বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

চয়ন ভৌমিক




চয়ন ভৌমিক

কল্প-বসন্ত ও রাধা মুন্সীর রোদ শরীর

১)
মধু আর প্রজাপতি মানেই
হাওয়ায় দুলে ওঠা দুটি ঠোঁট।

আর ফলাফল

শরীরের যেখানে যত কুঁড়ি ছিল ঘুমে
সবাই বিকাশোন্মুখ তখন।

অগোচর জল, স্বেচ্ছামৃত্যু রতি শ্রাবণ
নিষিদ্ধ অজুহাত যত,

আসল লিখন জানি -           
    ঋতুমতী পাপড়িতে বসন্ত-সঙ্কট।।





২)

শরীরের ঢেউগুলো পেরিয়ে গেলেই
সমুদ্র শান্ত দিঘির মত টলটলে।

সেখানেই ডুবসাঁতার দ্যায়,
নুন, বালি মাখে নুলিয়ার সরল পৌরুষ।

সামান্য দুলে ওঠা নৌকায়
দু-মুঠি তার বজ্রসম নিষ্ঠুর,
   অধর-পুষ্পে সমর্পিত শ্বেত-শঙ্খ মায়া।

অমৃতপাত হলে, ব্যাথা ভাসে মন্থনবিষে,
   মিশে যায় নীল রঙ, গভীরতম ম্লেচ্ছ জলে।  

নীচে আরো নীচে ভাঙন ধরায় হত্যাঋতু
             সাক্ষী থাকে ঈশ্বর ও তুচ্ছ মানুষ।।





৩)
একটা চকচকে মোড়কের ভিতর
কৌতূহল ভরেছ হে আগন্তুক।

সবুজ লেসের আলিঙ্গনে বেঁধে রেখেছো দান।

শুধু ছুঁয়ে দেখেছি
যত্নে রেখেছি খাটের পাশে,

খুলিনি রহস্য
তাই বুঝি এত অভিমান........





৪)

তাপপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়েছে কৌপিনের গোপনতায়।
অনিয়মিত পারদ চড়ছে সিঁড়ি বেয়ে।
নরম সংকোচন ব্রুট, জান্তব মন্থনে,
ভিজে বারুদের গন্ধ
 বাড়তে বাড়তে কঠিন থেকে কঠিনতর হত্যাখেলার অস্ত্র।
উষ্ণতার প্রবেশে হারিয়ে যাচ্ছে ক্লান্ত পুরুষ,
তাপসের ধ্যান ভেঙে যাচ্ছে পায়েসের মিষ্টি নিক্কনে

আর, আহত বাঘিনী গিলে খাচ্ছে গোটা বন্দুক।।   






৫)

ব্যবচ্ছেদ হল -
মাঝ বরাবর একটা দাগ।
যা - সমান ভাবে ভাগ করে দ্যায়
শুভদৃষ্টি, ফুসফুসের অমৃত ও বিষ
মটর বীজ, গান আর গালি
জোড়া রোদের ডানা, স্তনস্পর্শসুখ অথবা যুগল উরু।

সেই উল্লম্ব, সেই বিলি বন্টনের ছুরি, সেই দ্রাঘিমা
                         একা গো , ভীষণ একা।।