শনিবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৭

তোফায়েল তফাজ্জল



তোফায়েল তফাজ্জল

হেয়পন্ন পাথর

এ পাথর করো না ওজন;
অনিবার্য উষ্ণতায় মোড় তো নেবেই
খুলে দিতে ফাগুনের গুমরে মরা মন,
বেদের গুলাই বেঁধা হরিয়াল কাঁপা ক্রান্তিকাল।

অপেক্ষার চামড়া গুদামের বিশ্রী গন্ধে
কে না হয় ক্লান্ত ? কাঁঠালের মাছি, আমের পোকাও
পায় না নিষ্কৃতি এর অত্যাচার থেকে !
আর লোকের কী হাল হতে পারে, বলো !

নিঃসঙ্গের অদম্য দংশন বহিৰ্ভূত
শ্যামল প্রচ্ছায়া কে না চায় ?
চাওয়ার গভীর গুঞ্জরিত মূলে তো কেবল জ্বালা জলবৎ।





মন থেকে মনে ছোঁড়া গুলি

আগ্নেয়াস্ত্রে পোড়ে ঘুমন্ত রাতের স্বস্তি,
মাটি ধরে বেপরোয়া বসে থাকা বস্তি।
বিত্ত-বৈভবের যতো ছড়ানো সবুজ
করে অসহায়,
খনিজকে দ্বিগুণ অবুঝ।

মন থেকে মনে ছোঁড়া গুলি
আরো বেশি নির্মম,
দেখবে, শাহারগ থেকেও নিকটে সটান দাঁড়িয়ে এক যম -
হত্যাযজ্ঞে মত্ত স্বজনের ইচ্ছে-আকুতি,
ছাইয়ে ঢাকতে নাকটা ভাসিয়ে জ্যান্ত থাকা
এক ছিটা সম্ভাব্যের দ্যুতি।

তবে চাইলে, নির্বিঘ্নে উড়িয়ে দিতে পারে
ভুলের সেঞ্চুরি
সেখানে ফোটাতে পুনঃসম্পর্কের কুড়ি। 



মাপের পাল্লা

নিশ্চয়ই জানার ভিতরেই -
বিবরে পা পড়লে আছে তা ভাঙার শঙ্কা,
ময়লারা দখল নেয়
পোশাকে-আশাকে।
আর কাঁটা বা কাঁকর
ঘেচ করে ঢুকে যায়
ধার না ধারা অন্যের মৃদু সম্মতির।

জোর হাত করার পরও আগুন করে না ক্ষমা,
বরং দাহ্যকে ভস্ম করে মজা পায়।
নাগিনীর লেজে পা দিলে বা চিমটি কালে
পলকেই দাঁদ নেয় বসিয়ে দু'দাঁত।

ক্ষুরধার স্রোতে ভাসালে গা
কাটা পড়ে উদ্ধার প্রক্রিয়া।
কারো কারো খুললে সুগোপন
উনিশ বিশেই দেখবে তার
চেহারা বদল,
শত্রু হাতে তুলে দিলে যেনো বিক্ষুব্ধ খঞ্জর।

তাই, ক্ষণকেও রাখো মাপের পাল্লায়
যেখানে কাজের কিছু ছাপ।




পানি পান
(লীলাবতী খনাকে মনে রেখে)

রোদ ভিজছে তুমুল বৃষ্টিতে -
সেসব শব্দকে
ছিন্নভিন্ন করে
শিশুদের ঐকতান,
সাত চোঙা বুদ্ধিদ্বয়ে
চলছে পানি পান।




সতর্কীকরণ (১)

যাদের পিছনে লেগে আছে দুর্বলতা
তাদের পিছনে না-শব্দেরা
চাকে ঢিল খাওয়া
মৌমাছি বা ভিমরুলের মতো -

একটুখানি উচ্চে আরোহণ
বা উপবেশন,
ভলিয়ম বাড়িয়ে দু'দু'ই কথা বলা,
বোলতা দৃষ্টির সামনে
চালুনি ছিদ্রকে তুলে ধরা
কিংবা পিছনের তিতা সত্য ঘাঁটাঘাঁটি
একই নিষেধের মধ্যে পড়ে।

প্রশ্নাতীত যোগ্যতার প্রশ্ন তোলা থেকে
থাকবে গা বাঁচিয়ে -
দুঃসাহস দেখাবে না দরোজায়
কারো উচিত আঙুল।

ব্যতিক্রমে, ঝুলবে তালা কাজে।