মিজান ভূইয়া
নীল জলরাশি
আমাকে দিও।
সন্ধ্যার চাঁদ। ছেঁড়া
জামাটা। একটি রুটি।
তুমি কত দূরে। সব
রূপকথা। মাঠ বন নদী।
থেকে যেতে পারো। উঁচু
উঁচু গাছ। চোখ টলমল।
সামুদ্রিক জল।
সমকোণে মেঘ। ভুল চিঠি
আসে।
অভহিত হও।
সোনালী আকাশ। সর্বহারা।
দূরের দেয়াল।
সম্মুখে মেঘ। প্রবাল
প্রাচীর। আজকে ছুটি।
নীল জলরাশি।
ভিন্ন বাতাস
কোথায় দেয়াল। ক্ষীণ
দৃষ্টি।
চোখের প্রদীপ।
মন ছুঁয়েছে। নীল দিগন্ত।
হাতের রেখা।
পাহাড়ি ফুল। অনেক কষ্ট।
অনেক নদী। মন
ভেঙ্গে যায়।
হাতের কাছে সেই নীলিমা।
চোখের কাজল।
বৃষ্টি পড়ে।
মনেতো নেই কাগজকলম।
ভোরের পাখি। ভিন্ন বাতাস।
দিনগুলি কই।
ভুলে গেছি। মুখের গন্ধ।
কপালের টিপ। অশ্রুমুখর
সেই অবেলা।
ভাবছি বসে। জীবনযাপন।
চন্দ্রকলা। চিঠির কথা।
মনের দুপুর
রাত্রি শেষ।
বিষন্ন চোখ। তাকাও কেন।
নদী বয়ে যায়।
মনে পড়ছে।
হাতের গন্ধ। পুরনো দিন।
খেলার পুতুল।
চোখের অশ্রু।
কথা বলছে।
শুকনো পাতা।
শাপলা ফুল। কালের নৌকো।
কাছের গ্রাম।
খুঁজে পাইনা।
হারানো দিন। অনেক
স্মৃতি। মাটির ঘর। চেনা নদী।
মনের মধ্যে। শাপের খোলস।
শামুক-ঝিনুক। গাছের
ছায়া। সেই মেঠো পথ।
ফিরে ফিরে পাই।
সবুজ ঘাস। সেই পাকা ফল।
মাটির উঠোন।
চোখের তৃষ্ণা। মাছের
জাল।
মনের দুপুর।
সেই এপিটাফ
কিছু জোনাকি। বুকে
রাখি।
কিছু নিম পাতা। সময়।
ছুঁয়ে থাকি। জ্যোৎস্না হয়।
শিশু কাঁদে। পাতা ঝরে।
আলোকিত হাত। ছোট্ট
দোয়েল। বৃষ্টি পড়ে।
ফসলের মাঠ। বিভাজিত দিন।
অন্যরকম।
হেঁটে যেতে যেতে। হাতের
অংক। হলুদ পাখি।
তোমাকে দিলাম।
চোখের কাজল। মৃত্যু শোক।
পায়ের নূপুর।
মনে পড়ে আজ। খুব অভিমান।
লুকোনো প্রেম।
স্মৃতির আগুন।
পাহাড়ী ঢল। সেই এপিটাফ।
জানালা খোলা।
কান্না আসে।
অস্ত যায় বেলা
আশ্বিনের পূজো।
বাতাসে শাদা কফিনের ঘ্রাণ।
তারপর পথ। কুয়াশা।মনে পড়ে তোমার বিষন্ন মুখ। দেখি গাংচিল।
ভুলে যাই অসুখ,
জনসাধারণ।
মানিনা শিউলী, বকুল। হাতের চুড়ি। রঙ্গিন
গোধূলি। শক্ত কাঠে বাজে কালের ব্যাথা। হারিয়ে যায় কিছু লাল ফুল। মুগ্ধ নদী। এবং
কাগজের পিঠে চড়ে অস্ত যায় বেলা।