নাসির ওয়াদেন
চিত্র লিপি
জীবন চিত্রলিপি আঁকছে
স্রোত নিয়ে যাচ্ছে গালমন্দের সওদা
বাজার কালো টাকার নোটে সিগারেট
ধুঁয়ো খাচ্ছে আগামী সকালগুলো ---
লোকটা বউয়ের শব নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে
অপেক্ষারত নোটের প্রতীক্ষায়
টাকা শ্মশানে ফুল ফোটাও
এভাবে দেশ এগিয়ে যাবে সন্তানের কোলে ।
¤¤¤¤¤¤
স্বপ্ন -ধ্বনি
স্বপ্নের শ্মশানে ফোটে বিষাদের ফুল
কল্পনার জলাশয়ে ভাসে রাতের জোনাকি
রোদ আলো জ্বেলে নিশাচর খোঁজে
অন্ধকার বেড়ায় চৌহদ্দি --
জিঘাংসা কাছে এলে প্রাণহীন হয় কবুতর
খাদ্য-শৃঙ্খলে আবদ্ধ প্রকৃতি পুরুষ
আলো খুবলে খুবলে খাচ্ছে অন্ধকার ছায়া
অশরীরী হেমন্ত কুড়োচ্ছে শিলোঞ্ছ কণা
পরিপূর্ণ আগামী মাতৃ জঠর
নব জাতক দেদার পণ্য হয়ে রক্ষকের পকেট ভরায়
সন্তানহীনা জননীর আঁখিজলে
সিক্ত ভোরের আজান, সান্ধ্য-ধ্বনি
ধ্বনি সকল বাজে শব্দের ফোয়ারা হয়ে
স্বপ্নের গালিচায় ভেসে ওঠে রঙ্ ছবি ।
¤¤¤¤¤¤
ভাঙন
কচু পাতার জলবিন্দু
ভোরের শিশির কণা
স্বার্থের হাওয়া মুখে পড়তেই
খোঁড়া দৌড়াতে লাগে
বিবেকের খোলা মাঠে
বাজী খেলা
চাবুক বিনয়ের পিঠে
আছড়ে পড়ে
বিশ্বাসের আকাশে
পোড়া আগুন --
ভাঙন হতাশার বুকে
একগুচ্ছ স্নেহ পরাগ
দু'টুকরো করে আকাঙ্খা
লালসার চাঁদ অভিলাষেই
হত্যা করে জ্ঞাতি দণ্ডে ।
¤¤¤¤¤¤
বিষন্নতা বিন্দু বিন্দু মুক্তো
বিষন্নতা আমাকে মুক্তি দিতে চায়
দগ্ধী-ভূত কষ্টের লোনা জলাশয়ে
সাঁতার কাটে সহিষ্ণুতার ফুল
বিষন্নতা আগুন নিয়ে খেলে
পুড়িয়ে দিচ্ছে আমাদের বাসগৃহ
অভিমানে ত্যাজ্য করেছি তাকে
লুটে নিচ্ছে আমার জ্ঞান বৃক্ষের ডাল
আড়িপাতে আশেপাশে জলদস্যু
স্বর্গ থেকে কিনে এনে বসিয়েছে বাঘ
আমার সদর দফতরে
।
একখানি মোক্ষম রাত পেলেই
সহবাসে ভরে দেবে পৃথিবী
সোনার পাথর বাটি ---
মুঠো মুঠো ছড়ানো বিষন্নতা
বিন্দু বিন্দু মুক্তোর স্নেহকণা ।।
¤¤¤¤¤¤
আগুন কথা রাখে
আগুন কথা রেখেছিল
বলেই পৌরুষের কোমলতর
অংশকে পোড়াতে পেরেছি ---
বৃত্তের জ্যা ঋজু হয়ে দাঁড়াতে না পেরে
আমার সাতপুরুষের ছিদ্রে গলা বাড়াচ্ছে
একটু উষ্ণতা, কিছু উত্তাপ মেখে নিয়ে
জ্বালাময়ী বক্তৃতা খেলার মাঠে বান ডাকে
নিষ্ফলা সিঁদুরে মেঘ
উৎকণ্ঠা আর উদ্বেগ বাড়াচ্ছে
হাতুড়ি পিটিয়ে পিটিয়ে খাড়া করছে হৈম-সুখ --
কথারা পদক্ষেপ মেপে মেপে ফেলে
খুঁজতে থাকে শতাব্দীর প্রান্তীয় রেখাগুলি
একটু ফুঁ দিয়ে আগুনকেও ছাই
বানিয়ে ফেলে ভালবাসার ছোঁয়া ।
¤¤¤¤¤¤
_________________________________________