শনিবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৭

শ্রাবণী সিংহ



শ্রাবণী সিংহ

স্পর্শের রঙ

প্রিয় নাম,স্পর্শ না পেলে স্নায়ুর ভেতর  মরে যায়।

আজকাল সুগন্ধেও জ্বর আসে,

দুরের কোনো আচমকা গন্ধও সুগন্ধই বয়ে আনে।

কোন ফনা-তোলা সাপ হেঁচে যায় এলাচ বাগানে।

স্বপ্নের ঘোড়াগুলো জিরিয়ে নিচ্ছে...

     আবলুশ কাঠের ছায়ায় সালতামামি ,

আজও কিছু রঙ বলি দিতে হবে  সুর্যাস্তে

গেওখালির জলে।





সারেঙ-এর বাঁশি

অতঃপর 

শুশ্রূষায় আছি--

ফাৎনার মত চেয়ে থাকি স্থিরজলে,

জোয়ারের হরিতকি রঙ, কতই না ঢং জানে!

এক একদিন রিং- টোনের ভেতর বেজে যায় অস্থির খঞ্জনা গান ,

পথ খুজি পরিচিতি আসে।

পথের মাঝে অচেনারাই তখন নতুন স্রোত...

ভিজে ছত্রাকের মত মিহিন কণ্ঠস্বর,

ইদানীং অজানা নম্বরের কল্‌গুলোতেই  স্বস্তি পাই,

অচেনা ডায়ালটোন

জোয়ারের পাটাতন ফুলে ফেঁপে ওঠে ...

আমাকে একা পেয়ে অহর্নিশি

   ডে কে ই যায় সারেঙ-এর বাঁশি।





শুভ মহালয়া

টিনের রঙ্গিন বাক্সে  হাতল ঘুরিয়ে যায় শিশুর গানওয়ালা,

ছবি তখন গান

কতবার যে হারালাম

ওই এক সুরের কাছে ...তদ্‌গত প্রাণ,

কে ডাকে

বি ষ না বাঁশি,

কে কাকে জীবন খুলে দেখাতে চাইছে

কেউ নেই  কোথাও। নেই

জাগতে এসে কখন ঘুমিয়ে পড়ি চোখের কলসীপত্রে

আগমনীতে ভোর হয়।

এফ্‌এম্‌এ বাজছে  শতাব্দী বেঁচে থাকার আনন্দগান

শুভ মহালয়া।





সুখের উপমা

বর্ধিত  সুখ কাকে বলে?

গারবেজের জমাজলে শালিক-বৌয়ের স্নান দেখি, পাটরানী হওয়া

এখনও স্বচ্ছতাকেই ঈশ্বর মানি।

কেউ পাথর মাড়িয়ে যায়, কেউ দেয় দেবতার অধিকার

আমাকে ছুঁয়ে থাকে পাথর-কোয়ারির নির্জনতা

জীবন এমনই---

পাখি ও মেঘের বুননে একটু আসমানি হতে চায়

বাদলাদিনের কোন অনুবাদ হয় না, জমাট আকাশের

দেরাজ খুলে বেড়িয়ে যায় ছায়াছবির হিট গান,

হাইগেনের ঘড়িতে দোলা দেয়

শূন্যতা ও শিস

সাজানো বাড়ির ফ্রেমে

আজাদীর বোল গেয়ে ফিরে অস্থির পায়ের ঘুঙুর।

সহসাই সুখের উপমা পালটে যায় কোনো প্রাঞ্জল মুহুর্তে ।





মেরুণ তারার ফুল

কেউ আয়াত পড়ে নির্জনে, কেউ  দোহা

শতনামে ডাকে কেঊ তাঁকে,

বিস্মিত হওয়ার স্বভাব মুছে ফেলি যতবার

একসময় ধারাবাহিক নেশায় হাঁপিয়ে উঠি।

গন্তব্য থেকে দূরে সরে গেলে পথ,

পাঁচটি মেরুণ

তারার ফুল

কেউ এগিয়ে দেয় ...

ঈশ্বরপ্রতিম