বুধবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৬

রাহুল গাঙ্গুলী



রাহুল গাঙ্গুলী
মুখোমুখি অপেক্ষারা

দুর্ঘটনায় ক্রমশঃ
বিকেল হচ্ছো।
খুঁজছি আড়মোড়া ভাঙ্গা পঞ্চভুত চক্র।
ট্যাপকলের জলের মতন সম্পর্কিত সময় শুধরে নিচ্ছে ব্যর্থতা ও ভুলের মাশুল।।




শীঘ্রপতনে উড়ছে আকাশী বেলুন।
যদিওবা আকাশে নয়।
মাটির নীচে জানালাটাই খোলা ছিল।।




মনকেমনের রাতে আলোরকণারা বড়ো উদাসীন।
পাহাড় বেয়ে নেমে আসা পাঞ্জাবী ড্রাইভারের নেমন্তন্ন –
ফিরে এসো বাড়ি।
দ্বিধাহীন কলমিলতায় ভাসাই অ্যালকোহলিক তরঙ্গ।।




সিঁড়িভাঙ্গা অঙ্কখাতা শেষ।
অমর মূর্তির মাথায় কাঁচাপাকা পাখিদের স্নানাহার।
চাহিদামত নয়।
কবিতায় সেলোটেপ মুহূর্ত।।




মুখোমুখি অপেক্ষাগুলো বেশ।
পুরুষ বা নারী সন্দেহে অতিক্রান্ত আগুনে শহরের আঁচলে থাকা শিবলিঙ্গ।
পেটের আগ্নেয়গিরি –
প্রত্নতাত্ত্বিক খোঁজাখুঁজিতে ফসিল মেলে বোহেমিয়ান স্বপ্নচাকার।।




কতকাল হলো ঝমঝম বৃষ্টি দেখিনি।
অথচ ঠোঁট পোয়াচ্ছে চায়ের কাপ।
তাজমহলে পূর্ণিমার তালি।
ছাপা হচ্ছে অন্তিম প্রিন্ট।
কপিরাইটে ধূলো জমা বেলফুলী খোঁপার মতো।
অস্বাভাবিক নয়।।




ঋ-বেশের গেরুয়া রঙে আর তোমাকে মানাচ্ছে না।
ঠোঁটে হোক লিপস্টিকের নীলাভ।
ল্যাকমের সদ্য পাশ করা ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর –
বুঝতে চাই বিছানা ভাঙ্গার পরিধি।
তোমাকে লুকিয়ে।
সাথে রেখ ডেটল চিঠি।
জলের সন্ধান।সবার জন্য।
পাহাড় কাটার ব্যভিচার।
আঙ্গুল গভীরে পৌঁছালে গুপ্তযুগের কনিষ্কবাসিনী।
একটা কষ্ট - ছলছল কাজল শিশির –
তোমাকে বেশ মানায়।।




অন্ততঃ একবারের জন্য হত্যা করো আমায়।
দেব না যকৃৎ মাখা ডুবোপাহাড়।
স্বপ্নদোষে ছলছলানি বুনো হাসের দল ইদানীং মোহনামুখি।
অন্ততঃ একবারের জন্য হলেও আয়নাপ্রেমে ডুবিয়ো আমায়।
হিংস্র শব্দলিপি –
আর্কিমিডিস অধ্যায়কে নতুন করে ভাবতে ইচ্ছে হয়।।