অলভ্য
ঘোষ
একটি সৌন্দর্যের
অপমৃত্যু
ফুল যত দিন গাছে থাকে
ততদিনই জীবিত থাকে
এই পৃথিবীর শোভা বর্ধন
করে।
ঝরে পড়া ফুলের বাগানে
হয় নতুন চারা গাছের জন্ম।
মৃত্যু বন্ধন সেখানে
সামান্য।
তাকে উপড়িয়ে এনে
ফুলদানিতে রেখে গৃহ-সাজালে
তোমার গর্বে ফুল শুকিয়ে
মরে। শুকনো মালা দেবতার
গলা থেকে আস্তাকুড়ে
স্থান পায়। অথচ পৃথিবীর
গায়ে ফুটে থাকা ফুলে
রোজ ঈশ্বর পূজা নেন। ভোমর
হয়ে ঘোরে ফুলের
বাগিচায়।আমদের সৌন্দর্য বড়ো ঠুনকো
মোটা দাগের প্রাণঘাতী।
ভাগারের কোনে ফেলে
দেওয়া পুষ্পাঞ্জলির দেব উচ্ছিষ্টে
কখনো কখনো ফুলের চারা
গাছ জন্মায়। তাতে অনিবার্য
ভাবে ফুলও ফোটে।কদাচ সে
ফুল চোখে পড়ে আমাদের।
ফুলের সাজিতে সে ফুল
তুলে নিতে সাহসে কুলায় না।
থাকে অশুচিতা অপবিত্রতা।
অথচ শত-বিকশিত শোভার
রোজ নিষ্ঠুর অপমৃত্যু
ঘটে ঘটক আমরাই।
আমাদেরই খাম খেয়ালি সৌন্দর্যের
খেসারত দেয় ফুল
ভুল; ভুল এ
সৌন্দর্য প্রীতি।
গাছের ফুল গাছেই
শোভা-দেয়; বনের পাখি বনে;
অ্যকোরিয়ামের মাছে
সমুদ্র খুঁজনা;
ছলনায় মনে মনে।
সত্য অবিনশ্বর
কাউকে তুষ্ট করতে আমি
লিখি না।
আমি তো নেতা নই।
ভোট হারাবার কোন ভয়
নেই।
মিথ্যা বলে সম্মান
কুড়ানোর চাইতে ;
সত্য বলে অপমানিত কেবল
নয়
মৃত্যুবরণ ও ঢের ভালো।
সত্যের অপমান সাময়িক।
কারণ সত্যের বিনাশ বা
মৃত্যু নেই।
মিথ্যার মুখোশ খুলে গেলে
সম্মান ও খসে পড়বে।
কেউ মনে রাখবে না।
কারণ কি লাভ মিথ্যা
আঁকড়ে বেঁচে।
মিথ্যার মৃত্যু হয় রোজ।
সত্য অবিনশ্বর।
অবসর
আমার সময় কম পড়ে
বছর ৩৬৫ দিন না হয়ে
৭৩০দিন হলে ভাল হত!
দিন ২৪ ঘণ্টার চেয়ে ৪৮
ঘণ্টা হলে মনে হয় ভাল
হত।
ঘণ্টা ৬০ মিনিটে না হয়ে
১২০ মিনিটে
কিংবা মিনিট ৬০ সেকেন্ডে
না হয়ে
১২০ সেকেন্ডে হলে খুব
ভাল হত।
আমি প্রতিটি সেকেন্ড
উপভোগ করি
জীবনের উদযাপনে।
আমার কোন অবসর নেই।
অবসর কাটানোর চিন্তা
নেই।
কিভাবে যে সময় কেটে
যায়
বুঝতে পারি না।
চালাক
Good morning friends.
Actually peoples are looking for exposure.
I am just enjoying my self.
This enjoyment is not coming from any materialistic
world.
Intellectual world is very rich own self.
Very easily;I want to say the philosophy of life.
চালাকি দিয়ে আর যাই হোক
মহৎ কার্য হয় না।
আর এখন মানুষ চালাকি
ছাড়া কিছুই করতে পারে না।
চালাক শেয়াল অপেক্ষায়
বোকা গাধা ভালো।
নীল শেয়ালের নীল রং
চিরস্থায়ী নয়;
উঠে গেলে
তার সমাজে আর ঠাঁই হয়
না।
উদাহরণ হিসেবে অনেক নাম
বলা চলে;
যাদের মানুষ যেমন মাথায়
তুলে নিয়েছিল।
মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতেও
সময় নেয়নি।
চালাকি দিয়ে এক বণিক
ব্যবসায়ী(সুদীপ্ত সেন)
প্রচুর উপার্জন করলেন।
লোকে শুধু নয় সে নিজেও
ভাবত ভাগ্য
লক্ষ্মী বন্দী তার হাতের
মুঠোয়।
চালাকের লক্ষ্মী চঞ্চল
বোকার স্থির।
বোকা হয় আলিবাবা র মতো
চালাক কাশেম মিয়া।
আরো চাই আরো চাই করতে
করতে
অন্ধকার গুহা থেকে বের
হবার
মন্ত্র "খুল যা সিম
সিম"ভুলে যায়! পথ হারিয়ে ফেলে।
জল জীবন তবে জলে ভেসে
থাকতে শিখতে হয়।
না হলে জলয়ই মৃত্যুর
কারণ হয়ে যেতে পারে।
তাই যদি বলো এ লেখা
ঘোড়ার ডিম; অপেক্ষা করো।
সেদিন বুঝবে যেদিন
বাঁচার মন্ত্র ভুলে যাবে!
আজ পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন
কাজ সহজ হওয়া।
আর সবচেয়ে সহজ কাজ
জটিলতার অভ্যেস।
এবার তুমিই ঠিক কর রোগ
না রোগী কোনটা খতম করবে তুমি।
পৃথিবীতে যে যত বেশি
চালাক সে ততো বড় বোকা।
কারণ মহা ব্রম্ভান্ডের
কাছে ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র মানুষের চালাকি খাটে না।
উপহার
তোমায় দেবো বলে অনেক
ভেবে
যে উপহার রেখেছিলাম মনে
এখন
দেখছি সেঁধিয়ে গেছে শীত
ঘুমে।
আবার কি বসন্ত আসবে কখনো;
সেই সব নাম না জানা
ইচ্ছের প্রজাপতি
গুলো নানা রংয়ে উড়ে
বেড়াবে স্বপ্নের
অলিতে গলিতে।
যা হারিয়ে যায় তা কি
ফিরে আসে?
যা নিভে যায় তা কি আবার
জ্বলে?
যা উবে যায় আর কখনো কি
তার
দেখা মেলে?
পৃথিবীতে আমরা কত অসহায়
নিরানব্বই
শতাংশের উত্তর জানি না।
কিন্তু জানি এ জীবন কে
যত ভালবাসবো
ততো তাড়াতাড়ি মরব। ভালবাসায়
আত্মকেন্দ্রীকতার বিষ
রাখা থাকে যদি
তা সংকীর্ণ হয়। তবু
ভালবাসি
নিছক এক বরফের ভালবাসা। এক
লহমায় যা গলে যাবে; এক
ঝড়ে ধুলোর
মতো যা উড়ে যাবে; পূর্ণিমার
পর
অমাবস্যা এলে। সে দিনের কথা ভেবে
আজ কেন বিমূর্ততা। তবুও ভাববো না ভাববো না
করেই প্রেমে পড়ে আমি ও
আমার কবি বন্ধুরা।
আঘাত পাই একটি ভ্রম
আলেয়ার মতো;
প্রেম নেই শুনলে।
এই দেখেছ উপহারের কথা
বেমালুম ভুলে
বসেছি। তোমায় দেব দেব বলে কখনো
দিই নি যা তা কী জানার
কৌতূহল হয় না
তোমার। সেটা কি জান সেটা একটা লকলকে
সাপের ফণার মতো
কামনার ছোরা। উপহারের
অছিলায় কসাই হতে
চেয়েছিলাম। কিন্তু কখনো
ক্ষণিকের পলকা সুখে
স্থায়ী কোমলতার প্রাণ
কেড়ে নিতে চাইনি।
আমার সুপ্ত উপহার তবু
যদি বলো
সেদিন ছিল দরকার খননের
কাজে প্রেম খনি।
আমি বলি তবে, সে রতন
কি হবে
যা রত্নাকরে লোটে। সম্পদে যদি
সমৃদ্ধ না হোই বৃথা
আহরণে।