আশরাফুল
মোসাদ্দেক
ভ্রান্তি-বিভ্রান্তি ১
বিভ্রান্তির বীজপত্র
থেকে উঁকি দিয়ে দেখি ভ্রান্তির ক্লেদজ সরোবরে ক্যাটফিশ, ডাস্টবিন
উপচানো চোখ ধাঁধানো পৃথিবী,
ঝুটা নগরের কিলবিল শুঁয়োপোকা।
ভ্রান্তি-বিভ্রান্তি ২
বংশগতি প্রক্রিয়ায় আমূল
পরিবর্তিত প্রাণিকূল,
বহুগামী কবির মতো নিজের সাথে লুকোচুরি, যেনো
চোখ বন্ধ করে আছো বলেই কেউ দেখছে না তোমার কাশ বীজের মতো শরতের হাওয়ায়
মধুচন্দ্রিমা অভিযান,
ভ্রান্তির পেয়ালায় হায় বিভ্রান্তির লিকার।
ভ্রান্তি-বিভ্রান্তি ৩
ডাকটিকিটের মতো লেগে আছে
আত্মায়, জলে ভিজিয়েও সম্ভব নয় তোলা— তুলতে গেলে হয়ে যাবে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন।
বিভ্রান্তির আলো-হাওয়া-রোদ-জলে যে অঙ্কুরোদগম তাকে ঠেকাবে কে? জনান্তিকে
হেলান দিয়ে ইজিচেয়ারে চা-নাস্তা ব্যতীত রোদ চলে যায় পশ্চিম নগরীতে। তারপর কি? অন্ধকারে
পরাগায়নের সুখ দিয়ে দিবসের ভ্রান্তিগুলোকে ভারসাম্যায়ন।
ভ্রান্তি-বিভ্রান্তি ৪
৯টি ঘৃণাকে ১টি ভালোবাসা
দিয়ে চেয়েছিলে ভারসাম্যায়ন,
চেয়েছিলে গ্রীষ্মের মাঠে ঘাসের অজস্র স্টিকার, ভ্রান্তি-বিভ্রান্তির
ঐক্ষিক বন্ধুত্ব। আকাশের মতো চাওয়া মৃত্তিকার মতো পাওয়া যেনো শূন্যবিন্দু স্টেশন
থেকে ছেড়ে গেছে ট্রেন যেনো অসীমবিন্দু স্টেশনে ঝিমাচ্ছে ফেরিওয়ালা, আছে
কিংবা নেই এর মাঝামাঝি বন্যায় ভেঙ্গে গেছে রেলব্রীজ। দূরপাল্লার এয়ারবাস ফ্লাইটে
গোড়ালি ঘোরানো ও পায়ের পাতা নাড়াচাড়া অনুশীলন।
ভ্রান্তি-বিভ্রান্তি ৫
এন্টিকাটারে মিহি ফালি
রাত বেদনার সসে স্নাত হলে মনে হয় ঘুম আসে, পূর্বনগরীর জাফরান হাওয়ায়
ভ্রান্তি-বিভ্রান্তির গলুই থেকে ডেকে যায় তন্দ্রার নেকাব— হোক
রাত হোক দিন একসময় নিদ্রার জলে ডুবে যায় শরীর, পিছনে ঝরে থাকে শিউলি-বকুল যেনো
চাঁই ফাঁদে ফেসে যাওয়া চিংড়িমাছ।