মিজান
ভূইয়া
দোয়েলের
পথ
মনোকষ্টে
প্রজাপতি উড়ে
তালগাছ বিকেল মুখোমুখি
হয়
ছায়া নোটিশে দেখি পুরনো
নগর
অক্ষর দেখে দেখে পৃষ্ঠা
উল্টাই
ডানা মেলে চলে যায়
দোয়েলের পথ
নদীর নির্জনতা আঁকে
আকাশের পাতা
বনে বনে ঘুরে বাতাস
সাদা হাঁস হেঁটে যায়
চমৎকার ব্যাখ্যা থাকে মাটিতে।
স্মৃতিকক্ষ
বাতাসে সিক্ত প্রাণ
এক বিকেলের বিচ্ছেদে নীল
রংগুলো মনে পড়ে যায়
সাদা চাদরে
জমে কিছু শীত
পুরনো প্রার্থনা,
দু'ঠোঁটে
শব্দ হয়
লেখা চিঠির ঘ্রাণে
ঘরগুলো উড়ে যায়
পাশের পাহাড়ে আগুন জ্বলে
ছবি ও ফুলের গন্ধ পড়ে
থাকে বারান্দায়
তবুও ফিরে গিয়ে
স্মৃতিকক্ষ ভাড়া করি, পাঁচটি
পাথর
হাতে তুলে নেই
সেইসব দৃশ্যে মাঠ পাড়ি
দেই
দু'চোখের
জলে কথা বলবো বলে,
পিছু ডাকবো বলে
সোনালী বাতাস হাতে রাখি
অবশেষে
নক্ষত্রগুলো থাকে, বিশ্বাসগুলো
থাকে।
আঙ্গুলের
ঋতু
সেইসব ঘরে তুমি একা
সেইসব ঘর সমুদ্রের মতো
জ্বলে
একটি হাত হারিয়ে গেলে
পাহাড়ে
আরেকটি হাত
স্বীকৃতি দেয় আগুন।
তখন হয়তো দরজায় ঝুলতে
থাকে শীতকালের তালা.....
আমি খুঁজি,
বুকের সুস্বাদু বস্রে
কিছু সামাজিক দাগ,
হোটেল কর্তৃপক্ষের চোখ
থেকে দূরে গিয়ে
মেনে নেই তোমার দশটি
আঙ্গুলের ঋতু।
সময় যেতে থাকে
অহংকারী শরত এসে
রক্তে ছাড়ে মাছ, প্রাচীন
স্পন্দন
তখন
জগতের
কোথাও
উজ্জ্বল কোন তারা জ্বলে
পুষ্প গন্ধে আমি কেবল
হাতছাড়া হতে থাকি।
প্রলয়ের
ছবি
কথারা হারিয়ে যায়
চন্দ্রিমা কবরে
আলো ভরা কক্ষ কিছু থাকে, দু'হাতে
স্পর্শ করি ফল
অন্যকিছু নয়
সবকিছু সামুদ্রিক পাতাজল
হয়
কত বেশী দুঃখ নিয়ে রোজ
রোজ দেখা করি
সোনালী কাঁচের ঘরে যাই
আর একাকী হারাই
নির্জন নদীতে ঘুরে
ফেলে আসা সুখ
একযুগ আগে গিয়ে রাতগুলো
দেখি
পাহাড় পাড়ি দেয় হাতের
মার্বেল দু'ঠোটে এঁকে যায়
প্রলয়ের ছবি।
স্পর্শ
কেউ যদি তাঁর
বিকেলের কাছে যায়
আমি আমার পাহাড়ের কাছেই
যাবো,
জানি আমি
সব অভিমান ফুলের মতই
ফোটে
কোথাও
মুগ্ধতা রাখেনি দু'কাপ
চায়ের মত দুপুর,
ডেকে নিয়ে ঘুমাতে চাই
দেহের চাকা ঘুরায় আপন
কবিতাগুলি।
রাত বাড়ে
কিছু স্পর্শ
কিছু ছোঁয়াছুঁয়ি ছড়িয়ে পড়ে
বিছানায়,
তখন রক্তে প্রবাহিত হয়
পুরনো দিনের আলো।