সুকান্ত মজুমদার
ধোঁয়াটে
অনিত্য আদর মাখা ভেজা
প্রতিপদ
রোদ জলে মিশে মিশকালো
স্মৃতিরা
অথৈ অবসাদ পোশাকি মানসিক
বিরামহীন আমি শল্কমোচনের
গান
কারো তরে নিঃস্ব পরম
মনেপড়া
ঘুমভাঙা জড়িয়ে ধরা
শৈল্পিক আঁধার
মাঝরাত। আবারো সকাল -
চিরাচরিত চাঁদ হয়ে সূর্য
স্নান।
কাশবনে
নির্ভেদ মায়া ঝিঝি
কান্নায় বিমর্ষ
আমিতে সে প্রেম ভাষাহীন
গরল বিষন্নে জর্জরিত
ব্রাত্য সন্ধ্যাখানি
এখনো শরৎ ভেজা,
রঙিন কাশের ধারে নিশ্চুপ
প্রকাশ
আলতো ইচ্ছে গুলো ইচ্ছা
দিয়ে সাজানো
আলো নিভে যাওয়া ঝোঁপ ঝাড়
পাট পচা গন্ধের গ্রাম্য বৈভব
শীত ঘ্রাণ মাখা দুজনের
গভীর সংলাপ
আরো অনেক টা পথচলার সাহস
শিশির বসন্তে বিমুগ্ধ
পদার্পন
সে কি দুঃসাহস!
পরিচয়
কোন এক নিবিড় নিটোল
ছুয়ে যাওয়া কাচা জীবন
নখসহ পৈচাশিক সঙ্গ সাধন
প্রতি আক্ষেপ নিবিড়
পদক্ষেপ
দিনান্তের নিংড়ে খাওয়া
শান্তি,
আগুন জ্বলা সন্মোহনে
পোড়া গন্ধ
নিথর বাতাস হয়ে বহন করি
অক্ষমতার উচ্ছ্বাস
প্লাবন
শুধুই দ্বিধাহীন নীরব
নীতি।
ঘুম
ভেতরের স্যাতস্যাতে
নোংরা গলি
গরল রঙে নিজেকে চিনতে
নাপারা
আত্মহীন মর্যাদা সমর্পিত
অভিন্ন নিপীড়ন পোকামাকড়
-
উদ্বায়ী লজ্জা চারিদিক
আলোপোকা
রক্তাক্ত সাহস আনমনে
চেয়ে রয়
এখনো শ্রমতুল্যে আত্ম
বলিদান
আমি দিনভর কঠিন কঠোর
শ্রমাচ্ছন্ন
রাজার রথে শোভন মালা,
বাক্য বিক্রি হয় অন্ধকার
হাটে
ততক্ষণ আমি ক্লান্ত, ঘুণধরা
ঘুমে।
খুজেফেরা
ক্ষণিক আলোর শ্যাওলা
সম্পর্ক
নাদেখতে পাওয়া তছরূপ
অনেক কান্না ঝরতে দেয়নি
শরৎ,
বিদগ্ধ ভোরের শিউলি তলা
গোবর লেপা উঠানে সজনে
পাতা
কুয়াশার প্রেম সারা
শরীরে
মৃদু অন্ধকারে অশরীরীর
ভাষা
হঠাৎ উবচে ওঠা মন্দ্রিত
আমি
মহালয়ার সুর ভোরের উদার
মন্থন
ভরা যৌবনে বাঁশ বাগানের
স্থিরতা
বারান্দায় মুড়ি শূণ্য
রাত জাগা বাটি
মায়ের মৃন্ময়ী আগমনী -
প্রবাসী মোড়কে প্রসাধনী
সুভাষ
দিশেহারা অতলস্পর্শী সে
আবেশ
আবোলতাবোল ছন্দে আলো
শুধুই অন্ধকারের প্রসব
যন্ত্রনা।
....... *.......