অলভ্য ঘোষ
পাসওয়ার্ড
-------------------
সুচিত্রা আজ অস্ত্র ছেড়েছে শহীদ কৃষাণ জি
ল্যাপটপ টা খুঁজে পাওয়া গেছে দরকার
পাসওয়ার্ড কি ।
কত তথ্য কত প্রমাণ কুকুরের মতো খোঁজে
সেনা ।
খোঁজার ছলেই কেউ মসনদে ; কার তখন ও
ভাত জোটে না ।
ধুঁকতে ধুঁকতে খোঁজার চেষ্টা কারো কারো ম্লান
কথায় ধোঁকা খাচ্ছ শুধু বুজছ নাকো কান ।
প্রেম বিলাসী বাংলা ছবির নাচছে খোকাবাবু
নেকা সংস্কৃতির পাল্লায় পড়ে যৌবন হয়েছে কাবু ।
হায়রে ভগৎ ; হায়রে সুভাষ হায়রে
ক্ষুদিরাম
স্টেরয়েড হিরো শাহরুখ - সালমান তোদের নেইকো দাম
।
বীরপুরুষের নাম বললেই অমিতাভ বচ্চন
বীরাঙ্গনা রাখি সাওয়ান্ত , ভারতের বাপের নাম মনোরঞ্জন ।
ক্রিকেট টি খেলা নয়কো বড় রেসের মাঠ
নিদেন পক্ষে বিয়ার না খেলে হওয়া যায় না স্মাট
।
শিক্ষাদীক্ষা স্কুল কলেজে পয়সা দিলেই মেলে
সাম্রাজ্য বাদ নোবেল দেবে ঘিলু চিবিয়ে খেলে ।
দেনার দায়ে উঠুক স্বদেশ ফুটুক মনুষ্যত্ব
ভোগবাদীর আফিং খেয়ে আমরা তাদের ভক্ত ।
শক্ত হেগে রক্ত মেখে খাবে যখন কাঁচ কলা
দেখবে ওটার স্বত্ব নিয়েছে আমেরিকান শালা ।
বিশ্বব্যাংক আর রাষ্ট্র সংঘ তারাও আছে সঙ্গে
অর্থ অস্ত্র যুগল মূর্তি থাকবে একি অঙ্গে ।
দেশীয় ভায়রা ও ইশারাতে পিছনে দেবে বাঁশ।
রেপের সময় চেঁচালে পড়ে আর সর্বনাশ ।
ওদের করা সুখের আদরে আমার হয় কষ্ট
যন্ত্রণার কথা লিখলে বলবে বেটা পথ ভ্রষ্ট ।
ভুখা পেটে গলার আওয়াজ কিন কিন করে বার হয় ;
একসাথে অনেকে হলেই প্রশাসনে ভূতের ভয় ।
সমাজতন্ত্রের স্বপ্ন দেখে আত্মবলিদান
গণতন্ত্রের সংবিধানে সন্ত্রাস এর নাম ।
কালবেলা তে বল বর্ধন যাদের টনিক খেয়ে
পাসওয়ার্ড টা তারই তোমার দিয়েছে গুলিয়ে ।
চাষা ও ক্ষেত
-------------
আমি চাষা তুমি ক্ষেত;নেই তাতে কোন আক্ষেপ।
আমার ঠোটের চুমুতে চুমুতে দেখছি তোমার রুক্ষ
ভূমিতে
ফলেছে কত ফসল।
নাভির নিচে চাবি তোমার দুজনে গড়েছি যৌথ খামার।
এ সংসারের চারণ
ক্ষেত্রে করছি মেষ পালন;
তোমার বুকের
সুধা পান করে হয় বিশ্বে প্রেমের
লালন।
নির্বাসন
----------------
রাস্তায় পড়ে আছে ঝলসানো
প্রজাপতি গুলো । যেখানে যেখানে
সভ্যতার পা পড়েছে মারা গেছে
কচি ঘাস ।শুঁয়োপোকার কনো
সৌকুমার্য নেই ; আছে আত্ম
রক্ষার শক্তি । সারা গায়ে কাঁটা ।
যেখানে সাজানো গুছনো প্রজাতন্ত্র
সুন্দরের চিতা ; ঝলসানো
প্রজাপতির মতো ; আর প্রজাতি
হয়ো না মানুষ ; তোমার রূপের
ট্যাবলো নয় চাই অস্ত্রর কুচকাওয়াজ ।
স্বাধীনতা তুমি আজো পাওনি । যদি
কোন দিন সুনিশ্চিত ভাত কাপড়
আর বাসস্থান পাও ; বিশ্বাস
আর প্রেম তোমাকে আষ্টেপীষ্টে
ফিরিয়ে নিয়ে যায় ভাগবতে ; সে
দিন তোমার রং বেরংয়ের ডানা
মেলো । গুটি ভেঙে শুঁয়োপোকা হয়ো
প্রজাপতি । আজ সমর অস্ত্রের
দরকার ;দরকার নিরাপত্তার ।
তুমি বৃহন্নলা নয় প্রমিথিউস
হও । সুন্দরের কল্প চর্চা ছেড়ে
এসো অসুন্দরের কিলবিল করা
কেঁচোর মতো , নরকের কীটের
মতো আমাদের জীবনের কথা
বলি । যা বলা হয়নি আজ অবধি
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সৃজনেও । আজ
শিল্প বিলাস বন্ধকরে এসো ম্যান
হোলের মুখ গুলো খুলে দিই ।
মানুষের দগদগে ঘা গুলো যদি
পট্টি বেঁধে চিরকাল লুকিয়ে রাখা
হয়; কোনদিন শুকোবে না । ও
গুলয় হাওয়া বাতাস লাগতে দাও ।
নিয়মিত শুশ্রুষা কর । চাবুক ছাড়া
যেমন ঘোড়া ছোটে না ;তেমনি
মানুষের আত্মাও জাগে না ফুলের
মূর্ছনায় । আঘাত হানো আঘাত;
প্রচণ্ড আঘাত । অবরুদ্ধ হয়ে আসা
হৃদপিণ্ড টার ওপর যতটা আঘাত
হানলে সেটায় আবার স্বচ্ছ রক্ত
চলাচল করতে পাড়ে ।
প্রজাপতি তোমায় দিলাম
নির্বাসন । শুঁয়োপোকা তুমি
প্রজাপতি হয়ো ; এ দেশের
উপত্যকা নন্দনকানন হলে ।
হৃদয়
--------
উকুনের মত নখে টিপে মেরে দিতে পারি ধর্মের যত
বেলেল্লাপনা।
হৃদয়ে মনুষত্ব; ধর্মগ্রন্থ গুলো তার কাছে ধার করে লেখা।
ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দেয়া যায় পৃথিবীর যত বিভাজনের
কাঁটাতার।
হৃদয় অবিচ্ছেদ্য;আকাশের থেকে ব্যাপ্ত।
তুড়ি মেরে নস্যাৎ করে দেওয়া যায় সব দূরত্ব ।
হৃদয়
আলোর চেয়ে ও গতিশীল।
মন নিরাকার।মনের আকার হৃদয়।
হৃদয় বললে ধুকপুক করা হৃদপিন্ড টার কথা মনে
পড়ে যায়।
ইংরেজদের মন আর মাইন্ড সমর্থক।
আমাদের মন আছে হৃদয় জুড়ে।
উদারীকরণ
------------------
বুকের উপর নগ্ন নখের থাবায় থাবায়
খাচ্ছি যখন চৈত্র মেঘের উষ্ণ অধর ।
চৈত্র বললো অহিতকর নাবালকত্ব ।
অথচ উদোম মাসিক জননেন্দ্রিয় ।
প্রেমিক
ভালো চৈত্র মাসে পকেট উচু ।
কছেলের বাপ কি দরকার সে মাপে ।
মাপছে সবাই মাপার মতো কুনকে পেলে ।
না হলে কি ভাবে ভাব জমবে দামে ।
ঠকঠকিয়ে ঠকাচ্ছে কেউ ঠকছে কেউবা ।
দরদরিয়ে ঘামছি সবাই প্রেমের হাটে ।
অর্থনীতির বালাই কারণ ।
ভালবাসার নামটি করে
বাণিজ্যের
উদারীকরণ।