বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

শাহানারা ঝরনা



শাহানারা  ঝরনা

মানবিক অনুভব

মানবিক অনুভব আজ মিশে গেছে সমুদ্রজলে
বিক্ষত মন নিয়ে সৈকতে বসে আছি একা
গুচ্ছ বেদনার কোন সাক্ষি থাকেনা,দানবের নখরাঘাতে
মুছে যায় পানসি জীবন
কোথায় - কতদুর আর ভয়হীন পথের রেখা? ভাগ্যের রিংটোন
শোনার আশায় কেটে যায় অবুঝ বেলা অসীম অসাড়তার আড়ালে
হারিয়ে যায় গেরস্থালির অনুষঙ্গগুলি সবকিছু চলে যায় নষ্টের দখলে
কাঠপোড়া আগুন বুকে দগ্ধ হই আমৃত্যু অবধি





নির্জনে বেড়ে ওঠা

পাহাড় সাগরে মেশে কতরাত জোছনা মেখে আকুল অপেক্ষায় থাকি ভাঁজভাঙা মন
নিয়ে চুপচাপ গুনে চলি রাতের তারা নীরবতা গায়ে মেখে, কখনও হিমহিম ঠাণ্ডায় দেখি
বাদুরের ওড়াউড়ি আমাকে কাছে টানে নির্জনে বেড়ে ওঠা শাদা শাদা মাশরুম রাত !





চিরচেনা দিন

কাশমেয়ে উড়িয়েছে চুল শরতের কাশ বনে নায়রি বাড়িয়েছে হাত মনোময় সুখের আশায়
কত আর বিফল হবে নকশা জীবন? রাতের নদী ছুঁয়ে নায়রি নৌকো ভাসে, স্বপ্নকে বুনে বুনে
একাকি ঘুমিয়ে পড়ে অস্থির চাঁদ ইথারের তারে তারে যখনি বেজে ওঠে টুংটাং সুর চোখের পাতা
ছুঁয়ে হাসে বাঁশবাগান আধুনিক সেলফোন, গুগল টুইটারের আলিঙ্গন  বড় পানসে হয়ে যায়
শরৎ চলে যায়, নায়রি শেফালি কাঁদে, পূজার গন্ধে হাসে চিরচেনা দিন





সুদূরের সংগীত

বিষণ্ণ হইয়ো না মেয়ে ! স্মৃতিরা মুগ্ধ চোখে মুছে দেবে বেদনার দিন কর্ম দিবসের হিসেব মেনেই
পাখির ডানার ভাঁজে লুকোয় বাসনার রূমাল কেউকেউ বাঁকাচোরা জীবন নিয়েই রনাঙ্গনে নামে
শরীরে লুকিয়ে রাখে এ বি প্লাস রক্তের গন্ধ উৎসবি দিন এলেই পার্বণের নকশি কাঁথায় গেরস্থি বউ
আঁকে জ্যামিতিক প্যাটার্ন সূচ - সুতোয় জীবন গাঁথে আহা জীবন আর কত থেমোসিস বলয়ে বেঁধে
নির্মম প্রহসন !
মনোতীর্থে বাজুক আজ সুদূরের সংগীত !





আসেনা ফিরে

অভিমান জমে জমে বয়োসন্ধিতে চলে যায় সঞ্চয়ে থাকেনা কিছুই থাকেনা হিসেবের কারুকাজ

মনস্তত্তের ঠিকানা নিয়ে ক্রমশ  নিরুদ্বিগ্ন হই, জানি, জীবন চলে আর আসেনা ফিরে কোনদিন