তৈমুর খান
দুর্জয় চাঁদ
কল্লোল ভেসে যাচ্ছে রাস্তায়
আমাদের কথারা নৌকার বিশ্রামে
দুলছে
কোথাও যাচ্ছে না
রোদমাখা বাতাসে ধূসর পাঞ্জাবি
উড়ছে
অবেলার গার্হস্থ্য বিলাপ শুধু
ছায়াদের নোনতা বিষাদ জমে আছে
বাইরে নিয়ে চলো প্রজ্ঞা
অনুভব অনুর্বর বলে
আমরা শুধু ঈশ্বর আর ধর্মোৎসবে
ক্লান্ত হই
আমাদের অন্ধকারগুলি
তমসার খ্যাতির আড়ালে
কোনও নিয়তির চাঁদ খুঁজে ফেরে
বড়ো দুর্জয় চাঁদ
দুর্বোধ
সংসার
সোনালি বিশ্বাসের ভেতর
প্রশ্নের চাবি হাসতে থাকে
স্তব্ধতার ঘুম ভেঙে জেগে ওঠে
আলো —
আলোকে কি ভালোবাসা যায় ?
সব ভালোবাসাগুলি হংসমিথুনের
জ্বরে কাঁপে
বিহ্বল বালুচরে ঝরে অবেলার গান
বালি খুঁড়ে খুঁড়ে
আমাদের পিপাসার দুর্বোধ সংসার
অপেক্ষা করে থাকে
যুদ্ধের গান
যদিও নষ্ট হতে থাকি
নষ্ট হওয়াও এক জাদু
নিজেরই ভাঙা টুকরোগুলো
যুদ্ধের ভাঙা তরবারি
বিলোল হাওয়ায় পাতা ঝরে
ঝরা পাতার বাজনায়
জেগে ওঠে সকাল
সকালে গেয়ে উঠি
যুদ্ধের গান...
তবুও
জোনাকিরা জ্বলে
তবুও জোনাকিরা জ্বলে
চেতনার রাত জুড়ে অন্ধকার
সম্ভাবনাগুলি একে একে
দীর্ঘশ্বাস ফেলে চলে যায়
একা একা বসে থাকি
মেঘের টুকরোগুলি উড়ে আসে
অসহায় নক্ষত্ররা ডুবে যায়
অন্ধকার পাখির পালকে
ডানা খসে পড়ে
নিঃসীম ডানাগুলি
পরকালের সংবাদ
ঘুম নেই
ঘুমের কোনও দেশ নেই
জোনাকিরা জ্বলে দূরে
বিশ্বাসের তীরে
এই দৃশ্যে
আমিও বিস্ময়
অসুস্থ প্রতিযোগিতারা
এত চেঁচামেচি করে কেন ?
সভ্যতা লেগে যাচ্ছে
পোশাকে আশাকে
চেতনা শরীর পাচ্ছে
অশরীরী আত্মার কাছে
রাস্তা চেয়ে আছে বিহ্বল
দৃষ্টিতে
সময়ের পাখোয়াজ বাজাচ্ছে বেশ
এগলি সেগলি ঘুরে করুণা যায়
করুণা ভিখিরি হয়ে ফেরে
আমরা কোন্ বিদ্যার কাছে
বসেছি হাঁটু মুড়ে ?
হায় ধর্ম !
শহর তোলপাড় হয়ে রাত জাগে
আলোরা স্তনের মতো
মোহময় কাঁপে ইশারায়