রাহুল গাঙ্গুলী
মুখোমুখি
অপেক্ষারা
১
দুর্ঘটনায়
ক্রমশঃ
বিকেল হচ্ছো।
খুঁজছি আড়মোড়া
ভাঙ্গা পঞ্চভুত চক্র।
ট্যাপকলের জলের
মতন সম্পর্কিত সময় শুধরে নিচ্ছে ব্যর্থতা ও ভুলের মাশুল।।
২
শীঘ্রপতনে উড়ছে
আকাশী বেলুন।
যদিওবা আকাশে
নয়।
মাটির নীচে
জানালাটাই খোলা ছিল।।
৩
মনকেমনের রাতে
আলোরকণারা বড়ো উদাসীন।
পাহাড় বেয়ে নেমে
আসা পাঞ্জাবী ড্রাইভারের নেমন্তন্ন –
ফিরে এসো বাড়ি।
দ্বিধাহীন
কলমিলতায় ভাসাই অ্যালকোহলিক তরঙ্গ।।
৪
সিঁড়িভাঙ্গা
অঙ্কখাতা শেষ।
অমর মূর্তির
মাথায় কাঁচাপাকা পাখিদের স্নানাহার।
চাহিদামত নয়।
কবিতায় সেলোটেপ
মুহূর্ত।।
৫
মুখোমুখি
অপেক্ষাগুলো বেশ।
পুরুষ বা নারী
সন্দেহে অতিক্রান্ত আগুনে শহরের আঁচলে থাকা শিবলিঙ্গ।
পেটের
আগ্নেয়গিরি –
প্রত্নতাত্ত্বিক
খোঁজাখুঁজিতে ফসিল মেলে বোহেমিয়ান স্বপ্নচাকার।।
৬
কতকাল হলো ঝমঝম
বৃষ্টি দেখিনি।
অথচ ঠোঁট পোয়াচ্ছে
চায়ের কাপ।
তাজমহলে
পূর্ণিমার তালি।
ছাপা হচ্ছে
অন্তিম প্রিন্ট।
কপিরাইটে ধূলো
জমা বেলফুলী খোঁপার মতো।
অস্বাভাবিক নয়।।
৭
ঋ-বেশের গেরুয়া
রঙে আর তোমাকে মানাচ্ছে না।
ঠোঁটে হোক
লিপস্টিকের নীলাভ।
ল্যাকমের সদ্য
পাশ করা ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর –
বুঝতে চাই বিছানা
ভাঙ্গার পরিধি।
তোমাকে লুকিয়ে।
সাথে রেখ ডেটল
চিঠি।
জলের
সন্ধান।সবার জন্য।
পাহাড় কাটার
ব্যভিচার।
আঙ্গুল গভীরে
পৌঁছালে গুপ্তযুগের কনিষ্কবাসিনী।
একটা কষ্ট -
ছলছল কাজল শিশির –
তোমাকে বেশ
মানায়।।
৮
অন্ততঃ একবারের
জন্য হত্যা করো আমায়।
দেব না যকৃৎ
মাখা ডুবোপাহাড়।
স্বপ্নদোষে
ছলছলানি বুনো হাসের দল ইদানীং মোহনামুখি।
অন্ততঃ একবারের
জন্য হলেও আয়নাপ্রেমে ডুবিয়ো আমায়।
হিংস্র শব্দলিপি
–
আর্কিমিডিস
অধ্যায়কে নতুন করে ভাবতে ইচ্ছে হয়।।