পারমিতা চক্রবর্ত্তী
গয়লাপাড়ার মেয়ে কাজল
অ্যা সবেসটার্স ভেঙে গোলা পায়রা ছানা
মুখ থুবড়ে পড়ে ছেড়া
শাড়ির আঁচলে
গয়লাপাড়ার মেয়ে কাজল
প্রতিদিন শরীরে পুকুর
নামায়
ডুরেকাটা গামছায় মোছে
নিঃশ্বাস
উল্টো গ্লাসে চাঁদ জল খায়
কলঙ্কের গায়ে নখের আঁচড়
সন্ন্যাসী দাগ
একতরফা
পিছনে লোকটার চোখে মস্ত
বড় জেব্রা
গলা তাক করে উঠে আসে
মস্ত আঁশবটি
তবে এক তরফা
এলোমেলো গোলাপ কুঁড়ি
অালোয়
ডুবতে -ডুবতে
বেঁচে থাকা .....
সবটাই স্পর্শ ...
বৃদ্ধ রাত
ছেলেটির হাতে বৃদ্ধ বাদাম
রোদ ওঠে রোদ পড়ে
শূন্য পোশাক বদলায়
ঘাতক রাত
ট্রাক ছুটে চলে পোড়া খড়
নিয়ে
ক্রমশ উত্তরে
ভোরের ট্রাম আসে কুয়াশা
মাখা ইলেকট্রিক তারে
শীত সরে যাচ্ছে .....
ক্রমাগত......
টবে , বারান্দায় ......
মৃত উপত্যকায়
রাত্রিকালীন বিছানা ধর্ষিত হয়
বাসি চুমুর আড়ালে
বারান্দার এক প্রান্তে
পড়ে থাকে
পোড়া স্তন , নখের আঁচড়ে রক্তাক্ত
ডার্লিং চাঁদ উরু বেয়ে
নামে
আততায়ীর মত ....
এ মৃত উপত্যকায় বন্যা
হয়নি বহুদিন
আচমকা ঝড়ে কসাই ছুরি
ফালাফালা
করে উত্তপ্ত গুম্ফা
মজলিস ধুলো গড়াগড়ি খায়
রাস্তায়
অন্তঃসত্ত্বা প্রেম দরজায়
দাঁড়িয়ে বলেছিল
এ বাংলোয় বারবার , বহুবার হলো এই ভাবে .....
কনট্রাসেপটিভ পিল লুকিয়ে
রাখে
বোবা কান্না .....
চাতক চাঁদ
পাহাড় পেরিয়ে নাভির নীচে
গুহায় লেগেছে আগুন
পাহাড়ি বস্তিতে চাতক চাঁদ
আলো দেয় না
আরাবল্লীতে নেই কোন ছায়া
নদী আজ হয়েছে উপনদী .....
শব্দরা বনভূমি গড়ে তুলেছে
একটি গাছকে ঘিরে
লবণাক্ত জল দেখেছে
স্বাধীন জন্তুকে
ছোট মাছ অস্তিত্বের আড়ালে
হাত
মেলায় বড় মাছের .....
তিমির জন্য বড় সমুদ্র
আজ .......
হিমশৈল হয়ে ভাসার আগে
বরফের গলনাঙ্ক জানা ......