শনিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৭

শৌ ন ক দ ত্ত




শৌ ন ক দ ত্ত

কান্নার শূন্য ওড়াউড়ি...

আজ রাত্রি যখন হাওয়া থামিয়ে
বললো -
তুমি ফিরে যাচ্ছো
ফিরে যাচ্ছো দূরে,সুদূর
বিষন্ন সন্ধ্যার আকন্ঠ বিষ ভরা
নিঃসঙ্গ অরণ্য.যন্ত্রণায় স্তব্ধ হয় ।
হৃদয়ে বেঁধে বর্ণচোরা আলো
বড় অসময় আজ !
স্মৃতি জুড়ে বরফকুচি শীতলতা ।
দুহাত জোড় করে ছুঁইনি শূন্যতা
শরীর মনে ছুঁই ।
এ কোন প্রহরের বিদায় ?
একি লুকোচুরি খেলার শেষে
খুঁজে না পাওয়ার চোরা চাহনি ?
যাও,
ফিরেই যখন যাবে
ফিরেই যাও তুমি ।
বুক ভরে কুয়াশায়,চোখ জ্বালা করে
দীর্ঘ কালো ছায়া পড়ে পিচবাঁধা পথে ।
সেই পথেই রোদ্দুর মেশাবো দেহে,
উড়িয়ে দেবে ট্রাফিকজ্যাম আর
ব্যস্ততার ভিড়ে লুকিয়ে রাখা কথকথা।
দেখি,
অচেনা প্রান্তরে একা ছন্নছাড়া
সমূলে দিগম্বর মৃত্যু স্থির দাঁড়িয়ে
তোমার প্রতীক্ষায় ।
তুমি যাচ্ছো যাও,
শুধু রেখে যাও
এক আকাশ
কান্নার শূন্য ওড়াউড়ি...।



সময়ের ছায়াছবি... 

মধ্যদুপুরে একা মেঘলা আকাশের নীচে
ব্যক্তিগত চিলেকোঠায়
পরিচিত তোকে বার করি এবং
দেখি কোথাও কোন
তুই নেই
খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখি
আমি নেই কোথাও
বৃষ্টি নামে
আমাদের আর দেখা হয়না
ভিজে যায় কেবল
কবে কার লেখা
'Face is the mirror of mind'




খালিঘরের কথোপকথন...

মনে হয় একদিন
স্বপ্নের সাদা হাঁস ভেসে যাবে
রূপালী জোছনায়
তোমার বন্ধ দরজা খুলে যাবে
বাতাসের প্রতি শর্তহীন
নিরহংকার বিস্ময়ে
নক্ষত্রের মতো মুখ তুলে
কেউ বলে উঠবে
কতগুলো নিরুপায় শব্দ
আকাশের জানালায় মাথা রেখে
বেদনার ভায়োলিনে
অপেক্ষার পাশে লিখে রাখবে কেউ
এক অভিধান প্রতিশব্দ
তোমার জন্য
শুধু তোমার জন্য প্রিয়তমা!



জন্মের জোছনা জলে..

রাত কেটে গেলো ছাদে
মুভির চোখ দৃশ্যের পর দৃশ্য বদলায়
আমি একা!
এ কি অপেক্ষা নাকি
সময়কে শৈশব ভেবে
আমি চোখের চাঁদে প্রতিশ্রুতি খুঁজে
পদাবলী লিখে রাখলাম।
দুরন্ত দুপুরে বানানো নীল ঘুড়িতে
কথাহীন শ্রাবণে
অপেক্ষাময় কি বেড়ে উঠেছিলো
কাঙাল জোছনায়
মানচিত্রহীন উদ্বাস্তু
নিবিড় প্রেমিকার ঠোঁট
নদীমাতৃক দেহে প্রসারিত মৃত্যু
মেঘ,চাঁদ,প্রতীক্ষা কিংবা বেঁচে থাকা!



স্বপ্ন বেড়াল

পলেস্তার খসা ভাঙাচোরা যে
রাজপ্রাসাদ আছে আমার স্বপ্নের মাঝে
তার খসে যাওয়া ইটের ফাঁকে
বেড়াল তপস্বী নিঃসীম রোদন রটায়
বর্তমানে কোনো সুন্দরের দিকে
আমি আর ফিরেও তাকাই না
বেড়াল স্বভাবের এক দুনিয়া ঘোরা
লোকগুলিকে আমি চিনি
আর তাই থলের বেড়াল থলিতে রেখে
স্বপ্নের বহুবিধ ছাই নিয়ে আমি
সংখ্যাহীন স্বপ্নের কঙ্কালে আঁকি
পোড়া চোখে বেড়াল গনতন্ত্র,
সমাজতন্ত্র, কোকতন্ত্র শব্দের নীরবতা
বেড়ালের শব্দহীন পায়ের শব্দে
আমি তবু গ্রাম পতনের শব্দ শুনি
বুদ্ধের চেয়েও আরো দীন
পাখিদের বিলীন বিবেক ছায়া ফেলে
মৃত্যুর উদবেগ চেপে
শ্রেণীস্বার্থহীন আমি
রোদের ভেতর কখন যেন
হয়ে উঠি বেড়াল,থলের বেড়াল
আমার বেড়াল চোখের নির্জন
নীলিমা কি জীবন-নাকি মৃত্যুর বিস্ময়
আমার প্রথম মৃত্যুর মতো ঘুম ভেঙে যায়
নক্ষত্রের ভানুর মতো সুসময় পাখি
তুমি কি এলে
সে কি এলো ভাঙা রাজপ্রাসাদ