মিজান ভূইয়া
ছাদের জ্যোৎস্না
চুলখোলা
অক্ষরগুলি
পিঠ অব্দি সুগন্ধ ছড়ায়
তখন
মন খারাপ করা প্রজাপতি
চোখের চাষাবাদ দেখে
যদিও
দেহের উপসাগরে হৃদয় নিখোঁজ
হয়ে যায়।
টের পাই কাচের মুর্তি,
টের পাই সূর্যশিখা!
কবেকার ঝড়
কবেকার নির্জনতা ডানা মেলে দুয়ারে
দাঁড়ায়
মনে পড়ে চার দেয়ালের ভুল
প্রিয়
দংশনগুলি মনে পড়ে,
ছাদের জ্যোৎস্না ছিল প্রিয় মুহুর্ত
প্রিয় চেনাজানা
যা এখন কষ্ট দেয়।
মৃত্যুর ডাকাডাকি
সেই মাঠ
সেই পথ
খুঁজে খুঁজে
পার হয়ে এসেছি মনের সাদাকালো
দাগ।
আমাদের ক্লান্ত আকাশ উজ্জ্বল হতে
থাকে
কাহিনীগুলি উজ্জ্বল হয়,
শীতরাতগুলি মনে পড়ে,
গানগুলি মনে পড়ে।
ভালোবেসে দিন গেছে
তবুও
আতীতে অন্ধকারে খুঁজে পাই ব্যথা।
যতই পাশে বসি স্মৃতি আর স্মৃতি
যতই কাছে আসি নদী আর নদী।
হাতে হাত রেখে দু'জনেই চুপ করে
থাকি
শুনি হেমন্তের মাঠে আজ
মৃত্যুর ডাকাডাকি, শুধু
ডাকাকি.…!
শীত আসে
শীত আসে;
দু' একটা দিন ফেলে রেখে যায়
উঠোনের কোনে
প্রাণের গীটার হয়ে শীত বাজে
আঙ্গুলের ভেতর
মাঝে মাঝে শীতের ভেতর থেকে
শীতের গন্ধ আসে
শীতের ভেতর থেকে
দূরের গন্ধ আসে
একদিন এই শীত আমাকে
বহুদূর নিয়ে যাবে
আমি শীতের ভেতর গিয়ে
শীত হয়ে ঘুমিয়ে যাবো
এখন মাঠে মাঠে
শীতের প্রজাপতি
রৌদ্রের মধ্যে শীতের প্রজাপতি
খড়-কূটোতে শীতের প্রজাপতি
জীবনের গান গায়
একদিন এপার থেকে
ওপারের দূরত্বে যাবো
একদিন শীত থেকে
শীতের দূরত্বে যাবো।
সেই শাদা বাড়ী
নদী-সবুজ সেই
শাদা বাড়ি থেকে ব্যথিত তীরের
মতো উড়ে যায়
পাখি
দাড়িকমার মতো মনে পড়ে
গত রাতের বিছানা-বালিশ
শরীরে
কল্পিত অক্ষর
সময়টা চোখের মতো চায়
সেই সিল্কি চুলে অস্ত যায়
গোপন দেখাদেখি
দশটি
আঙুলের বেলা
কাঠের আসবাবে ত্বকের গন্ধ
পাই
হাঁটা-চলা ভাঁজ করে রাখি,
কোথাও ছায়া পড়ে কিনা
সচেতন থাকি।
পুরণো বাতাস
না শরীর
না সমুদ্র
মাছের কাজ দেখি, মৌনতা দেখি।
কবেকার পাখি এসে
ছায়া এঁকে যায়, তোমার চোখ
এঁকে যায়,
আকাশেই থেকে যায়
আকাশের গল্প।
একটি শীতের বিকেল
একটি প্রজাপতি
পুরণো বাতাস কিছু
এইতো জীবন…!
তোমার জানালা ছুঁয়ে
আজও আমি দূরের দেশ হয়ে যাই,
নদী ও নক্ষত্র হয়ে যাই;
উজ্জ্বলতা ধরে রেখে
উজ্জ্বলতা পাই।
সেই শস্যহীন প্রেমে কোনো
কোলাহল ছিল না,
পরিপাটি তোমাকে ঘিরে
আগুন ও জল ছিল,
বাতাসে হাহাকার ছিল।