মিতুল দত্ত
আমাদের কালো সাম্যগান
১
ক্লাসিক কবিতা থেকে সরে যাব খেউড়ের আহ্লাদে
দিল মে ঘন্টিয়া বাজে গুরু তুমি এন্ট্রি নিলে যেই
চেয়ার ভাঙার দিনে আমিও ছিলাম আর
নির্বাক যুগের দিকে বয়ে যেতে যেতে
দেখেছি তোমার লিপ মিলছে না প্রেমের গানে
বিরহ তোমার গায়ে লেপ্টে বসে আছে
ঝুমঝুমির মতো কাল গা থেকে গড়িয়ে গেছে
জলভাঙা মেঘের সকাল
তোমাকে তুলোয় মুড়ে নিয়ে আসছি ডামাডোলে
ছুঁড়ে দিচ্ছি গোধরা, অযোধ্যায়
মৈত্রী এক্সপ্রেসের মতো
চলে যাচ্ছি তোমাকে মাড়িয়ে
৩
বহুকৌণিকতা থেকে উঠে এসো, মশারা যেভাবে
জানুর লোহিতক্ষেত্রে জাহ্নবীর খোঁজ পেয়ে যায়
খুঁজে মরো আত্মার স্বরূপ, যেন অন্ধের স্বভাব
তুমি
পেয়ে গেছ, বাতিস্তম্ভে হোঁচট খেয়েও
ভাবো এক অনাগত শুয়োরের কথা
ডিম আর মুরগির জন্মের দিনে
তুমি সেই ছাতাকল, পেরেকজীবিকা
গিরগিটির মতো তুমি রং ফেরি করো
রংওলার কাজ চলে যায়
যে নিশানে হাত মোছো তুমি
যে গেঞ্জিকলের ছেলে তোমাকে বিকেল বলে ডাকে
আমি তার মেঠো স্টোভ, ভাগের ইঞ্জিন
ডিজেলের দাম বেড়ে গেলে কেউ আমাকে চেনে না
৬
হরের পিয়ারি ছিলে, এখন এই গুমঘরে
আলোরাস্তা খোঁজো
রাজসভায় ডাক পেয়ে সেয়ানা কবিরা
চলে গেছে বিপ্লব মাড়িয়ে
আর চোরকাঁটার হুলিয়া ছড়াচ্ছ তুমি
ভাঙা বন্দুকের গান জড়ো করছ
জলফোঁড়ার মতো বিষ তোমার শরীর থেকে
ছিটকে আসছে আমার শরীরে
ছিন্নমস্তা তবু এই বারোআনা রাজরক্ত
নিয়ে আমি যাব যে কোথায়
কোদালে মেঘের মতো কারা আজ
জল্লাদ ডেকেছে
অআকখ জানা কারা ডুকরে উঠছে
'ব্রহ্ম' 'ব্রহ্ম' ব’লে
৯
মুখ খোলার অপেক্ষায় আছি
বিয়ের বাজার নিয়ে কথা বলছ
এদিকে জ্যোৎস্নার পাল
গরু মেরে যাচ্ছে প্রতিদিন
মেয়েটাকে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে দেওয়ার পরে
যারা দেখেছিল, জামা নয়,
দুলে ওঠা জাতীয় পতাকা
তারা কি অ্যাসিড দিয়ে ভাত মাখে,
মাংসের বাজারে বমি করে?
মুখ দেখানোর কথা মুখেও আসে না আর
শান্তির প্রস্তাব নিয়ে বুকে হেঁটে
কতদূর যাব?
কতদূর সীমান্ত আমার?
১০
লাল নীল গেরুয়া হিসেবে
মজে আছি। কালো এক ধর্মবক
তোমাকে আশ্রয় করে
আমার জিভের নীচে লুকিয়ে রয়েছে
দাঁত মাজো, এত দুঃখ লুকোবে কোথায়
রাস্তায় কাদের ছায়া চলে গেছে
পুরনো নম্বরে কে যে
চাইছে তার হারানো বন্ধুকে
ডিজিটাল রোদ্দুর এসেছে আজ
ঘুমঘোরে, বিশুদ্ধ হ্যাজাক
জ্বলে ওঠে বিবাহমণ্ডপে
কালো এক ধর্মবক তোমাকে আশ্রয় করে
খুঁজে মরে প্রশ্নের জবাব