নাসির ওয়াদেন
জলতরঙ্গ
বৃষ্টিরা এখন হামাগুড়ি টানে
জলের শব্দে আড়ি পাতে তরঙ্গ
ফুলের ফোয়ারা ফোটে অন্ধকার বাগান --
ব্যভিচারী বাতাস এলোমেলো করে শরীর
বুকে নিদানের গল্প শোনায় আরব্য রজনী
জলতরঙ্গ ঢেউ-ফুল ফোটায় বালিতে
শীত আইবুড়ো হয়েও ঘুরে বেড়াচ্ছে পাড়া
বেহায়া উষ্ণতা শীতের ভরণ পোষণ
নিতে চাইছে আর
লেপ কম্বল জড়িয়ে শুয়ে পড়েছে শীত ।।
○○○○○○○○○○○○○○○○○○○○○○○○○○
ঘাতক
আমাদের মধ্যে কেউ কেউ ঘাতক
লুকিয়ে আছে মনের অরণ্যে
মেষ শাবকের জল ঘোলার গল্প ফাঁদে --
ভালোবাসার জলজ-বিন্দু কচু পাতার
ওপর থেকে গড়িয়ে পড়ে
আত্মহননের দিকে •••••
চিন্তার খোলস ছেড়ে সরীসৃপের মতো
হামাগুড়ি দিচ্ছে রাত্রির অন্ধকার
অহমিকার গুপ্তবীজ ছড়াছড়ি নিষ্ফলা মাটিতে --
ভালোবাসা হারালে, বিশ্বাস হারালে
শিরদাঁড়া ভেঙে পড়ে আকাঙ্ক্ষার
আত্মদ্রোহ ভুলে আত্মাহূতি দেয় ।
পদোন্নতি
উড়ে যাচ্ছে চিহ্ন
ছুঁয়ে যাচ্ছে শরীর
ফুসকুড়ি গলাচ্ছে চেতনা
বিশ্বাসের থলিতে আনাজের বাজার
অনটন চলছে টাকা পয়সার
বাজার ঘুমোচ্ছে ছাউনির তলায়
দেদার পুঁড়চ্ছে নোটের
বান্ডিল
কালো ছাই সাদা হচ্ছে••••••
বিকালের রোদ গেলছে
উদ্বিগ্ন বাতাস
পদোন্নতিতে পা গলাচ্ছে শীতের মোজাগুলো ।
শীত
শীত আসেনি এখনও
অথচ , শীতঘুম এসে গেছে
প্রবীণ বৃক্ষের শীতল চোখ
হাওয়া দোল দিচ্ছে মাঘী দোলনা
রিরংসা তাড়া করে অন্ধকারে
দিন মিশে গেছে দিনের আলোতে
বদলাতে পারে বেয়ারিং ঋতু
বাঘিনীর শীৎকারে জেগে ওঠে বন ।।
জীবন
জীবন ত্রিভুজ সদৃশ ত্রিনয়নী
অভিমানগুলো ক্রমাগত অতিভূজ
হচ্ছে
ভৃমি লুটিয়ে পড়ছে সময়ের বন্ধনে
সমকোণী দৃষ্টি দেখার চেষ্টা করছে
তথাপি, ভৃমিকে লম্বের সমান করা যাচ্ছেনা ।
জীবন নিষিদ্ধ ফলের আকর্ষণে গাছতলায় ছুটছে ।।