রীনা তালুকদার
মানুষের ধর্ম মানুষ
নাফ নদীর রক্ত ছুঁয়ে
গেছে ভারত মহাসাগর
প্রশান্ত মহাসাগর, ভূ
-মধ্যসাগর
আটলান্টিকের জলও
পৃথিবীর সব জলে ভেসে
গেছে রোহিঙ্গার লাশ!
অশান্তির মদদদাতারা ঝড়
জলোচ্ছাসে
বেঘোর ঘুমের ঘোরে দু’একটা
খাটের নীচে পেতেও পারো
শান্তির নোবেল থেকে বাদ
যায় কি-না বৃহত্তর এশিয়া মহাদেশ
পাছে এ ভাবনা নয় মিছে
কেবলই ধর্ম রক্ষা, বন্ধু
দেশের ধর্ম, জাতির ধর্ম
সামন্ত প্রথার শক্তি
রক্ষার ধর্ম, মিত্রতার ধর্ম
অদৃশ্য শক্তির অদৃশ্য
ধর্ম আরো কত কত . . .
যাদের জন্য সুন্দর
পৃথিবী সার্থক
সেই মানুষই মানুষের ধর্ম
হয়ে উঠতে পারেনি আজও!
প্লিজ সুচি
সুচি তুমি সেনা ছাউনীতে
নিরাপদে থাকো
রাখাইন রাজ্যে এসো না
ভুলেও
জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ
না দিয়ে ভালই করেছ
অযথা কত কত প্রশ্নের
মুখোমুখি
জাতিসংঘের সাধারণ
পরিষদের অধিবেশনে
আসার আগে সব দেখে শুনে
যেতে হতো
নিরাপত্ত পরিষদের সামনে
তুমি মিথ্যে বলতে পারতে না
জাতিসংঘ সভায় মিথ্যা
বললে
বিশ্বমিথ্যুকের ছাপ
সেঁটে যেতে পারে
তোমার শান্তিময় নামে
পাশে
তার চেয়ে যাওনি সেই করেছ
ভাল
এত উলঙ্গ মানুষের
দেহবিচ্ছিন্ন হাত,
পা
মগজ, টুকরো
মাথার খুলি
নরমাংস ভক্ষণের দৃশ্য!
গরু কাটা মানুষের
নির্বাক চোখ
তুমি সইতে পারবে না
নির্ঘাত
তোমার নির্বিঘœ রাতে শান্তির ঘুম নষ্ট হবে
উদিগ্নতায় বার বার
ভেঙ্গে যাবে শান্তিময় ঘুম
নাফ-এর গায়ে বইছে
রক্তনদী
দেখলেই শিউরে উঠবে
অজান্তেই তোমার
হৃদস্পন্দন
বাধাগ্রস্ত হতে পারে
অস্পুষ্ট স্বরে আঁতকে
বলেও উঠতে পারো
উহ্ আর পারি না ...
প্লিজ সুচি তুমি শান্ত
বালিকা এসো না এই অশান্ত রাখাইন রাজ্যে !
রোহিঙ্গার রক্তের দাগ
লেগে যেতে পারে তোমার ফর্সা চামড়ায় !!
নাফ সাক্ষী টেকনাফ
খরস্রোতা নাফ তোমার বুকে
ভেসে আসা
রক্তস্রোত জলে জলে
সীমান্ত পেরিয়ে
মানুষের বন্ধনকে করেছে
সুদৃঢ়
সাক্ষ্য বাংলার টেকনাফ
ঘটনার নীরব সাক্ষী
আঁকা বাঁকা পাহাড় ঘেষে
কুল ধরে
গেছো ভেসে দুর যেখানে
খুশী
স¤্রাট
শাহজাহানের তৃতীয় পুত্র শাহসুজা
সপরিবারে দিয়েছে
চিরজনমের ডুব
তোমার খরখরা বুকেই
ছাপান্ন কিলোমিটার
দৈর্ঘ্য তোমার
তিন কিলোমিটার চওড়া বুক
জানিনা কেমন ভালোবাসা
রক্তের হোলি খেলে যাচ্ছো
ভেসে
এ কোন্ কিশোরীর সিঁথির
সিঁদুর
তোমার হয় না কী রাগ, ক্ষোভ
ও মাতালতা ;
ঝড় জলোচ্ছ্বাসে উল্টো
দিকে ঘুরে যেতে
এই যে আরাকান-আকিয়াব
থেকে
আসে অপরিমাপক বহতা
রক্তনদী
কানা চোখ নাকি অন্ধ, বয়রা, খোড়া
বোধ
মানুষের মূল্য কী নেই
একেবারেই
বণিকী ধর্মের চর্চিত
পশত্ব উল্লাস
ধর্ম না হোক, নয় কী
ওরা মানুষ
শুধুই রাখাইন-রোহিঙ্গা
মানুষ প্রাণী ওরা কোনো
যৌবনের মধুর নির্যাস
ঘোলাটে চোখে সুদূর ধূসর
মেঘের গুচ্ছ
অপুষ্টির বিজ্ঞাপন
ছুয়ে আশরীর
মানুষ পরিচয় না হলে
বেহিসাবি কেনো খায় মার
ওরা !
কেনো ওরা হয়ে ওঠেনি হিং¯্র
কোনো প্রাণী
মানুষ হলে বুঝতে নাফ
পরাধীনতা বলে কাকে
তোমার দেহে বাঁধ দিয়ে
প্রবাহ বন্ধ করুক
পরিণতি তোমারও হবে
রাখাইন
বিপন্ন মানুষের
নির্যাতনের চিত্র
মাইক্রোস্কোপে ধারণ করছে
স্যাটেলাইট মনিটরে শিশু, নারী
বৃদ্ধ ও যৌবনের চরম
অবহেলা
ধড় বিচ্ছিন্ন মুন্ডু, বিচ্ছিন্ন
হাত-পা
ইয়াঙ্গুণ থেকে মান্দালয়
আর স্থানান্তরিত
স্থিত ঐ নেপিডো’র
সামরিক বাতাসে
পৌঁছায় না শিশুর
বুকবিদ্ধ বুলেটের শব্দ
মানবতার উলঙ্গ পরাজয়
জ্যান্ত মানুষের
চালতোলার উল্লাস
আরাকান টেলিস্কোপে চোখ
রেখে
দেখে যাও পরিণতির ইতিহাস
প্রতিটি হত্যা হিং¯্র শোধ
হয়ে জমে উঠছে
ফুটবে গোলাপ কাঁটায়
যা তুমি গ্রহণ করে বয়ে
চলেছো
অন্যের অসত্য গাঁথা
কালের ডিজিটাল ইতিহাস
করবে না ক্ষমা যেনো
জেগে আছে দৌলত কাজী আর
আলাওল’র কলম
চন্দ্রানী ও পদ্মাবতীর
হাজারো নতুন নাম
অলক্ষে লিখছে বৃদ্ধ, শিশু ও
নারী নির্যাতনের মহাকাব্য।
পদক বৃক্ষটি বেঁচে
থাকো
সাহিত্য পদকের গাছ
লাগাবো ভাবছি
বরই গাছে ঢিল ছুঁড়লে
কাঁচা পাকা ফল
ভূ-পৃষ্ঠের দিকে
অভিকর্ষ বল ক্রিয়ায়
নিউটনের পড়ন্ত বস্তুর সূত্র
কাজ করতে বাধ্য
তারপর আর যায় কই
কেউ ফিরে না খালি হাতে
খাজারে তোর দরবারে
যে যা বাঞ্ছা করে পূরণ
হবেই
কোনো কিছু আশা না করলেও
ক্ষতি নেই
এমনি এমনিও একটা কিছু
পাবে
বরই গাছ
বৈশিষ্ট্যানুযায়ী ঝাঁকি দিলেই হলো
যত্রতত্র ছড়িয়ে যাবে ফল
লেখা না হলেও অসুবিধা
নেই
পদকের গাছ ঝাঁকালেই
অনায়াসে পড়বে
ক্রেষ্ট, সনদপত্র, উত্তরীয়
আরো আরো . . .
নিউটন পড়ন্ত বস্তুর
সূত্র সমেত এখানেও হাজির
খাজার দরবার উন্মুক্ত
তিলের খাজা খেতে মজা
তিলে তৈল হয়
অপাদান কারকে সপ্তমী
বিভক্তি
সাত ভাগে সাত পথ
নানা মুণির নানা মত
পদক গাছের জন্য খাজার
দরবারে ফরিয়াদ
বড় ভালো ভাবে বেঁচে থাকো
বেঁচে থাকো
যারা তোমাকে লালন করে
নিরাশ করো না তাদের
প্রিয় রবীন্দ্রনাথ নোবেল
পুরস্কার প্রাপ্তির
পূর্বের পরিশ্রম
সম্পর্কে আরো ভাল করে
লেখক কূলকে বলে গেলে
উপকার হতো
আপনার সুর নকলিরা আমার
দিকে
তাক করেছে বিষলাক্ষার
অগণিত ছুরি
গুরুদেব ছুরিওয়ালাদের
বলুন আমাকে যেনো ক্ষমা করে
আমি আপনার বিচ্ছিন্ন
হবার মন্ত্রে শেষের কবিতায় বিশ্বাসী
যত্রতত্র পদকে আমার
আস্থা নেই
বিরোধিতা আমার সেখানেই
কবি শহীদ কাদরী কবি
জেনারেল তৈরীর স্বপ্ন দেখেছেন
স্বপ্নটার অর্থ কী উল্টো
বুঝলো কি-না কাব্যদেবতা
ঢাল নেই তলোয়ার নেই
নিধিরাম সর্দারদের দৌরাত্মে
বাংলা কবিতা দিশেহারা
এরা বিজ্ঞান বিশ্বাসী নয়
সুবিধাবাদী আরাম আয়েশে
বিজ্ঞানকে সঙ্গী রাখে
বিজ্ঞানের মন্দ দিক
পছন্দ করে
গ্রেনেড ছুঁড়ে বিজ্ঞান
কবিতাকে ক্ষত বিক্ষত করছে
বিজ্ঞান কবিতার সৈনিকরা
অবশ্য
পরাজয়ে ডরে না বীর’
বিপদে রক্ষা করো গুরুদেব
পদক নির্ভর সাহিত্য
ব্যবসা নিপাত যাক
জয় পাঁচ তারকা
সত্য সুন্দর শান্তির জয়
হোক
জয় হোক বিজ্ঞান কবিতার
বিজ্ঞান কবিতা আমার
যুগ যুগ জিয়ো।
কবিতা সত্য শক্তির
মনুমেন্ট
কীর্তি অমর হলে লাগে না
কিছু
মানুষ অমর না তার কীর্তি
কথা
মাটিতে মাটি সার হয়
রাসায়নিক গুণে
বীজ পড়লে সালোক সংশ্লেষণ
সজাগ
সমাধি অমর হয় কী হাড় গোড়
নিয়ে ?
সৃষ্টির ঘোষণা মানুষ
মাটির সৃষ্টি
লোকান্তরেও মাটি হয়ে
যাওয়া
প্রকৃতির ল্যাবরেটরীতে
বস্তুর ধর্মানুযায়ী
মনুষ্য দেহ তৈরী করবে
জৈবসার
বাধ্যতামূলক বেকার কর্ম
তার চেয়ে সৃষ্টির
আনুগত্যে
হাসপাতালে হোক উৎসর্গ
কাজে লাগুক জ্যান্ত মৃত
হাতির মূল্যে
কবির মৃত্যু নেই মৃত্যু
অমর হয় কবিতায়
ভাল লাগা কবিতাই শ্রেষ্ঠ
সমাধি
সতীর্থরা যুগে যুগে
শ্রদ্ধায় স্মরণে
চিত্ত থেকে অনুভব করবে
মাটির সমাধি বিবর্তনে
হারিয়ে যায়
আদম হাওয়ার সমাধি কোথায়
!
কোথায় বড়–চন্ডীদাস
কেউ জানে না
চর্যাপদ যুগের ধারায়
শ্রেষ্ঠত্বে সমুজ্জ্বল
মাটির সমাধি হোক না হোক
আপত্তি নেই
কবিতা আমার মানুষের
হৃদয়ে
সত্য শক্তির মনুমেন্ট
হোক।
গণতন্ত্র লিংকনের
লজ্জা
দলাদলির গণতন্ত্র এখন
দ্রোপদীর বস্ত্র হরণে ব্যস্ত
গণ মানুষের খেলার উপাদান
হলেও
কিছুটা আদর সোহাগ জুটত
কপালে
একেবারেই ক্রিকেটের বল
ভেবে নিচিন্তে
নিশানা ঠিক করছে
কৌসুলীরা
মানুষ রাজনৈতিক খেলার
উপাদান
মানুষই মানুষ নিয়ে
বাণিজ্য বাড়াচ্ছে
মারণাস্ত্র বোমায় পুড়ছে
স্বদেশ
একাত্তরে লেজ গুটানো
শেয়ালকে
দেখিয়েছে গোপন গলি পথ
ক্ষমতার মসনদ প্রাপ্তির
খায়েশে
আয়েশী উচ্ছাসে শব দেহের
হোলি
কৌরব-পান্ডব মরিয়া লড়াই
অসুরেরা গণতন্ত্রকে জবাই
করছে যখন তখন
গণতন্ত্র সম্ভ্রম রক্ষায়
প্রাণ পণ দেছুট লিংকনের খোঁজে
লিংকনকে জিজ্ঞেস করবে
তার দায়িত্বহীন পরিণতির
জন্য দায়ী কে ?
অন্তর্বাস
একাত্তরে একবার
অন্তর্বাস খুলতে হয়েছে
নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে
উর্দি পরা সিপাহী রাতের
আঁধারে
হাতের একবিঘা লম্বা টর্চ
জ্বালিয়ে
ধর্ম পরীক্ষা করছিল
চোখে কম দেখা মোছওয়ালা
সিপাহী
স্বাধীনকে বলল অন্তর্বাস
খুলে দেখাতে
জীবন বাঁচাতে পরাধীন
স্বাধীন খুলতে বাধ্য হয়
অন্তর্বাস আগলে রাখে
কতকিছু; ধর্ম-কর্ম
ঢেকে রাখে অজানা হাওরের
দুঃখ কথা
হাহাকার মনে বোধের ভিটায়
খাবি খায় অচেনা-অদেখা
ঋতু বৈচিত্র্য
অন্তর্বাস বিপ্লবে
দিয়েছে প্রশান্তি
সব পোষাক-আশাক উড়ে গেছে
অপদার্থদের অত্যাচারের
ঝড়ে
গুড়িয়ে গেছে ঢেঁকিকলে
স্বপ্নরা
বিজ্ঞাপনের ভাষ্যে
হাজারো বৈশিষ্ট্য
সকলেরই পরিচিত পরম
যত্মের বিষয়
তবুও কত বিচিত্র কথা
লুকানো থাকে
রঙ-বেরঙের
দ্বিকোণ-ত্রিকোণ ভাঁজে
দর্জি দক্ষ হাতে
রাজা-রানী
আপামর জনসাধারণের জন্য
পৃথক নিয়মে তৈরী করে যায়
চলতে ফিরতে আরাম-আয়েশে
অনন্য
হ্যামার ফাস্ট হতে
পুয়োটো উইলিয়াম
বিস্তৃত জায়গা জুড়ে
অন্তর্বাসের চারণ ভূমি
বিপদের প্রাথমিক
রক্ষাকবচ
টগবগে যুবক স্বাধীন
ভয়-রাগ আর ক্ষোভে
দীর্ঘ সময় চুড়িদার
পায়জামা পরে অন্তর্বাস ছাড়াই
ভাবছে আর বেশি আস্থা নেই
তাতে
দামিনীকে কোনই সুরক্ষা
দেয়নি ;
আগ্নেয়গিরির গরলে
অন্তর্বাস অর্থহীন
হাতের শাঁখা-সিঁদুরেও
প্রমাণ মেলে না সমাজবন্ধন
কী এক ঘোড়দৌড় সময় এখন
কাটছে ঘরে বাইরে
সময় এসেছে নিকাহ্নামা
সঙ্গে রাখার
একাত্তরে খুঁইয়েছে
অন্তর্বাস ; ইদানিং মগজের বোধ
অন্তর্বাস-শাঁখা-সিঁদুর
এখন প্রতীকীহীন
এসব তৈরীর কারখানা
দেউলিয়ার অপেক্ষায়
ইবাদতি ধর্ম কতদূর নিয়ে
যাবে...
আর কত বার অন্তর্বাস
খুলতে হবে
বলো তো ধর্ম কার জন্য;
মানুষের জন্য না-
হটকারী ধর্মবণিকের জন্য ?
হাততালি
ভাষণ দিচ্ছেন নগর নেতা
বিদ্যুৎ-বিশুদ্ধ
পানি-জাতীয় গ্রিডে গ্যাস
সবুজ লতা-পাতার বেস্টনী
সব হবে
শুনছেন আতি-পাতি নেতা
বলছেন :দিন না হাততালি
রমনার বৃক্ষ শোভিত
উদ্যানে
নগ্ন ছায়া ছবির ভিড়ে
রসিক নেতা কেরোসিনের
বোতল আঁকড়ে
রূপসী বাংলার খালি
মঞ্চের কটিদেশ খামছে
টলতে টলতে বলছেন :
বাহ্ বাহ্ দেবী বেশ্ তো
নাচো
গ্যালারী কী বধির না
অন্ধ
কোথায় গেলো হাততালি
শুনেই দুদিনের উপবাসী
যোগী
ক্ষুধার যন্ত্রণায়
রেগেমেগে বলে :
নামজাদা কয় কী ; মাতাল
নাকি
নিত্য রোজায় পঞ্চাশ
ক্যালরি খরচ করাতে চায়
মানে জানে ? একটা
হাততালি
কাজ পেয়েছে মশক নিধনের!
রীনা তালুকদার: নব্বই দশকের কবি, গবেষক। সাবেক
ছাত্রনেতা (ছাত্রলীগ)। সভাপতি- বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান কবিতা পরিষদ। সহ-সভাপতি, (তথ্য ও প্রযুক্তি)-
অনুপ্রাস জাতীয় কবি সংগঠন। বিভাগীয় সম্পাদক-অনুপ্রাস সাহিত্য পাতা দৈনিক নব
অভিযান। বাবা -মো: আবদুল করিম। মাতা- আনোয়ারা বেগম। পড়াশুনা- এম.এ। জন্ম -২১ আগস্ট, ১৯৭৩, জেলা-লক্ষ্মীপুর, বাংলাদেশ। প্রকাশিত
কাব্যগ্রন্থ- ১৩টি, গবেষণা প্রবন্ধ-২টি (বিজ্ঞান কবিতার ভাবনা ও
কাব্য কথায় ইলিশ), সম্পাদনা কাব্যগ্রন্থ-১টি জাগ্রত ছোট কাগজের সম্পাদক, সহযোগী সম্পাদনা
(বিষয়ভিত্তিক)- ১১টি। উল্লেখযোগ্য
কাব্যগ্রন্থ- সাত মার্চ শব্দের ডিনামাইট (বঙ্গবন্ধু সিরিজ), বিজ্ঞান কবিতা, প্রেমের বিজ্ঞান
কবিতা, স্বাধীনতা মঙ্গলে, বিজ্ঞান সনেট।
প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ হয় নব্বই দশকে। লেখালেখির জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা
কামাল স্মৃতি ফাউন্ডেশন-এর মহান বিজয় দিবস-২০১১ সম্মাননা ও সাপ্তাহিক শারদীয়া
কাব্যলোক বিশেষ সম্মাননা-২০১৩ পেয়েছেন।