দেবজিৎ সাহা
নিঃশব্দে
আকাশ মুখরিত করা সেই পিপাসিত চিৎকারগুলি
ক্লন্তি পানে হয়েছে
তৃপ্ত, আজ শান্ত রাত।
সেকালের আফিমের নেশা আজ রুমালে গোজা,
ভাতের অ্যালকোহল আজও আছে বেঁচে চোরাগোলির দুধের প্যাকেটে।
তাঁদের সীমাহীন আনন্দ বসন্তের মত আসা যাওয়া যায় না বোঝা।
রাতের আঁধারে ভাতের খোঁজ, ওরে মা আর দিস না জন্ম, বুকে
ডেকে দিস না রুমাল গুঁজে নিঃশব্দে।
উৎ‘শব’
একটা কুয়াশা আঁকবো বুকে
হাসিটা চোখেই রেখে দেব।
তুষ এড়াচ্ছে বাতাস ...
সময়ের ঘ্রান নিচ্ছে
নবান্ন, আল্পনা এঁকে নিচ্ছে
উঠান।
রাস্তায় ঝড়ে পড়ছে শিশির
স্নান করছে সদ্য জন্মানো
বৃক্ষ
আকাশে চোখ তুলে
বাউল মেখে নিচ্ছে মাটির সোঁদা
গন্ধ।
উপচে পড়া রেনু
বৃক্ষ মেখে নিয়েছে
পা শক্ত করছে বাতাস।
বাতাসের পা হালকা হয়ে যাচ্ছে,
উবে যাচ্ছে, ছিঁড়ছে বাঁধন
নদী পা ধুইয়ে দিচ্ছে
যন্ত্রনায় কুঁকড়ে যাচ্ছে বৃক্ষ।
রঙ ভেসে যাচ্ছে
নদীর বুকে,
বসন্ত উৎসব চলছে।
উৎখাত
সময় ফেরি করছে স্বপ্ন, পলাশ ফুটে ওঠে
ঈশ্বরকে লেখা
চিঠিতে। বালিশ ভিজে যাচ্ছে স্বপ্নে
নোঙর বিঁধছে চোরাবালিতে
স্বপ্ন প্রতি রাতে চুরি করে প্রত্যাখ্যানের জ্বালা,
জোনাকিরা আজ স্তব্ধ উৎ‘শব’-এ কুঁকড়ে যাওয়া
শিকড় আঁকড়ে থাকা মৃতপ্রায় শতক
আবার গর্ভবতী হয়ে জন্ম দিল ভোর,
সে ভোরে পাখি ডাকে না, মেট্রো-মানুষ অপেক্ষা করে না
মানুষের, ঠুলি পড়া ঘোড়া
সময়ের চাবুকে
হার্ডেল পার করতে করতে
মিলিয়ে যাওয়া
যারা রাস্তায় পড়ে থাকা উচ্ছিষ্ট স্বপ্ন কুড়োয়
সময়ের লাঠিয়াল তাদের পেছন দৌড়ায়
ওরা প্লাস্টিকে মুখ গুঁজে টোপ অস্বীকার করে
বিবর্ণ মুখে সময় তাদের খোঁজে
উৎখাত করে ওরা সময়কে
শোকজ
হাতে
ফেরতের কথা
একটা নদী ধরি বুকে,
যতটা পথ এসেছি চিড়ে ….
মেঘ ছুঁয়ে একটা পাখি হেঁটে যাচ্ছে
নদীতে, ভৈরব বাজছে বাঁশীতে
স্নান করিয়ে বাড়ি ফিরছে রোদ
মুষ্টিঅন্ন নিয়ে
একটা পাগল ছিটিয়ে দিচ্ছে মিষ্টান্ন,
ফিরে খাচ্ছে সরমেয়র ভোজন...
সামসিং হয়ে একটা পাহাড়ি ঝর্না
আসছে, ঠেলতে ঠেলতে পাথর
সেই পথ বেয়ে এক আকাশ নেমেছে
ঘুম নেই, কেড়েছে স্বপনের কালোবাজারি
আর একটা পথ বেঁকে গেছে
যে পথ দিয়ে ভালবাসা হেঁটে গেছে…
রক্তাল্পতা বাসা বেঁধেছে …
ভাঙতে ভাঙতে
অশ্লীল গ্লাসের চুম্বন
নীল ঘর থেকে ঠান্ডা করা শরীর
পিচের পথে উচিয়ে থাকা পাথরে যৌনতা খুঁজছে...
ভাড়া দিবি?
এখন তুই, আমি ভিজছি
আঁশটে গন্ধে
সভ্য-তাকে ফাঁকি দিয়ে
বীজ বুনেছে
বড় হচ্ছি চারা হয়ে
ভয়। দেওয়াল। ফেটে
যাওয়া।
উপড়ে।
আমি
গলে যাচ্ছি
টানে।
কে যেন শুষে নিলো
একটা একটা
করে
আবার উঠর ভাড়া দিবি?