শনিবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৭

জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি



জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি

লবনাক্ত আপেল

তুলনায় দক্ষিণ আপেলের
লবনাক্ত কাঁটা বেছে
কামড়াচ্ছো।চিবাচ্ছো।গিলছো
ল‍্যাবরেটারিতে ছিটিয়ে গোবর ও গঙ্গাজল

সমতুল্য উত‍্যক্ততা সয়ে
খুলে ফেলা জামা, প‍্যান্ট...
শেষে চামড়াতে কিছু অসুস্থ তিল
প্রচলিত গাঢ়তম উলঙ্গতা ঢাকে




অসতর্ক ছুঁয়ে

অসতর্ক ছুঁয়ে মেয়েটা
ভূমিকায়।নমনীয় ভাগশেষ
নির্দিষ্ট টর্চলাইট হাতে
শরীরে নামবো বলে
সুগন্ধি নিঃস্বতাটুকু
শিকারের দৃশ্যে দেখে নিয়েছিলাম
 ঠোঁট কাটা গোপন চলচ্চিত্রে

দৃশ্য পূরুষালী
দৃশ্য প্রাচীন রক্তে

আধখাওয়া সম্ভাবনাগুলো দৃশ্যের মতো
নাতিদীর্ঘ।সহিষ্ণু।ধুলাবালি




ভুল কবিতা

সামান্য একটুকরো ফাটা ভিসুভিয়াস বা
যাবতীয় অসুখে
স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই
আই মিন্ টু সে, কখনো সখনো
একটা গন্ডমূর্খ কালো ঘোড়া
সিলেবাসের বাইরে
দেখলো ও ভাবলো
আদপে কিছুটা পাগলামি
কিছুটা জংধরা ঠোঁটে সেপটিক্ চুমু

হয়তো রক্তে দূষণীয় হাওয়াই চপ্পল বা
সকালের খাঁজে মিশে থাকা গোপন মশারি
শুধরে নিলে অনেকটা প্রেমিকার অন্ত‍্যমিলের নীল জামদানি

সারাংশ করলে এটাই দাঁড়ায়
তুমি ভুল করে কবিতা ভাবছো




ভাবছি এবার একটা রাত কিনবো

যে রাস্তাটা কিনে নিয়েছিলাম নগদে
একটা বাজ খাওয়া গাছের কাছে
মূহুর্তে তিন ফোঁটা বৃষ্টি
ভেজা ছেলে ও মেয়ে
হাত পিছলে
কাদায়।ডুবিয়ে নিলো
বাড়ি ফেরার রাস্তাটা এখন.....

ভাবছি, এবার একটা রাত কিনবো




যখন আকাশ সন্ন্যাস নিলো

একটা স্পর্শ কিছুটা ঝুঁকে
সামান্য মাথা হেলিয়ে
শেষ ট্রেনের তুমুল জড়িয়ে যাওয়ার মতো
আমাদের কথাবার্তায়
রোমশ বিরক্তি।আর
কান্নাগুলো শেষ বারের মতো
      গ
            ড়ি
                     য়ে

ঝুল বারান্দার মেয়েগুলোর মতো
বৈকালিক
আচ্ছন্ন।ঘনঘন।ফুটে উঠছে
একটা বা দুটো মেঘ
সহজ কিস্তির ভালোবাসায়

যখন আকাশ সন্ন্যাস নিলো