পৃথা রায় চৌধুরী
যোগ
তুমি যখন কাজলদুপুর
বলেছিলে, ভালোবাসি...
কি নিদারুণ চেষ্টার খেরোয়
বিতর্কের প্রশ্ন সন্দেহের আঁচ
খামতি ছিলো না
চেষ্টার প্রচেষ্টায়
তুমি যখন ডিমটোস্টবেলা
বলেছিলে, এই প্রেম সাঁচি...
বুঝলি কাঞ্চি?
স্টিলের বন্ধ কৌটোয়
ডবল এঁটো চামচ ভরে ফেলে
অবিশ্বাসের বিশ্বাস।
তুমি সেদিন সিঁদুরবিকেল
আমি সেদিন প্রথম প্রণাম
তুমি সেদিন বোতাম সেলাই হুকুম;
আমি...
ফ্যাকাশে সুতোয় রক্তগিঁট নাম।
শাপগ্রস্ত
-আমি কে?
"তুলসি"
-তাই কি...
"হ্যাঁ, তাই।
তুমি উঠোনের তুলসিমঞ্চে থাকো...
ইচ্ছেমতো আসবো তোমার কাছে।
সময়মতো ঘরমুখো আমি
রোদবৃষ্টিঝড়বাজের ছাদ তোমার...
তবু তুমি আমার উঠোনে
তুমি আমার।"
ত্রুটি
দাগের শুরুতে কারো নাম এসে পড়ায়
দাগের অধিকার মুছে দিতে
জাহাজ ডেকে সাগর পাড়ি দিতে গেলে,
শোনোনি ঢেউ ভাঙ্গার কাঁপ হকারের ভিড়ে
স্টেনলেস্ স্টিল মেয়েতর্জনীতে ফেলেছে সাদাটে ছায়া
যে ভিখারিনীকে দুটাকা দাও রোজানা,
সাকুল্যে জমিয়েছে আট টাকা
নিয়ে যেও... জমা ঝনঝন।
এখন মাঝে মাঝে ঝড়জলে দাঁড়াতাম বিনা ছাতায়
জলের বোতল হাতে গলায় ঢোঁক ধরে রাখি
ভেজামেশা বিড়ির ধোঁয়ায় কাছে রাখি তোমায়...
বিজলিমাঠে দুকানে আঙ্গুল চেপে ভয় পাই
সবাই একা ঘুমোয়;
"এতো লাল!" ছিটকে যাওয়া ব্যস্ততারা বলে যায়।
গিঁট
জমা থাক সব না পাওয়া
আগামীর জন্য...
ইচ্ছেদের কিছু শ্বাস আরো প্রয়োজন
গন্ধর্ব সাক্ষী কোনো মুহূর্ত দেখেছিলো
ঘুমদুপুরের বাসরযাপন।
সোনার প্রেম পরাওনি আঙ্গুলে
ভারী লোহায় বেঁধেছো কথামতো;
পুরুষ, ঠিক তোমায় কেন?
... উত্তর দিতে না পারা বহাল আমার
সে নাম গণ জানে না
যে নামের অহং করি
প্রতিবিম্বের কাছে...
হঠাৎ ঝাপসা!
যারা তোমার প্রসারিত ঠোঁট দেখে না
তাদের জানাই নিশ্চুপ হল্লায়...
পুরুষ, তোমার হাজার খুশি বেঁধে রেখেছি
জরি আর গোলাপি ওড়নায়।
অনুযোগ
কিন্তু কেন?
দিনের শেষে বছর গুনে চলা
সান্ত্বনা দিয়ে মুখস্থ করতে হয়
অবেলার ক্ষুন্নিবৃত্তি... তুমিহীন
দম্ভের কুঠুরি থেকে
অন্ধকার ফেনায় ভরে যায়
সুখের আলো
বৃষ্টিলাল চোখের আলসেয়
সত্যিচাষ, মিথ্যেবপন
ঠাণ্ডা বাতাসের সুরে শিখেছি
আড়াই অক্ষর উচ্চারণ
রাতবাতি হতে বলার প্রহর
শ্বাসরোধ কালের সিঁড়িতে
ছায়া হাতড়ায় আঁতিপাঁতি।