মোস্তফা নূর
বিষাক্ত জিভ এবং অপাংক্তেয়
========================
সংসারে আয় পাতার খুপরীতে রেখে মন
চল আকাশে রেখে চোখ রাস্তায় শো’ব ।
যদি নিঃশ্বাসের সীমানায় বিশ্বাস হ’বি
আমার পক্ষে আছে উদয়দিগন্ত বিস্তারি প্রেম
জমাট চুনাপাথরের মতো কর্পুর
ক্ষোভ লোভ বোঝায় করে কোথায় যাবি !
চল সংসারে, ফিরিয়ে নে মগজের ডিঙ্গি
ধারনার কুল পাবি স্বপ্নশালিন হবে আমাতে
চোখ তুলে দেখ ক্ষমাকে আলিঙ্গন করে
সহজ হলে সবই মিলে দুষ্টিমতিকে আর নয়
কোনো প্রশ্রয়ে সুখ নেই। প্রিয় সংগঠন ডাকে
নিজেকে ক্ষমা করে যে জন হদ্দবোকা
তাকে ক্ষমা করে কে? নিজের বিচার কর
নে সামান্য বিশ্রাম একটু বস বৃক্ষের ছায়ায়
যার শিকড় কাটলি বিষাক্ত জিভে।
২২/১১/১৬ ইং।
অঙ্কুরিত বীজ; বেমালুম চাষী
============================
অঙ্কুরিত বীজ হাতে হাতে বিলানো যায়না
তবুও তাই করেছি আবেগ সংবরনে অকৃপন
এক মানষিক মানুষ ছিলাম ভেবে আপ্লুত
রক্ত ফসিলে উর্বর জমি ছিল আমার হৃদয়
আবারো বুনেছি বৃক্ষ হয়েছে কেঁদেছেও
অবিরাম কর্ষনের ফল লুফেছে সবাই ওরাও
যাদের ছিলনা সামান্য ভালোবাসা অবশিষ্ট
নির্মম কষাঘাতে ফিরিয়ে দেয়া বীজপত্র
ক্ষতির চিহ্ন বুকে কারো কারো নাম বলে
আমার কানে কানে এসে দুঃখ ঝাড়ে
বেমালুম চাষী ছিলাম আজো কিনা তাই।
২২/১১/১৬ ইং
ফুল ছিলে তুমিও
====================
বুকে তুলে নিলাম কলঙ্কের ঢোল
সকল বিভক্ত পাপড়ীর রেশ
ওরা একসময় গুছিয়ে একবৃন্তে দুলতো
ফুল ছিলে তুমিও আকাশ মাতিয়ে
ঘ্রাণের ফোয়ারা বিলিয়ে উদ্ভাসিত হতে
বাতাসের বেগে নাচতো হরেক রং
তুমিতো জানো !
ফুলেদের ঘ্রাণ তার রঙের ছবিও আঁকে
আমি গোলাপ বলে ডাকলে
গোলাপীরা ঘাড় বাঁকিয়ে চোখ রাখতো
ভীষণ আনকোরা ছিলাম বলে
চোখ নামিয়ে বুকে কম্পন হতো
ঈর্ষা অভিমান একসাথে ফুটতো ঠোঁটে
হলুদ এবং লাল বলে ডাকলে
সমস্থ গাঁদাফুলের বাগান শিহরিত হতো
এখনো কি তাই হয়!
একই রকম সকাল এবং সন্ধ্যা!
২১/১১/১৬ ইং।
পোকার সংবাদ
=========================
আগেতো বলোনি প্রিয়া পোকার সংবাদ
বুকে বুসে কুটে কুটে খায় জ্যান্ত ফসিল
তখনো হেসেছো মেতেছো হররোজ
মসৃন, প্রিয় হাসি লেগেছিল চেহারায়
ঠোঁটেও দেখিনি ব্যথার বিন্দু রেশ
কেটে ফেলে দিলে যেমন কীটের আবাস
দূরবর্তী সময়ে দু’পাশ ঘিরে অসভ্যতা
তাকেও সরিয়ে দাও নাসিকার ঘ্রাণ হতে
মাঝে নিষ্পলক আনমনা করা ব্যধি
এই বুঝি চেপে যাওয়া মিহিসংকট
মাথায় বসা অযাচিত নখরা শকুন
উড়ে যাক পরে যাক পুড়ে হোক ছাই।
১৭/১১/১৬ ইং।
কেউ ভালোবাসে বলে
=============================
কতটা দূরত্বে সরে গেলে নিরাপদ বোধ করি বলো
সুনামীর রোষ হতে, সাগর জানালে বিজ্ঞান হয়
তুমিতো বলোনি জেদের আস্ফালন এবং
হররোজ ভেঙে ভেঙে স্বাদ নেয়া তিক্ত জীবনের
নিরাপদ পরিণতি কিংবা পরিমিতির সূচক কী!
কিছু কিছু খিড়কী মৃত্যু এবং জীবনের মাঝখানে
বিশাল করে দাঁড়ায়, আগলে রাখে জীবনের মানে
অগুণিত ভাঙ্গা স্বপ্নের স্মৃতি মিলে ভাগাড় হৃদয়
ইলেকট্রনিক্স বর্জ্যের মতো প্রতিক্রিয়াশীল
লভ্যাংশ
যেনো জমা হয়ে দাঁড়ায় কালো দৈত্যের মতো
কতটা দূরত্বে থাকলে এসব বিষাক্ত রাসায়নিক হতে
নিরক্ষীয় থাকি! জানিনা ভুল বিক্রিয়ার কি দণ্ড!
জানিনা আগামীকালের হিসাব কার পক্ষে যাবে
দেশ ছেড়ে মহাদেশ যাই, মরে গিয়ে চুপ হই
কেউ ভালোবাসে বলে- ভুলে যাই বেঁচে উঠি
প্রতিক্রিয়া পরীক্ষার গিনিপিগ মহাবিজ্ঞানীর হাতে
চিমটিতে উপড়ে দেয়া অবধি আমার পোড়া যকৃত
নিরাপদ নই বুঝি সজ্ঞানে, জানি মৃত্যু যদি রোখে
নিরাপত্তা দেয় প্রশান্ত নির্জিব অফুরন্ত
সময়ে
কেউ ভালোবাসে বলে- অনুযোগ করিনা আর।
১৫/১১/১৬ ইং।