বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

মন্দিরা ঘোষ




মন্দিরা ঘোষ

কেন লোভ দেখাও

কেন লোভ দেখাও
কেঁপে ওঠা ভয়ে বাতাস লাগে
দিনমানের কাজে পায়ে পায়ে
জড়িয়ে থাকি হাত
ক্লান্ত সময় অবসর পায় না
আড়াল করা অপমানের ধুলো ঝেড়ে
সারাবেলা অনুষঙ্গ তোমার
ছায়াপুরুষ তাড়িয়ে  নিয়ে বেড়ায়
আমার অনুভবের আঁচর
ইচ্ছা করি রক্ত ঝরুক শুধুই
রক্তে ভেজায় তোমার ছায়ার অনুবাদ
আদরে রাখি বুকের মাঝে যত্নঘর
জ্যোৎস্নাযোনির আঘাতে রক্তাক্ত করি
  তোমার পৌরুষ
গর্ভরাতে ছায়াশব্দ প্রসব করি
তোমারই ঔরসে






তোমাকে বোঝার চেষ্টা করি

উদ্দেশ্য গুলি ছুঁয়ে ফেলার ইচ্ছেই
তোমাকে বোঝার চেষ্টা করি
তোমার খোলা বুকের চত্বরে
নিশুতিরাত
ভাঁজ খোলা চোখের পাতায়
দুর্বোধ্য অক্ষরের নিলাম ডেকেছো
আমার স্বস্তিবিন্দু একচিলতে
জমি পায়না
নিশুতি হিম কুড়োতে গিয়ে
ছিঁড়ে ফেলি বুকের বোতাম
খানিক আগে যা উত্তাপে
দগ্ধ হয়ে আছে
একটা সম্ভব জীবনের জন্য
তোমার চৌহদ্দিতে হাহাকার
পেতে রেখেছি





আলোর ঠিকানা

কথারা হারিয়ে থাকে বাতাসে
পাতার ভাঁজে লুকোনো অক্ষর কঙ্কাল
প্রশ্নচিহ্ন গুলো ভারহীন  বস্তুকেন্দ্রিক
ছুঁয়ে ফেলা বুদ্বুদের মত
শূন্যের দিকে অভিমুখ
আলোর ঠিকানায় অস্থির স্বরগতি
শব্দের সাজঘরে   হানারাত
যন্ত্রণায় ডুবে থাকে রাত্রিঅক্ষর
একটি দুটি  আঘাত চিহ্ন
পড়ে থাকে উড়িধানের ডগায় 





শৈত্যের কাঁচঘর

বোঝাপড়ার ঘরের দরজায় 
সারাদিনের চেয়ে থাকা
ভাবি জোর করে দূরত্ব সরাই
জোর করে ভেঙ্গে ফেলি
সাড়ে তিন হাতের ব্যবধান
ছিঁড়ে ফেলি বন্ধ বুকের বোতাম
সীমানা বিন্দু গুলি সাজিয়ে
মুছে  রাখি  শৈত্যের কাঁচঘর
গ্রহণে সরণে সহ্য করি তোমার উত্তাপ
নীল দ্রাঘিমার কৌণিকতা
সাজিয়ে তুলি অবোধ্য  গমনে
ইচ্ছা করি জ্যোৎস্নাবীর্যে স্নান সেরে
বার বার পবিত্র হয়ে উঠি
তোমার অক্ষাংশ জুড়ে





শেষ আশ্রয়

শরতের রঙ টান দেয় ইজেলঘরে
দৈবের মত ঘাস ফুল শিউলি তলা
 শিশিরজলে আলতার ছাপ
কাশফুলে সাজানো
দিগন্তরেখার পার
আবছা হয় গ্লানির রেখাগুলি
ধূপ ধুনোর আসা যাওয়ার মাঝে
শাঁখ বাজে
ভরসন্ধ্যা ঈশ্বরী গন্ধের খোঁজ
স্পর্শের নির্মাণে চেয়ে থাকা

শেষ আশ্রয়টান