দরজা খোলা তবু পাখির মুক্তি অনেক দূর
ছিটমহলে লুকিয়ে থাকা নাগরিকতার এ যেন দীর্ঘশ্বাস
সভ্যতার কুশপুত্তলিকা পোড়ে সন্ত্রাসের দানবিক ইতিবৃত্তে
পরাধীনতার প্রস্থানপথে আঁকা  কিছু পরাজয় চিহ্ন
সময়ের সরনী থমকে থাকে ,কার্ফু চলে বাস্তিল দুর্গে
চাকার নীচে গুমরে কাঁদে মানুষ এবং মুক্তি  
রক্তাক্ত মেয়ের পাশে শোক করে খেলনা পুতুল
কাগজে কলমে সাক্ষরিত মিথ্যে শান্তি চুক্তি ।।



সর্বংসহা মাটি
এক বুক আগুন নিয়ে
নারীর মোম শরীর ছুঁয়েছিল পুরুষ
হাতের মুঠির মধ্যে শুষ্ক বরফ
প্রজ্বলন ও নির্বাপণ
দুই পুরুষের হাতে
কাঠপুতুলির শরীরে সুতোর টান
বাইরে থেকে কে আর বোঝে
পতিব্রতা রমণী কূলশীলা গুনবতী
নিজের ইচ্ছেই চলতে ভুলে গেছো
নারী আস্তে চলোরে নারী আস্তে বলোরে
কুঁকড়ে  থাকা সর্বংসহা মাটি
মাটির তাল যখন অসুরদলনী শক্তি রূপিণী
মাটির শক্তি ভর কোরে ঊঠে দাঁড়ায় নারী
ভীত হয় পুরুষ
ভাঙ্গে পৌরুষের আজন্ম গরিমা ।



সার্কিট প্রেম
কথাগুলো ছোট হতে হতে...
     বিন্দুতে গিয়ে ঠেকেছে
এক্স লিখলে না ওয়াই লিখলে হ্যাঁ
বানান তো সব ভুলেই গেছি
কম জায়গায় বেশী কথা
সাঙ্কেতিক চিহ্ন স্থলদেশের নাবিক,
প্রশিক্ষণের দরকার হয় না
সার্কিট প্রেম মাদার বোর্ডে
ভার্চুয়াল সম্পর্ক শুধু
মুখ-বই এর ছোট্ট পৃথিবীতে ।



ছাতা
তুমি নিজেই নিজের কথা বলতে জানো
সাদা আর কালোর মাঝে
কিছু কি হয় ?
তুমি ডান দিকে কিছুটা গিয়ে
বাঁ দিকে যদি যাও
অথবা বাঁদিকে থেকে কিছুটা ডান দিকে
অনেকের তা পছন্দ হবে না
তাই  ছাতার নীচে দাঁড়াবার আগে ভেবে নাও
ফুটো ছাতার তলায় দাঁড়িয়ে বৃষ্টিতে ভিজবে
নাকি ভিজবে বিনা ছাতায় ।