পাপড়ি গুহ নিয়োগী
পলি
এই শুরু, খেয়ালের
না বলে চলে যাচ্ছ
অভিমান ... সম্পর্কে
দেয়াল
নদী তো ক্লান্তই হচ্ছে
এখন জলের কী হবে?
অপেক্ষা...
জলছবি
চাষের চেষ্টা করছি
বহুকাল
ফোঁটা ফোঁটা রক্ত আর জল
দিয়ে
কত শতাব্দী এভাবে মৃত
ছবি আঁকবো
রাস্তার শেষে দেখি
আমারই ধ্বংসাবশেষ আর
ছায়া ছায়া
প্রতিবিম্ব
গর্ভগৃহ মেনে নিচ্ছে
ধেয়ে আসছে
নৈঃশব্দ
মুখোশ
অনেক মুখোশ অলিগলি
চতুষ্কোণ ঘরের ভেতর
গলে যাচ্ছে রং... ফেরানো
যাচ্ছে না
এইসব মুদ্রা, ঘুমের
রেখায়
মুখোশে মুখোশ, গান
বাজে
আমি, ধরতে
পাচ্ছি না
বসতবাড়ি
বসতবাড়ি আলাদা বলেই কি
অন্য পরিবার!
মনের ভেতর গন্ধ খেলা করে
জুঁই-চাঁপা
আটচালা ঘর রোদ্দুর আর
পুঁইশাখায় চাঁদের আলো
ওলো সই আমার ইচ্ছে করে
তোদের মতো মনের কথা কই
পরিবার ভেঙে যাচ্ছে বাঁক
নিচ্ছে নদী
কত ক্লোন কত বিরূপ
বিকৃতি
স্বপনের চুম্বন অনেকটা
আখপানার মতো
বসতবাড়ি আলাদা বলেই কি
অন্য পরিবার!
বাঁশি
জ্যোত্স্নার অতীত সেই গাছ যার তলে প্রিয়তম বাঁশি বেজেছিল
হা কৃষ্ণ হা কৃষ্ণ তুমি কোথায়, হারালে
কোথায়, কোথায় গায়ে আমার শিহরণ কই
চিঠির বাক্স থেকে মাছির ভনভন চাঁদ হাসে চমত্কার গোপিনীরা
হাসে
কোটরে কোটরে পাখি ঠোকরায় যেন সে তবলার বোল মেলে ধরছে
বাতাসের গায়ে
আমি উড়ে ব`সি মেঘমণ্ডলে আমি জ্যোত্স্নার কাক টিয়েপাখি ফিঙেদের
ইলেকট্রিক তার
মিছি মিছি দেখি কৃষ্ণ হরিণের রূপ ছুটে সে চলেছে রাখালের
মুথা ঘাসে চাঁদের বাগানে
হা কৃষ্ণ হা কৃষ্ণ তুমি কোথায়, হারালে
কোথায়, কোথায় গায়ে আমার শিহরণ কই
জ্যোত্স্নার অতীত সেই গাছ যার তলে প্রিয়তম বাঁশি বেজেছিল