বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়
হারানো নাকছাবি
---------------------------
সারা মাঠে কান্না ছড়িয়ে পড়লে ভেঙে যায় অপ্রশস্ত ঘুম ।
হারানো নাকছাবি থেকে শূন্যতা
তৈরি করে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়ানো প্রশ্রয়
বাইরে হলুদ পাতা
ফাঁকা মাঠ বর্ষার জন্য কেউ কেঁদে উঠল রাতে
মেঘ ডাকে দৃষ্টির স্পর্শে ঝরে একবিন্দু স্মৃতি
হারানো নাকছাবি
নদীর গল্প
—————
নদী কথা বলে তার
আকুলতা লেখা
জলের অক্ষরগুলি
পলিমাটি স্লেটে ,পড়ি
ঐ দাগ, লিপি বদ্ধ আয়ুকথা
যে জল সরে গেছে সমুদ্রের দিকে
সে আর নদী নয়
গ্রাম ও গরীবি থেকে
যে যুবক শহরে এসেছে, রুটি রুজি
পেট ধান্ধা ,স্বপ্নে তার এখনও
মাটির চালাঘর
বাঁকুড়া পটলগুলি ধানবাদ চলে যায় ট্রেনে ।
শুধু জল নয়
পলির আঁচড়
গুলি নদীর জীবনকথা লেখে
গ্রাম ও ডাংরা নদী
———————————
ঐ ভাঙা
রাস্তাগুলি এখন সেলাই হচ্ছে
বর্ষা কি ছিঁড়ে
দেবে আমাদের মেঠোপথ ?
প্রতিদিন তিল
তিল লড়াই
জমিয়ে ঘাম লেখা
গ্রাম লেখা ।
আমাদের ডাংরা নদী
আমাদের আয়ুবসতি।
মানুষের সভ্যতা জল
থেকে সরে যাচ্ছে
বিটুমিনাসের রাস্তা
ধরে
হাইওয়ে হাইওয়ে ।
এখন রাস্তায়
--------------------
এখন রাস্তায়
খুব হট্টগোল নেই
মনখারাপ পকেটে ভরে যে ছেলেটি এইমাত্র
হেসে বলল একটু
আড্ডায় যাবো
হাত ধরো ।
একসাথে আমোদ করব আজ
আমি জানি ওর
মানিব্যাগ
ছেঁড়া, সামনের মাসে বাইপাস সার্জারি
দশ টাকা দিয়ে কি এক দোকান আড্ডা কেনা যায়?
তবু দেখি এখন রাস্তায় খুব ভীড় নেই ।
চোখ বন্ধ
________
চোখ বন্ধ করলেই
যত ছবি
খোলা চোখ ততখানি দৃষ্টি বান্ধব নয় ।
লেখা থেকে মুখ তুলে জানলার পাশে
আজ রেখে দেব সারাদিন জমানো বাতাস
কুয়াশা ভাসিয়ে আনল
শব্দের ফসিল
বন্ধ চোখ ছবির
কারখানা ।